আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সূফীবাদের দোহাই দিয়ে পীরের নামদারি প্রতারক কুতুব বাগী পীরের আনাচার ো শরীয়ত বিরোধী শিরকী-বেদাতি কার্জকলাপের বিরদ্ধে সুচ্চার হতে মুসলমান ভাই/ বোনের প্রতি উদ্ধাত আহব্বান।

সন্মানিত মুসলমান ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে,কিছুদিন থেকে ৩৪,ইন্দিরা রোড ,ফার্মগেট এলাকায় কুতুব বাগি পীর নামধারী এক ভণ্ড প্রতারকের আবির্ভাব ঘটেছে । মুসলিম সমাজের পরম শ্রদ্ধেয় অনেক বুজুর্গানে দ্বীনের নাম উল্লেখ করে সম্প্রতি তিনি একটি হ্যান্ডবিল প্রচার করছেন। তাতে কুরআন মাজিদের একটি আয়াত ও হাদিসের নামে ভুল আরবি বাক্যের একটি জাল হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে 'উরুস' এর মত একটি স্পষ্টত বেদআতকে শরিয়ত সম্মত ছওয়াবের কাজ বলে প্রচারনা চালাচ্ছে। উক্ত পত্রে তিনি ওরসকে একটি আরবি শব্দ উল্লেখ করে তার আর্থ বলেছেন-মহামিলন যা সম্পূর্ণই ভুল।

আরবি ভাষায় উরসের আর্থ হল কনে ,কন্যা,বিবাহ,বিবাহ উৎসব,উটের ছোট শাবক এবং ক্রিয়া পদে এর আর্থ হল -আনন্দে থাকা , স্বামী-স্ত্রির মিলন,ইত্যাদি (দ্রঃ আরবি ভাষার নির্ভরযোগ্য আভিধানস্মুহ,আরবি বাংলা আভিধান পৃঃ৩৫২, মিসবাহুল লুগাহ পৃঃ৫৪২ ইসলামি ফাউন্ডেসন কর্তৃক প্রকাশিত)অথচ পবিত্র কুরআন শরিফ ও হাদিস সাস্ত্রসহ আরবি ভাষার নির্ভরযোগ্য কোণ কিতাবে এই আজগবি ব্যাখ্যার অস্তিত্ব নাই। ওরস কনো ইবাদত নয়;বরং শরীয়তের মাজে নব আবিষ্কৃত একটি গোনাহের কাজ,'বিদআত' যা সকল মুসলমানের জন্য বর্জনীয়। দেখুন তাফসিরে মাজহারি-২য় খন্দ,পৃঃ৬৫,ফতুয়ায়ে আজিজি লেখক শাহ্‌ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভি পৃঃ১৫১,হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা লেখক- শাহ্‌ অয়লিউল্লাহ দেহলভি ২য় খণ্ড -পৃঃ৭৭। ) এই কুতুব-বাগী,দেওয়ান-বাগী,আটরসি,মাতোয়ালি ও তাদের আনুসারীরা বিভিন্ন নামের একটি চক্র এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ও বটে। এদের আসল চান্দ্র-পারার মরহুম পীর।

চান্দ্র-পারার পীরের এক মেয়ে বিবাহ করেছে দেওয়ান-বাগীর পীর। আর এক মেয়ে বিবাহ করেছে আটরসির মরহুম পীর। এরা উভয়ে আবার তাদের ভাষ্যমতে চান্দ্র-পারার পীরের খলিফাও। চান্দ্র-পারার পীরের আরেক খলীফা হল মাতোয়ালির পীর। আটরসির পীর ,দেওয়ান-বাগীর পীর,মাতোয়ালির পীর এরা তিন জনই পীর ভাই।

অন্যদিকে কুতুব্বাগী হল মাতোয়ালির পীরের তথাকথিত খলিফা। তারা ভণ্ডামিতে ও আত্মীয়তায় একই সুত্রে গাথা। এই চক্রটি প্রশাসনের কিছু আসাধু ব্যাক্তি এবং স্থানীয় কিছু বিপদ্গামী সন্ত্রাসীদের সত্র-ছায়ায় মুসল্মান্দের ইমান ধ্বংসের মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলমানদের স্থায়ী ক্ষতি সাধনের সুধুর প্রসারই চক্রান্তে নিয়োজিত রয়েছে । এই ভণ্ড প্রতারকরা মাদ্রাসায় পড়ে আলেম হবে তো দূরের কথা প্রাথমিক স্তরের বাংলা লেখা পড়ার বিদ্যাও জানা নেই। কোরআন শরিফ শুদ্ধ করে পরতে পারে না।

