আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এখন ভালো আছি, আপনাদের শুভকামনায়

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।

থমকে আছে আকাশ, কেমন গুমোট একটা আবহাওয়া । তেমনি গুমোট হয়ে আছে ঘর-দোর । অগোছালো চারদিক ।

ঘরে পত্রিকা গুলো লুটোপুটি খাচ্ছে এধারে ওধারে, তেমনি জমেছে উঠেছে ঘর ভর্তি সিগারেটের প্যাকেট, এস্ট্রে উপচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আধ খাওয়া সিগারেট । ড্রইং রুমের মেঝেতে এলা মেলো হয়ে আছে সোফার কুসন গুলো , একধারে পানির বোতল আর কয়েকটা নোংরা চায়ের কাপ । ডাইনিং টেবিল ঝুড়ে আছে সব বাসনকোসন , গ্লাস জমেছে ধুলোর আস্তর । বেড রুমে বিছানা জুড়ে সব বালি কাথা । সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ।

এদিক ওদিকে ঝুলছে টি-শার্ট ফতুয়া জামা সহ নানা রকম কাপড় চোপড় । আরেক রুমে পড়েছে ধুলোর আস্তর । আর কিচেন, সেখান ঢোকার জো নেই । আছে সব নোংরা থালাবসন । আরা কম্পিউটার রুমের চেহেরা তো প্রথমে বললাম ।

এই সবকিছু নিয়ে এই গুমোট আবহাওয়া আমি বসে আছি । গোছাবার কেউ নাই, গত একমাস এখানে কেউ ছিল না । আমি এলাম তিনদিন আগে, আমার বাসায় । কাজের লোকেরা ছুটিতে, এখনও ফেরেনি । একজন তো এরমাঝেই খোদা হাফেজ জানিয়েছে ।

এই নোংরা জঞ্জালের স্তুপ সরাব কি করে ?? মাথা ঘুরছে । অনাকাংক্ষিত অনেক কিছু ঘটেছে এর মাঝে । আমার জীবনসঙ্গীর ব্রেন টিউমার জানতে পারি ১৫ সেপ্টেম্বর । তার আগে থেকেই ১৪ তারিখ থেকে হাসপাতালে । ২২ তারিখ পর্যন্ত ইউনাটেড হাসপাতালে এরপর ২৩ তারিখ দিল্লীতে পারাশ হাসপাতালে ড: ভি এস মেহতা অধীনে ।

র্সাজারি হয়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর , সফলভাবে । এরপর গত ২০ অক্টোবর আমরা দেশে ফিরলাম । ঘরদোরে এই অবস্থা দেখে সোজা শশুর বাড়ি । সে এখন ভালো আছে , আমিও , আপনাদের শুভকামনায় । কিন্তু এই ঘরদোর গোছাব কি করে? ৩ দিন ধরে ভাবছি ... কোথা থেকে শুরু করব.... কাজের লোক আসুক , কিন্তু ততোক্ষণ পর্যন্ত ?? এই জঞ্জালের সাথেই বসবাস ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।