আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক নযরে রাজারবাগি পীর ও তার ভন্ডামি

মেনে নিব না, আসে যদি ইসলামের উপর কোন আঘাত। মাঠে নেমেছি, হয় সফলতা নয়ত চাই শাহাদাত অনেকেই রাজারবাগি পীর সম্পর্কে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন, তাদের উৎসর্গ করেই আজকের এই পোস্ট (ক)>রাজারবাগি কি? =রাজারবাগ হল ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল সংলগ্ন একটি এলাকা। সেই এলাকার ৫ নং আউটার সার্কুলার রদে রাজারবাগ দরবার নামক একটি সংরক্ষিত এলাকায় এক ভণ্ড পীরের আস্তানা। সেই ভণ্ড পীর, তার অনুসারী এবং তার দরবারের প্রচারণার কাজে নিয়োজিত ব্লগারদের সাধারণত রাজারবাগি বলা হয়। (খ)>রাজারবাগি পীরের পরিচয় কি? = *রাজারবাগি পীরের নাম দিল্লুর রহমান।

*তার পিতা মোখলেসুর রহমান একজন তাত ও সুতার ব্যবসায়ি ছিল। *তার পড়াশুনার সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য না পাওয়া গেলেও সে নিজেকে বাহরুল উলুম তথা গিয়ানের সমুদ্র বলে দাবী করে। *তার ব্যপারে অভিযগ রয়েছে, সে তার ভাইদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে এবং এই নিয়ে মামলাও বিচারাধিন। (গ)>কেন রাজারবাগির পীর দিল্লুকে ভন্ড বলা হয়? = *আত্নশুদ্ধি অর্জনের জন্য যে সাধনা করা হয়, তাকে বলা হয় তাসাউফ। রাজারবাগি পীরের দাবি সে এই তাসাউফ শাস্ত্রের সর্বোচ্ছ নেতা।

*রাজারবাগি পীরের দাবী, স্বয়ং আল্লাহ ও প্রিয়নবী(স) তাকে এই পীরালির দায়িত্ব দিয়েছে। *তার দাবি, সে আব্দুল কাদির জিলানি(র) এর থেকেও অনেক বড় ধরনের পীর। *তার দাবী, সে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুফতি, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার সমুদ্র, মুফাসসিরীনদের মুকুট, মারেফাতের ভান্ডার, সমস্ত ওলি-আল্লাহ এবং ইমামদের সর্দার ইত্যাদি। *তার দাবী, তার মুরিদ স্বপ্ন দেখেছে, প্রিয়নবী(স) আদেশ করেছেন, কোন বিষয়ে জানতে হলে তার কাছে এসে জানতে হবে। *সে স্বপ্ন দেখেছে, সে নাকি প্রিয়নবী(স) এর বংশধর।

*সে নাকি স্বপ্নে দেখেছে, প্রিয়নবী(স) সবাইকে আদেশ করেছেন তার দরবারের পত্রিকা আল-বায়্যিনাত পড়ার এবং বলেছেন, যারা আল বায়্যিনাতের বিরোধিতা করবে তারা ইমানহারা ও ধ্বংস হয়ে যাবে। *তার দরবারের পত্রিকা আল বায়্যিনাত নাকি বাংলা ভাষার কোরআন শরীফ। (ঘ) রাজারবাগি পীরের কোন কুফরি বা শিরকি বিশ্বাস আছে কি? =অনেক আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ *তার দাবী, সে কায়্যুমুয যমান তথা যমানার ধারক বাহক। *সূর্য এবং চন্দ্র নাকি তার(দিল্লুর) অনুমতি ব্যতিত উদিত হয় না বা অস্ত যায় না।

(ঙ)>আর কি কি ভন্ডামি আছে? =আবু বকর(রা) কে প্রিয়নবী(স) সিদ্দীক উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। এই কারণে আবু বকর(রা)কে বলা হয় ইমামুস সিদ্দিকীন। অথচ রাজারবাগির দিল্লু নিজের নামের সাথে এই উপাধি ব্যবহার করে। *নবীদের নামের শেষে শুধুমাত্র আলাইহিস সালাম যোগ করার রীতি জন্ম থেকে দেখে আসলেও রাজারবাগি পীরের নামের শেষে আলাইহিস সালাম যোগ করা হয়। *আল বায়্যিনাত পড়লে তার নাম নবীদের দফতরে লেখা থাকে।

*হানাফি মাযহাব অনুসারে, কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট বর্ণনা ছাড়া কোন বিধান ফরয না হবার কথা থাকলেও রাজারবাগ দরবারের পোস্টারে লেখা থাকে, ঈদে মিলাদুন্নবী নামক কথিত ঈদ উপলক্ষে রাজারবাগ দরবারের ৫৮ দিন ব্যাপি অনুষ্ঠান চলতাছে, তাতে আর্থিকভাবে সহায়তা করা সকলের উপর ফরয। =================================== এছাড়া অন্যান্য ভন্ড পীরের মতন নানান শিরকি-কুফরি আকিদা-বিশ্বাস তো রয়েছেই। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩৩ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।