ফযরের নামায ও জামাতে আনুপস্থিত থাকে বলে নাম না প্রকাশ করার সর্তে তার দরবারের লোকেরা জানিয়েছে। তার এহেন ভণ্ডামির বিরুদ্ধে ইতিমদ্ধে ফার্মগেট ও তার আশেপাশের ৩৩ টি মসজিদের সন্মানিত ইমাম সাহেব,ওলামায় কেরাম এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। হঠাৎ গজিয়ে ওঠা আস্তানাকে কেন্দ্র করে কুতুব-বাগী পীর এলাকায় উরসের নামে নারী পুরুষের সমাবেশের আয়োজন করে থাকেন। সে উপলক্ষে দের-দু মাস পূর্ব থেকে পার্শ্ববর্তী মাঠ ও রাস্তা জুরে গরু মহিষ, উট-বকরির প্রদর্শনী করেন আর এমন সব চোখ ধাঁধানো প্রসাদপম গেইট স্টেজ,প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জার আয়োজন করেন যা যে কোণও পথচারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিদ্যুতের চরম ঘাতটির মধ্যে তিনি উড়স শুরু হবার ১০/১২ দিন আগে থেকেই হাজার হাজার লাইটের মহড়া দিয়ে বিদ্যুতের আপচয় করেন।

অথচ এ ধরনের আলোকসজ্জা ইসলামের দৃষ্টিতে নিন্দনীয় অপব্যয় হিসেবে গণ্য,যা শয়তানী কাজের অন্তর্ভুক্ত। অপরদিকে আলিসান আস্তানায় বসে তিনি রিয়েল ষ্টেট ব্যবসায়ের দালালি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার তথ্য বেরিয়ে এসেছে এটিএন বাংলার এক প্রতিবেদনে। মুসল্লিগণসহ সর্বস্তরের ভাই-বোনদের জোড়ালও ভাবে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কুতুব বাগীর ভণ্ডামির কিছু নমুনা ১=>কুতুব বাগীর পাশে একরাত করলে ইবাদত হাজার সালের বন্দেগি হয় করলে মোহাব্বত। ২=> আওয়ালে আখেরে তুমি জাহেরে বাতেনে তুমি তুমার মতন এমন দয়াল হবে না এই দুনিয়ায়।

৩=>যেদিন থাকবেনা না হুশ নাফসি নাফসি করবে মানুষ সেই দিন তুমি থাইক পাশে বাবা বন্দুরও বেশে। ৪=>আমার ভরসা কেবলা তুমি গু দয়াল বাবাজান আমার ভরসা কেবল তুমি। সুত্রঃশানে কুতুব-বাগী,কুতুব বাগ দরবার শারিফ। ৩৪ ইন্দিরা রদ(৭/৯/২০১৩) মুরিদের আদব ১= মুরিদের অবশ্যই পীরের উপর পুরিপর্ন আস্থাশীল হতে হবে, পীরের কোন কাজে সন্দেহ করা যাবে না। ২= প্রয়োজন ছাড়া পীরের সম্মুক্ষে হাঁটবে না ও তার ছায়া পারাবে না।

৩= পীরের উপস্থিতে উচ্চস্বরে কথা বলা যাবে না এবং পীরের সামনে আদবের সাথে নামাজের কায়দায় বসবে এবং খালি হাতে মুসাহাফা করিবে না। ৪= পীরের কাচে বিদায় নেওয়ার সময় সম্মুখ দিয়া বিদায় নিবে । ৫= পীরের জায়নামাজে পা রাখিবে না এবং তার ব্যবহৃত কোণও জিনিস ব্যবহার করবেনা। ৬=তাহার উজু গোসলের জায়গায় উজু করবেনা। ৭= বিনা প্রয়োজনে পীরের নাম মুখে আনিবেনা ।

৮= পীর যাহাকে ভালবাসে তাহাকে ভালবাসিবে ও পীর যাহাকে আপসন্দ করে তাহাকে অপছন্দ করিবে। ৯= পীরের বাড়ির দিকে পা রাখিবে না ও সেদিকে ফিরে এস্তেঞ্জাও করিবে না। ১০= পীরের আওলাদগণকে ভালবাসিবে ও সন্মান করিবে। ১১= পীরের চোখে চোখ রেখে কথা বলবে না, পীর যখন মুরিদের চোখে তাকায় মুরিদ তখন পিড়ের কদম মুবারকের দিকে তাকাবে। ১২= দরবারের কোণ অনুষ্ঠান কাজা করবেনা।

১৩= কিছু দিনের জন্য হলেও জান মাল দিয়ে পিড়ের খেদমত করিবে । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৫১ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।