আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেহেতুক অহেতুক- ৪

বৃথা হয়রানি

আমার ভাগনি কাঁদে আর বলে, ‘ভুই পাই’ প্রথম প্রকাশ- ১২ ডিসেম্বর ২০০৬, দৈনিক আজাদী সেদিন (৯ ডিসেম্বর) ‘প্রথম আলো’য় শিশির স্যারের একটা কার্টুন ছাপা হয়। কার্টুনে দেখা গেলো, দূর দিগন্ত রাঙ্গা আলোয় ভেসে হয়ে উঠছে। সেই আলো দেখে আবছা অন্ধকারে থাকা একটা গরু ভয়ে ছুটছে। যেন সিঁদুর মেঘ দেখে ঘরপোড়া গরু পালাচ্ছে। গরুর পালানো দেখে একটা গাধা খুব সমজদার ভঙ্গিতে বলছে ‘আগুন না... আগুন না ... আলো’।

কার্টুনটা দেখে আমি পুলকিত হলাম। ঠিক যেন আমার মনের কথাটাই তিনি এঁকেছেন। বাবাকে কার্টুনটার মেজাজা খুলে বলতেই তিনি হেসে কুটিকুটি। আমরা বাপ-বেটা দুজনে নিজেদেরকে গরুর কাতারে বসিয়ে কিছুক্ষণ প্রাণ খুলে হাসলাম। কিন্তু আমার ভাগনির কান্না থামানো যায় না, সে কাঁদতেই আছে।

ডুকরে ডুকরে কাঁদে আর বলে, ভুই পাই। আড়াই বছর বয়স। এক টুকরো পনিরের মতো তুলতুলে, মায়াবী। কমলাপুর স্টেশনের ৩ নম্বর প্লাটফর্মে তাকে নিয়ে হইচই। সে কোনভাবেই ট্রেনে উঠবে না।

শেষে কৌশলে তাকে ট্রেনে উঠনো হলো। এটা-ওটা বলে তাকে আশ্বস্ত করা হলো, কোন ভয় নেই। তারপরও সে ভয়ে থরথর। সে সিটে বসবে না। সে সিটের নিচে লুকিয়ে থাকতে চায়।

ভাবছেন, আমার ভাগনিটি এই বয়সে কি করে মানসিক রোগে আক্রান্ত হলো। নাহ, আমার ভাগনির মানসিক ভারসাম্য নিয়ে কোন সন্দেহে নেই, সে ঠিকই আছে। কারণ তার সফরসঙ্গী অন্যরা ঠিক তার মতোই ভীত। নেহাত ট্রেনের টিকেট কাটা হয়ে গেছে বলে ট্রেনে উঠছে। কেন তারা ভয়ে সিটকে আছে? তাহলে ঘটনাটা বলি।

আগের দিন সুবর্ন এক্সপ্রেসে দিদি একটা ইন্টারভিউ দিতে ঢাকা যায়। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ট্রেনটা বনানী ক্রস করার সঙ্গে শিলাবৃষ্টির মতো ঢিল এসে পড়তে থাকে ট্রেনে। ঢিলে ট্রেনের সবগুলো জানালা ভেঙ্গে ঝুরঝুর। ভয়ে সবাই আর্তনাদ করতে থাকে। দিদি তার বাচ্চাটাকে নিয়ে ট্রেনের সিটের নিচে গিয়ে লুকায়।

কান্নাকাটি-হল্লাহাটিতে পুরো ট্রেনটা দোজখ হয়ে ওঠে। দিদি উঁকি দিয়ে দেখে রেল লাইনের পাশে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে একদল মানুষ ঢিল ছুঁড়ছে ট্রেনের দিকে। তারা উল্লসিত ও দুর্বিনীত। আমার ভাগনি খালেদা-হাসিনা বোঝে না, রাজনীতিও বোঝে না। বোঝার কথাও না।

