আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংক্ষিপ্ত বগুড়া ভ্রমন

সমাধান খুজছি

অফিসের কলিগ এর বিয়ে ছিল বগুড়ায়। সেই সুবাদে ৬ তারিখ বিকেলে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম ঢাকা থেকে। প্রথমবার যমুনা সেতু পার হলাম। রাত দশটা নাগাদ পর্যটন মোটেল এর সামনে বাস থেকে নামলাম। একটু ঝামেলা হলেও রুম পেয়ে গেলাম।

কোন এক কোম্পানীর কনফারেন্স উপলক্ষে অধিকাংশ রুম বুক করা ছিল। রুমে ব্যাগ রেখে মুখ হাত ধুয়েই বেরিয়ে পড়লাম বগুড়ার বিখ্যাত দই এর সন্ধানে। আগেই খোজ নিয়ে জেনেছিলাম, দই পাওয়া যাবে সাত-মাথা নামক স্থানে। মোটেল এর সামনেই টেম্পু (পূর্বের টু স্ট্রোক টেক্সি থেকে বানানো) পেয়ে গেলাম। সাত-মাথায় যেতে লাগল প্রায় ১০ মিনিট।

কয়েকটি দোকান থাকলেও আমরা লোকমুখে শুনে দই কিনলাম "আদি মহররম আলি" এর দোকান থেকে। দই খেয়ে একটু হতাশই হলাম। একই স্বাদের দই ঢাকাতেই পাওয়া যায় "বগুড়ার দই" হিসেবে। আমরা শুনেছিলাম আসল বগুড়ার দই একদম অন্যরকম এবং সেটা ঢাকাতে যায় না। পরদিন মহাস্থানগড় ভ্রমণ করলাম সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে।

এর পর বিয়েতে গেলাম (টিপ টপ কমিউনিটি সেন্টার), তারপর আবার বিকেল এর বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা। বগুড়া শহরটা ছোট হলেও দেখলাম অনেক উন্নতির ছোয়া লেগেছে। রাস্তাগুলো অনেক প্রশস্ত। অনেক ব্যাংক, দোকানপাট দেখলাম। কিন্তু ভীড় নেই বেশী।

সাধারন মানুষদের মধ্যে খুব একটা অধৈর্য ভাব বা তাড়া দেখিনি। শহরটা বেশ ভাল লেগেছে, সুযোগ পেলে আবার যাওয়ার ইচ্ছে আছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।