আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইতালীতে বর্ণ বৈষম্য ও অভিবাসীদের প্রতি ইতালীয়দের ঘৃনাবিদ্বেষ বৃদ্ধি!!


ইতালীতে বর্ন বৈষম্য এবং সে দেশের অভিবাসীর প্রতি ইতালীয়দের ঘৃনা বৃদ্ধি পেয়ে সেখানকার সামাজিক পরিস্হিতি চরম আকার ধারন করেছে। বিগত দিনগুলোতে হামলাকারী দের হাতে অভিবাসীর মৃত্যু প্রকাশ্যে রাজপথে বিদেশীকে প্রহার সহ বিমান বন্দরে কাষ্টটম পুলিশ কর্তৃক বিদেশী মহিলা যাত্রীর শ্লীলতাহানীর সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ইতালীর সরকার ও রাজনৌতিক দলের মধ্য মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। বিগত দিনের ঘটনা প্রবাহ পর্যবেক্ষন করে ইতালীর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট খিওরখিয়ো নাপোলিটানো সে দেশে বর্নবৈষম্য থাকার কথা স্বীকার করে বলেন,এ বিষয়ে দ্রুত সির্দ্ধান্ত না নেয়া হলে পরিস্হিতি বিপদজনক পর্যায়ে চলে যেতে পরে। খিওরখিয়ো নাপোলিটানোর এই বিবৃতির কিছুপূর্বে সংসদ সভপতি গিয়ানফ্রাঙ্কো ফিনি একই ভাবে তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বর্নবৈষম্য ও অভিবাসীর প্রতিঘৃণা ও প্রতিহিংসা শুরু হয় গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্য গোলাগুলির মধ্যদিয়ে।

সেদিন ৩ জন ইতালীয় অস্রধারী একদল অভিবাসীকে লক্ষ করে ব্রাস ফায়ার করে। সে ঘটনায় ঘানা, টোগো ও নাইজেরিয়ার নাগরিকসহ মোট ৬জন নিহত এবং ২০জন আহত হয়। এর কিছুদিন পূর্বে একচীনা নাগরিক একদল রুমানিয়া জিপসী উদ্বাস্তু কর্তৃক দিবালোকে রাস্তায় প্রহৃত হয়ে গুরতর আহত হয়। সমসময়ে এক সোমালীয় অভিবাসী পুলিশের পিটুনীতে আহত হয়। সর্বশেষে পরিস্হিতি নাজুক আকার ধারন করে গত শুক্রবার সোমালীয় একবিমান যাত্রীর সম্ভ্রমহানীর মধ্যদিয়ে।

এই সোমালীয় নারী অভিযোগ করেন, সিয়ামপিনোর বিমান বন্দর পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে তাকে উলংগ করে সারা দেহ তল্লাসী চালায়। গতকয়েকদিনে ঘটে যাওয়া ঘটনার পেক্ষিতে ও বর্নবৈষম্য বিরদ্ধে সমগ্র ইতালীতে ইতালীর নাগরিকসহ প্রায় ৫০ হাজার অভিবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ইতালীর জনগন বিদেশীদের বিষয়ে কি মনোভাব পোষন করে এই বিষয়ে সেদেশের দৈনিক পত্রিকা 'লা রিপাবলিকা' জনমতের ভিত্তিতে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করে। জরীপের ফলাফলে বলা হয় ৫০,৭ শতাংশ ইতালীয় মনে করে আভিবাসীগণ তাদের অস্তিত্তের উপর হুমকিস্বরূপ। যে স্হানে ২৯,৩ শতাংশ জার্মানী, ২১,৬ শতাংশ ফ্রান্স, ৩৬,৫ শতাংশ যুক্তরাজ্যের নাগরিক গণ মনে করে।

আরেকটি জরীপের তথ্যানুযায়ী বলা হয়,৩৫,১ শতাংশ ইতালীয় মনে করে অভিবাসীগণ তাদের সংস্কৃতি ও ধর্মের উপর হুমকিস্বরূপ,যেখানে ২২ শতাংশ ফ্রান্স, ২৫,৭ জার্মানী এবং ৩৩,৫ শতাংশ যুক্তরাজ্যের নাগরিকগণ এই মতপোষন করে। ইতালীর অভিবাসন সমস্যাটি কেবল মাত্র সেদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক অংগনে বিব্রতকর পরিস্হিতি সৃষ্টি হয় নাই এটি স্পেনের রাজনৈতিক অংগনে প্রবেশ করছে যখন ইতালীয় স্বারাষ্ট্র মন্ত্রি মারোনী একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ইতালীর জিপসী রুমানীয় উদ্বাস্তু গুলো একযোগে 'ছাপাতেরোর স্পেনে' বসবাসের জন্য চলে গেছে। Click This Link
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.