সে বোঝে ঢিল, মাথায় লাগলে মাথা ফেটে গলগলিয়ে রক্ত বেরোয়। আমার ভাগনি ঢিলকে ভয় পায়। ভালো করে মুখে বোল ফুটবার আগেই, দুনিয়াকে বুঝে উঠবার আগেই আমার ভাগনিটি বুঝে গেলো `ক্ষুব্ধ স্বদেশভুমি'। এখানে সিটের নিচে লুকিয়ে মাথা বাঁচানো ছাড়া কোন উপায় নেই। আহারে, লজ্জ্বা।

আহারে, গ্লানি! ট্রেনের কেউ জানাতো না কেন ঢিল মারা হলো। সেদিন তো অবরোধ ছিল না, ছিল না হরতাল। তাহলে ঢিল কেন? পরে শোনা যায় নির্বাচন কমিশনের সামনে দুটো গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়া হলে পুলিশ বিরোধীদলের কর্মীদের পাছায় লাঠি ব্যবহার করে। সেই লাঠ্যাঘাতের পাল্টা ঢিল। তবে এর লক্ষ্যবস্তু পুলিশ নয়, ট্রেনের সাধারণ যাত্রী।

সেদিন দেশের চলমান সংকট নিয়ে কথা হচ্ছিল শাহজাহান ভাইরে সঙ্গে। ভার্সিটি ছাত্রলীগের একসময়কার দোর্দন্ড প্রতাপশালী প্রেসিডেন্ট। তার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড়ো অংশ শিবিরমুক্ত করা হয়। আমি যখন ভার্সিটিতে ভর্তি হই, তখন তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। কল্পনাও করতে পারতাম না, একদিন এ নেতার সঙ্গে বসে চা খেতে খেতে আড্ডা দেবো।

বড়ো আপে করে তিনি বলে উঠলেন, মানুষ এখন আওয়ামীলীগকে ভয় পায়। সঙ্গে সঙ্গে আড্ডার সবাই শিরদাঁড়া টানটান করে এই এই করে উঠল। ভাবখানা এমন, একেবারে অকথ্য একটা কথা বলে ফেলেছেন ভদ্রলোক। আমি তখন তার প নিলাম। বল্লাম আমার ভাগনির সেই ঘটনাটি।

গত একমাস ধরে শুনছি টানেলের মুখে আলো দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেই আলোর মুখ আমরা আর দেখতে পাচ্ছি না। দিন দিন পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হচ্ছে। গতকাল রাত থেকে দেশে সেনাবাহিনী নেমেছে। বঙ্গভবনের চারপাশে ১৪৪ ধারা।

অথচ আওয়ামীলীগ অবস্থান ধর্মঘট করবে সেখানে। এখন প্রতিদিনই ভাবি, পরের দিন ভোর হলে যে রাঙ্গা আলো দেখবো পুবাকাশে, সেটাই বোধহয় সংকট উত্তরণের আলো। তাই হুমড়ি খেয়ে পড়ি পত্রিকায়। হতাশ হই। প্রতিদিনই নতুন নতুন সমস্যা দেখা দেয়।

কে এম হাসান গেলেন, সিইসি গেলেন। এলেন মোদাব্বির। এলো বিতর্কিত ভোটার লিস্ট। এর ফঁকে উঁকি মারে জাকারিয়া। এসব নিয়ে জাতি যখন দিশেহারা, তখন হাইকোর্ট হয়ে উঠে বাস টর্মিনাল।

দু’দল আইনজীবি পরিবহন শ্রমিকদের মতো বিচারের রায় নিজেদের ঝোলায় টানার জন্য তাণ্ডব শুরু করে দেয় সেখানে। প্রধান বিচারপতির মতো লোকও আব্দুল কুদ্দুস হয়ে ওমুক তমুক দলের পতাকা তলে গিয়ে দাঁড়ান। এরমাঝেও চলছে টানেলের মুখ দেখা। আগে রাষ্টপতি কাম প্রধান উপদেষ্টা একা একাই সব সিদ্ধান্ত নিতেন। এখন তিনি সভাসদ নিয়ে বসেন।

