আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পীরের প্রতারণা

হাসান শাহ’ নাম ধারণ করে পীর সেজে কিশোরগঞ্জের বকুল নামের এক প্রতারক সিলেটের বিশ্বনাথ থেকে ২২ লাখ টাকা ও ১১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। কথিত এই পীর চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মুরিদ তৈরি করে প্রতারণা করেছে বলেও জানা গেছে। এছাড়া রাজশাহী ও ময়মনসিংহে দুটি বিয়েসহ তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারিরও অভিযোগ রয়েছে। প্রতারিত লোকজন হন্য হয়ে তাকে খুঁজে ফিরছেন। কিশোরগঞ্জ শহরতলির সতাল এলাকার বাদশাহ মিয়া (৪৫) জানান, তিনি বিশ্বনাথে ২০ বছর ধরে জুয়েলারি ব্যবসা করেন।

সেখানে ‘রিটার্ন জুয়েলার্স’ নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি বিশ্বনাথেই বিয়ে করেছেন। ৩ মাস আগে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের ছয়না গ্রামের রবি ফকিরের ছেলে বকুল (৪২) বিশ্বনাথে একটি বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে বাদশাহ মিয়ার বাসায় ওঠেন। সেখানে মাদানিয়া মাদ্রাসা মার্কেটে আস্তানা স্থাপন করে বকুল ‘পীর হাসান শাহ’ পরিচয় দিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে খাতির জমাতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি লন্ডনে লোক পাঠানো এবং আধ্যাত্মিক উপায়ে বিপুল অঙ্কের টাকা বানিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অসচেতন ধনাঢ্য লোকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতে থাকেন।

এভাবে তিনি বেশ কিছু লোকের কাছ থেকে প্রতারণা করে নগদ ২২ লাখ টাকা এবং বাদশাহ মিয়ার স্ত্রীর কাছ থেকে ১১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে কয়েকদিন আগে উধাও হয়ে যান। এখন স্থানীয় লোকেরা টাকা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বাদশাহ মিয়াকে চাপ দিচ্ছেন। বাদশাহ মিয়া উপায় না দেখে বিশ্বনাথ থেকে সস্ত্রীক কিশোরগঞ্জে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানায় মামলা করবেন বলে জানান। বাদশাহ মিয়া জানান, ভণ্ড পীর বকুল বিশ্বনাথের মাসুক নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে নগদ ৭ লাখ টাকা, হাবিব নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছেন।

তিনি বলেন, বকুল রাজশাহীতে প্রতারণা করে একটি বিয়ে করেছেন। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জামতলা এলাকায় বড় ভাইয়ের শালিকেও বিয়ে করেছেন। বকুল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পীর সেজে প্রতারণা এবং কারাভোগ করেছেন বলেও বাদশাহ মিয়া জানান। বড় বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বকুলের ছবি রয়েছে, সেগুলো মানুষকে দেখান বলেও বাদশাহ মিয়া জানান। বিশ্বনাথ এলাকার হাজী আবদুল হাইয়ের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকার বহু মানুষের কাছ থেকে ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ করে টাকা হাসান শাহ বকুল প্রতারণর মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাদশাহ মিয়ার খালাত ভাইয়ের পরিচয়ে হাসান শাহ আস্তানা বানিয়েছিলেন। কাজেই এসব প্রতারণার জন্য এলাকার লোকজন এখন বাদশাহ মিয়াকেও দায়ী করছেন। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.