আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রীঃ ১০ টাকা কেজি চাল দেয়ার কথা ৯৬ সালে তেজগাঁয় এক নির্বাচনী সভায় বলেছিলাম

আমার লেখালেখি এবং চিন্তাভাবনা নিয়েই আমার ব্লগ।

জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী ১০ টাকা কেজি চাল দেয়ার কথা ৯৬ সালে তেজগাঁয় এক নির্বাচনী সভায় বলেছিলাম সংসদ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আমি কোথায়ও কোন জনসভায় ১০ টাকা কেজি চাল দেব এমন কথা বলি নাই। আমার এই ধরনের বক্তব্য ছিল ১৯৯৬ সালে তেজগাঁয় একটি নির্বাচনী জনসভার বক্তব্য। অপপ্রচারে লিপ্ত বিরোধী দল আমার ৯৬ সালের বক্তৃতা ইন্টারনেটে (ইউটিউব) ছেড়েছে। তাতে ক্যাপশন দিয়েছে ২০০৮-এর।

আমি ৯৬ তে যে ওয়াদা করেছিলাম তা পূরণ করেছিলাম। ২০০১ সালে যখন ক্ষমতা ছাড়ি তখন চাল ১০ টাকা কেজিই রেখে এসেছিলাম। আর তারা সেই চাল ৪৫ টাকা কেজিতে উন্নীত করেছে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে জাসদের মইনুদ্দিন খান বাদলের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত কথা বলেন। স্পিকার আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে গতকাল বিকেলে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রথমেই ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম বিরোধী দলের হৃদয়ে প্রবেশ করে না। তারা অপপ্রচারে লিপ্ত। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও তারা জনগণের জন্য কাজ করেনি। তারা ক্ষমতায় এসেছিল ভোগ, বিলাসিতা ও বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য। এই কাজেই তারা ব্যস্ত ছিল।

আমরা জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। গ্রামে-গঞ্জে এখন কোথায়ও কোনো হাহাকার নেই। আমরা ভিজিএফ ও ভিজিডি কার্ড দিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের চাল দিচ্ছি। স্বল্প আয়ের মানুষদের রেশন দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। ওএমএস চালু করেছি।

মোশতাক আহমেদ রুহীর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমার সরকারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনো দীর্ঘসূত্রিতা নেই। আজ (বুধবার) আমারা শততম কেবিনেট বৈঠক করেছি। ৩ মাস পরপর আমরা কেবিনেটের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করি। গত ৩ মাসে গৃহীত সিদ্ধান্তের ৮৪ ভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। কোন কোন মন্ত্রণালয় শতভাগ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।

জোট আমলে দুর্নীতির মাধ্যমে অনেকের চরিত্র নষ্ট করা হয়েছিল। এখন প্রশাসন ঠিকমতো কাজ করছে। জনগণের কাছে দেয়া ওয়াদা আমরা পুরোপুরি বাস্তবায়নে সক্ষম হবো। আব্দুর রাজ্জাকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের অপচয় রোধ করার জন্য প্রিপেইড মিটারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটি দিয়াশলাইয়ের কাঠি বাঁচানোর জন্য সার্বক্ষণিক চুলা জ্বালিয়ে রাখা হয়।

এতে শুধু গ্যাসের অপচয়ই নয় বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। এছাড়াও সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই সিলিন্ডার গ্যাসের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছি। এক সময় বলা হতো যে দেশ গ্যাসের ওপর ভাসছে। রফতানির জন্য বড় ধরনের চাপ ছিল।

আমি সেই চাপের কাছে মাথানতো করি নাই। এজন্য ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ২০০১ সালে ক্ষমতায়ই আসতে পারি নাই। অপু উকিলের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে নারী শ্রমিকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা যে কাজ করবে এবং সেই দেশের আচার-আচরণ ও পরিবশে সম্পর্কে শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অপু উকিলের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চলতি অর্থবছর শেষে রফতানি আয় ১ লাখ ৫২ হাজার ১শত ৯৬ কোটি টাকা ছেড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চয়ন ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ বিনিময় কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য দুদেশের কারিগরি কমিটি কাজ করছে। আগামী ২০১২ সালের ডিসেম্বর নাগাদ ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সম্ভব হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.