প্রাইভেট চ্যানেলগুলো ভিখারীর মতো ঘুরে বঙ্গভবনের সামনে। আর আমার ঘুরি চ্যানেলে চ্যানেলে। গভীর রাতে মিটিং শেষ হয়। তারা বলেন কালকেই আশাকরি দেখা যাবে আলো। কিন্তু কাল আর আজ হয় না।

আমার বড়ো সন্দেহ হয়, টানেলের ওই মাথায় যে আলো দেখা যাচ্ছে, তা কিসের। ধাবমান কোন ট্রেন কিংবা ট্রাকের নয়ত! যদি তাই হয়, তাহলে আলোটা ভালো করে আসার আগেই টানেল থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসা দরকার। নইলে যে আমরা বেঘোরে প্রাণ হারাবো। দিদি এবার ঢাকা থেকে ফিরে পণ করছে, নেহাৎ কোন বড়ো বিপদে না পড়লে ওই নরককুণ্ডে যাবো না। আমার ছোট খালা থাকেন সোবহানবাগে।

প্রতিদিনই ফোনে কথা হয় তার সঙ্গে। প্রতিদিনই শোনান আজব আজব সব ঘটনা। এই যেমন সেদিন বললেন, ‘রিক্সায় করে স্কুল থেকে মেয়েকে নিয়ে ফিরছি। দেখি এক ছেলে বোতলে পানি নিয়ে নতুন একটা গাড়ি পুচছে। ওমা, রিক্সাটা গাড়িটার কাছাকাছি আসতেই গাড়িটা ধপ করে জ্বলে উঠল।

একেবারে হলিউডের ছবির মতো। আরেকদিন রিক্সায় ফিরছি। হালকা মানুষজন রাস্তায়। চুপচপাপ চারদিক। ঈদের ছুটিতে ঢাকার যে চেহারা হয় আরকি।

হঠাৎ দেখি কতোগুলো লোক মাটি ফুঁড়ে উঠে এলো। তারপর ঢিলাঢিলি... পুলিশ, টিয়ারসেল। প্রায় মিটিঙের জন্য এরাস্তা ওরাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়। তাই দু’কিলোমিটার পার হওয়ার জন্য তিনবার রিক্সা পাল্টাতে হয়। ’ খালা প্রায় একটা কথাই বলেন, ‘আগে ভয় পেতাম, খুব ভয়।

এখন দেখি ভয় পেয়ে লাভ নেই, যা হবার হবে, লঙ্ঘাবার কোন উপায় নেই। এখন ভয় পাই না। শুধু অসহ্য লাগে। একেবরাই অসহ্য ...’ আমার সোবহানবাগবাসী খালার মতোই দেশের চৌদ্দকোটি মানুষ ভয় পেতে পেতে এখন অসহ্য হয়ে উঠেছে। এবং এ অসহ্য হওয়াটা আওয়ামীলীগের জন্য মোটেও মঙ্গলজনক নয়।

২০০১-এর নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগ এভাবেই বোকার স্বর্গে বসেছিল, শেষে দেখা গেলো হিসাব সম্পূর্ণ উল্টো। আওয়ামীলীগ এই যে জ্বালাও-পোড়াও করছে, আমার কেন যেন মনে হয় এটা বিএনপিরই নীল নকশার একটা অংশ। আওয়ামীলীগ বোকার মতো সেটা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। কারণ ১৯৯৬ থেকে ২০০০ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ অনেক ভালো ভালো কাজ করেছিল। এর মধ্যে কিছু কিছু তো কালজয়ী হবার মতো।

কিন্তু নির্বাচনের আগের বছর এসেই আওয়ামীলীগের যেন ছন্দপতন ঘটে। বেড়ে যায় খুনখারাবি। সাংসদরা অস্ত্রধারী বডিগার্ড নিয়ে মিছিল করে। সেসব আবার পত্রিকায়ও আসে। চার বছরের সকল অর্জন এক বছরের অসংযমী আচরণে বিস্মরণে চলে যায় জনগণের।

