আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বোস্টন জাদুঘরে লুট

 

পুলিশ অফিসারদের পোশাক পরে জাদুঘরে ঢুকে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের দুর্লভ সব পেইন্টিং চুরির এই ঘটনা সারা দুনিয়াকেই কাঁপিয়ে দিয়েছিল। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ থেকেও অনেক বড় পরিমাণ ক্ষতি হয়েছিল এই দুর্ধর্ষ লুটের ঘটনায়। বিশ্বের সেরা ক'জন চিত্রশিল্পীর চিত্রকর্ম চুরি করে লুটেরার দল। মার্চের ১৮ তারিখ ছিল সেদিন। পুলিশের পোশাক পরে দু'জন লোক জাদুঘরে ঢোকে।

খুবই আশ্চর্যজনক ব্যাপার সাধারণত রাতে কোনো নিরাপত্ত কর্মীকেই এমনিতে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না, সেদিন তারা এক প্রকার বাধা ছাড়াই ভেতরে ঢুকে পড়ে। রাত দেড়টার দিকে তারা মূল ফটক দিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের বেশে জাদুঘরে প্রবেশ করে। তারা ভেতরে ঢোকার কয়েক মিনিটের মধ্যেই লুটের প্রস্তুতি শুরু করে। প্রথমেই কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীদের বেঁধে ফেলে তারা হ্যান্ডকাফ পরানোর পর তাদের শরীরে টেপ পেঁচিয়ে ফেলে। সেখান থেকে তাদের জাদুঘরের বেসমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপরের ৯০ মিনিট ছিল শুধুই লুটেরাদের। নিরাপত্তাকর্মীদের বেসমেন্টে লুকিয়ে রাখার পর তারা সোজা চলে যায় দ্বিতীয় তলায়। সেখানে ছিল চিত্রশিল্পী রেমব্রেন্ডের অমূল্য পেইন্টিংগুলো। এই ডাচ চিত্রশিল্পীর 'স্ট্রম অন দ্য সি অব গ্যালিলি' ছিল এই কক্ষেই। দুঃখজনক হলেও সত্যি সেটাও উঠিয়ে নিয়ে যায় চোরের দল।

বিশেষত এই একটি পেইন্টিংই পুরো চুরির পরিকল্পনার মূলে ছিল সেটা বোঝাই যায়। এটি ফ্রেম থেকে কেটে তুলে নেয় তারা। এখনো জাদুঘরে শূন্য ফ্রেমটি ঝোলানো আছে। এই কক্ষে রেমডেন্ট ছাড়াও ভারমিরের 'দ্যা কনসার্ট' মাস্টারপিসটিও ছিল, এটি নিতেও ভুল করেনি লুটেরারা। রেমব্রেন্ডের আরও একটি মাস্টারপিস পেইন্টিং ছিল, সেটা কোনো এক অজানা কারণে নিতে পারেনি তারা, খুব সম্ভব ফ্রেম থেকে ছাড়ানো যায়নি সেটি।

এছাড়াও সেদিন চুরি যায় গোভার্ট ফ্লিনকসের 'ল্যান্ডসকেপ উইথ এন ওবেলিসক'। লুটেরাদের আরেকটি দল ছিল সর্ট গ্যালারিতে। তারা সেখান থেকে তুলে নেয় ডেগাসের অনন্য সাধারণ সব স্কেচ। প্রথম তলায় ব্লু রুমে অতি যত্নে রাখা 'এ ম্যানেট' প্রোট্রেইটটিও খোয়া যায়। সোজা কথায় একে একে উঠিয়ে নেওয়া হয় চিত্রকরদের দুর্লভ ও অমূল্য সব পেইন্টিং।

যদিও টাকার অংক কষে এসবের সম্ভাব্য মূল্য ধরা হয়েছে তবে সত্যি কথা হলো এগুলোর মূল্য টাকার অংকে বিচার করা যাবে না। এমন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পীদের অরিজিনাল পেইন্টিং চুরি যাওয়া মানে একটি সময়ের প্রতিচ্ছবি, মেধার সেরা কর্ম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া। টাকা দিয়ে সেটা কোনো ভাবেই পুষিয়ে নেওয়া যায় না।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।