আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রশ্নোত্তরে গ্লোবাল ওয়ার্মিং

আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ............

গতকাল গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিষয়ে কতগুলো প্রশ্ন রেখেছিলাম ব্লগারদের জন্য। আজ ঐ সকল প্রশ্নের উত্তর ও ব্যখ্যা দিলাম। ব্যখ্যাগুলোতেও জানার আছে অনেক কিছু তাই এটি নিয়ে আলাদা একটি পোস্ট দিলাম। প্রশ্নোত্তর একসাথে আপডেট করা হল গতকালকের পোস্টে। 'গ্লোবাল ওয়ার্মি' আপনি কতটুকু জানেন?? পড়ার জন্য ক্লিক করুন ১. ইউ.এস.এ. বর্তমানে সবচেয়ে বেশি CO2গ্যাস নিঃসরণকারী দেশ(৩০%)।

এবং সবচেয়ে বেশি প্রায় ২০% গ্রীনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ করে। তবে মনে করা হচ্ছে চীন এই দশকের শেষে ইউ.এস.এ. কে ছাড়িয়ে যাবে। ২. বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা(WHO) এর হিসাব অনুসারে, গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাবে প্রতি বছর ১৫০,০০০ হাজার লোক সারা পৃথীবিতে মারা যাচ্ছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলে খাদ্য উৎপাদন কমে যাওয়া এই মৃত্যুর অন্যতম কারণ। ৩. বায়ুমন্ডলে নিঃসারিত CO2এর প্রভাব শেষ হতে কয়েক দশক এমনকি ১০০ বছর পর্যন্ত লাগে।

৪. গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাবে পোলার বিয়ার বিলুপ্ত হয়ে যাবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর্কটিক অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলতে শুরু করায় পোলার বিয়ার খাদ্য শিকারের জন্য কম সম্য পাচ্ছে, যেটা তাদের ফ্যাট রিসার্ভের পরিমান কমিয়ে দিচ্ছে, জন্মহার কমে যাচ্ছে এবং মা পোলার বিয়ারের দুধ উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে। ৫. পরিবেশের বিরূপ পরিবর্তন এর জন্য আংশিক দায়ী প্রাকৃতিক কারণ, এবং আংশিক দায়ী মানব সৃষ্ট কারণ। বিজ্ঞানীদের মতে, গত কয়েক দশকের বৈশ্বয়িক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য জন্য দায়ী অধিক মাত্রায় গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ। ৬. মহাকাশ গবেষণাকারী কার্ল স্যাগান(Carl Sagan) শুক্র বা venusগ্রহের একটি বিষাক্ত বায়ুমন্ডলকে ‘প্রোডাক্ট অফ এ রানওয়ে গ্রীনহাউস ইফেক্ট’(product of a runway greenhouse effect) হিসাবে আখ্যা দেন।

৭. হাইব্রিড কার গঠিত হয় একটি অর্ন্তদাহ ইঞ্জিণ যা একটি ব্যাটারি সিস্টেম দ্বারা চালিত(Hybrid cars combine an internal combustion engine with a battery system) । অনেক গাড়িতে এটা জ্বালানী সাশ্রয় করে। কিন্তু কিছু হাইব্রিড ইঞ্জিন এই সঞ্চিতিকে বর্ধিত শক্তি হিসাবে অন্য কাজে ব্যাবহার করে। যেমনঃ গাড়ির এসি চালাতে শক্তি যোগায়। আপনি যদি হাইব্রিড ইঞ্জিনের গাড়ি কেনেন তবে এর জ্বালানী সাশ্রয়(fuel economy rating) হার জেনে নিন।

৮. বিমান চলাচল এর ফলে দুই ভাবে বায়ুমন্ডলে প্রভাব পড়ে। প্রথমত, প্রচুর গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসারণ করে এবং অতিরিক্ত মেঘের(contrails) সৃষ্টি করে। এই contrails দিনের বেলায় আবহাওয়ার উপর খুব বেশি একটা প্রাভাব ফেলে না। কিন্তু রাতের আকাশে যখন সূর্য থাকে না তখন এই contrails উষ্ণতা বৃদ্ধির(warming agent) কাজ করে। ৯. গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলে-ইন্সুরেন্স কোম্পানিকে অনেক বেশি বেশি দুর্যোগ জনিত বীমা দাবি পরিশোধ করতে হবে।

বানিজ্যিক মৎস আহোরণ এর ক্ষেত্রে মাছের স্বল্পতা দেখা দিবে। আংগুর এর ফলন কমে যাওয়ায় ওয়াইন উৎপাদন শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ১০. বরফ আচ্ছাদিত পৃষ্ঠ বেশি সৌরশক্তি প্রতিফলিত করে বরফ বিহীন ভূ-পৃষ্ঠ থেকে, যেটা বৈশ্বয়িক উষ্ণতা কমায়। কিন্তু বরফ আচ্ছাদিত পৃষ্ঠ কমে যাওয়াতে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। কারণ, সাধারণ বরফ বিহীন ভূ-পৃষ্ঠ তাপ শোষণ করে বেশি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।