কথায় বলে, পাবলিক মেমরি ইস শর্ট। মানুষ নির্বাচনের আগের হাবভাব দেখেই ভোট দেয়। আওয়ামীলীগ এখন যা করছে, পোলিং সেন্টারে গিয়ে পাবলিকের মাথায় তা-ই কাজ করবে, ভুলে যাবে ৫ বছর ধরে বিএনপি’র লুটপাট, সিন্ডিকেট ব্যবসা, ক্রসফায়ার ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই মাথা গরম না করে এখন একটু ধীমান হোন আওয়ামীলীগ। ভাবুন, বিএনপি আর কি কি কৌশল তুলে রেখেছে আপনাদের জন্য।

আর আপনারাও কিছু ভেবে রাখুন তাদের জন্য। আর আত্মসমীারও প্রয়োজন এখন আওয়ামীলীগের। আজ রাষ্ট্রের সবচেয়ে স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানগুলো বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। আওয়ামীলীগ যদি একটু ভেবে দেখে, তাহলে আমি নিশ্চিত সে বলে উঠবে,‘এ আমারই পাপ। এ আমারই পাপের ফসল।

’ রবীন্দ্রনাথের মালঞ্চ উপন্যাসের নীরজার মতো এখন আওয়ামীলীগের দশা। সে কোনটা রেখে কোনটা করবে বা বলবে তাই ঠিক করতে পারছে না। নিজের বাক্য-সংকল্পে স্থির থাকতে পারছে না। মালঞ্চের কাহিনীটা খুব সংক্ষেপে বলছি: অপূর্ব-নীরজার ১০ বছরের সংসার। তাদের সুখী দাম্পত্য জীবনে বিপর্যয় নামে মৃত সন্তান প্রসব করতে গিয়ে নীরজা অসুস্থ্য হয়ে পড়লে।

অপূর্বের ফুলের ব্যবসা। আগে স্বামী-স্ত্রী মিলে বাগানের দেখাশোনা করত। নীরজা অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বাগানের দেখাশোনা করার জন্য অপূর্বের দূর-সর্ম্পকের বোন সরলাকে আনা হয়। সরলার কর্মচাঞ্চল্য ও যৌবন শয্যাশায়ী নীরজার অন্তর্দহনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে দিন দিন সরলার প্রতি ক্রূর হয়ে ওঠে।

এখানেই এসে ঘটনা পাক খায়। সরলা সব বুঝে নিজে থেকে নীরজার পথ থেকে সরে দাঁড়াতে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। একসময় সরলা নীরজার দেবরের সঙ্গে বিপ্লবে জড়িয়ে পড়ে জেল যায়। ধীরে ধীরে নীরজার বোধোদয় ঘটতে থাকে। সে বোঝে, এভাবে অপূর্বেকে আগলে রাখার কোন মানে হয় না।

সে তো মৃত্যুপথযাত্রী, অল্প কিছুদিনে মধ্যেই তাকে পৃথিবীর মায়া ছাড়তে হবে। সরলার হাতে সব কিছু সঁপে দিতে প্রতিজ্ঞ হয়। কিন্তু শেষ দৃশ্যে এসে নীরজা ঘুরে দাঁড়ায়। পড়–ন রবি বাবুর বর্ণনা। “সরলা এসে প্রণাম করবার জন্য পায়ে হাত দিতেই যেন বিদ্যুতের আঘাতে ওর সমস্ত শরীর আপ্তি হয়ে উঠল।

পা দ্রুত আপনি গেল সরে। ভাঙো গলায় বলে উঠল,‘পারলুম না, পারলুম না, দিতে পারব না, দিতে পারব না। ’ বলতে বলতে অস্বাভাবিক জোর এল দেহে- চোখের তারা প্রসারিত হয়ে জ্বলতে লাগল। চেপে ধরল সরলার হাত, কণ্ঠস্বর তীè হল; বলল, ‘জায়গা হবে না তোর রাসী, জায়গা হবে না! আমি থাকব, থাকব, থাকব। ’ হঠাৎ ঢিলে-শামিজ-পরা পাণ্ডুবর্ণ শীর্ণ মূর্তি বিছানা ছেড়ে খাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে উঠল।

অদ্ভূত গলায় বললে, ‘পালা পালা পালা এখনি! নইলে দিনে দিনে শেল বিঁধব তোর বুকে, শুকিয়ে ফেলব তোর রক্ত। ’ বলেই পড়ে গেল মেঝের উপর। ” নীরজার আর শেল বিঁধানো হয় না। বিধাতাই তাকে জীবনযুদ্ধের ময়দান থেকে তুলে নেন। হয়তবা সরলাকে সে হাসিমুখে মেনে নিলে তার শেষযাত্রার দৃশ্যটা এতো বিব্রতকর হত না।

আওয়ামীলীগকে ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে হবে সরলা প্রকাশ আজকের ইরাজউদ্দিন সাহেবের প্রতি তাদের আচরণটা কি হবে। আওয়ামীলীগ হচ্ছে অনেকটা রাইট ভাতৃদ্বয়ের মতো। তারা প্রথম উড়োজাহাজ উড়িয়ে দেখালো মানুষও আকাশে উড়তে পারে। বিএনপি হচ্ছে মডিফায়ার। ছোট্ট প্রোপেলারের সেই নড়বড়ে উড়োযানকেই তারা সুপারসনিক করে ফেলেছে।

২০০০-এর আগে নির্বাচন কমিশন নামে প্রতিষ্ঠনটির কথা এদেশের ৮০ ভাগ মানুষই জানত না। এটাও যে বির্তকিত হতে পারে তা তাদের কল্পনারও বাইরে ছিল। একইভাবে তত্ত্বধায়ক সরকারও যে নিয়মনীতি ভেঙে আস্তাভাজন লোক দিয়ে গড়ানো যায়, সেটাও ছিলো না অনেকের ধারণায়। আওয়ামীলীগ করে দেখালো। বিএনপি শিখল।

এবার সেই জ্ঞানকে রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যেঙ্গে ফলিয়ে দেখালো তারা। আমার লেখা পড়ে পাঠক হয়ত ভাবছেন, ‘চান্দু ... ভালোই তো বিএনপি’র হয়ে বলে গেলা। সব দোষ ওই কেষ্ট ব্যাটা আওয়ামীলীগের!’ নাহ ভাই। এই দেশে কেউই দূষণমুক্ত নয়। কারো দূষণ বেশি, কারোটা একটু লঘু।

বিএনপি’র অবস্থা হচ্ছে, ‘ন্যাংটার আবার বাটপারের ভয় কি’র মতো (সরি, লেখার ভয় কি)। বিএনপি নিজেকে উলঙ্গ করতে করতে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে তা নিয়ে লেখালেখি করলে তা অশ্লীলতার দায়ে ছাপাই হবে না। দেশের প্রত্যেকটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, প্রশাসনের শেকড়-বাকড়ে পর্যন্ত এমনভাবে দূষিত করেছে বিএনপি, তা নিয়ে কিছু লিখতেও মন চায় না। শুধু একটা কথাই লিখি, ইতিহাস বড়ো নির্মোহ, নির্মম। ওটাকে দলীয়করণ করা যায় না।

আজ থেকে ৫০ না হোক ১০০, ১০০ না হোক ৫০০ বছর পর দেশের এ প্রধান দু’দলের সকল কাণ্ডকীর্তি মানুষ খোলাখুলিভাবে জানতে পারবে। তখন কিন্তু কেউ কারো দায় এড়াতে পারবেন না। একটু আগে টিভিতে দেখলাম উপদেষ্টাদের বিরোধিতার সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতি একক সিদ্ধান্তে আর্মি নামিয়েছেন। এর আগে প্যাকেজ প্যাকেজ বলে তারা মুখে ফেনা তুললেও সেই প্যাকেজ নাটকটাও দেখাতে পারলেন না আমাদের। তারপরও শুনছি, সন্ধ্যা নাগাদ আলো দেখা যাবে।

এদিকে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটে বসেছে ১৭ দল। ঈশ্বর, এই অন্ধ জাতিকে আলো না দেখাও, আপত্তি নেই, কিন্তু ট্রেনের তলায় নিয়ে ফেলো না ...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।