আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে সম্পদে যাকাত দিতে হয়।



সব ধরণের সম্পদের উপর যাকাত ফরয হয় না। বরং শুধু ঐ মালের উপর ফরয হয় সাধারণত বাড়তে থাকে। যেমন ব্যবসার মাল, বা গবাদি পশু, কিংবা স্বর্ণ-রোপ্য। কেননা স্বর্ণ-রৌকেই ইসলাম ব্যবসার উপল্য সাব্যস্ত করেছে; চাই কেউ তাকে অলংকার বানিয়ে রাখুক, অথবা স্বর্ণ-রৌপ্যের টুকরো বাক্র বন্দী করে রাখুক, সর্বাবস্থাতেই সেটা ব্যবসার মাল। এ জন্যই স্বর্ণ-রৌপ্যের উপর সেটা যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন (নেসাব পরিমাণ হলে) যাকাত ফরয হয়ে থাকে।

উল্লেখিত তিন প্রকারের মাল [১·ব্যবসার মাল, ২·গবাদি পশু ও ৩·স্বর্ণ রৌপ্য] ব্যতীত বাড়ী, দোকান, তৈজস, হীরা-জহরত বা মণিমুক্তা, চাই সেটা যত মূল্যবানই হোক না কেন এ সবের উপর যাকাত নেই। তবে হ্যাঁ, যদি এর মধ্যে কোনটিকে ব্যবসা করার উদ্দেশ্য ক্রয় করে [তথা এগুলো ব্যবসার মালরূপে ক্রয় বিক্রয় করে] তবে তার উপর যাকাত ফরয হবে। দ্বিতীয় আরেকটি কথা নেয়া উচিত যে, উল্লেখিত তিন প্রকারের সম্পদেরও মালের মালিক হওয়া মাত্রই যাকাত ফরজ হয় না। বরং পুরো বছর এ সবের মধ্য হতে সেখানে ইচ্ছা, যতটুকু খরচ করতে থাকবে, বছর শেষে পানাহার এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয় খরচ শেষে যা উদ্বত্ত থাকবে সেটার ৪০ ভাগের ১ভাগ অর্থাৎ, শতকরা আড়াই টাকা মাত্র যাকাত হিসেবে ফরয হবে। এর দ্বারা এটাও বুঝা হেল যে, যাকাত ইনকাম ট্যাক্স এর ন্যায় আমদানীর উপর ধার্য করা হয় না বরং মূল পুঁজির উপর ধার্য হয়।

কিন্তু ঐ মূল পুঁজি হতে খরচ করার ক্ষেত্রে ইনকাম ট্যাক্সের মত কোন বাধ্যবাধকতা এখানে নেই। যদি কেউ বৎসর শেষ হওয়ার পূর্বেই সমস্ত মাল খরচ করে ফেলে তবে তার উপর কোন যাকাত ই আসবে না। যাকাত দিসেবে পরিগণিত সমস্পদসমূহের মধ্যে ৪র্থ প্রকার হচ্ছে কৃষিভুমি ও বাগানসমূহের উৎপন্ন ফসল ও ফলফলাদি। অবশ্য এটাকে ফুকাহায়ে কিরামের পরিভাষায় ‘উশর’ বলা হয়। এজন্য যাকাতের আহকাম ও বিধানাবলী সম্বন্ধে আলোচনার পর ‘উশর’ শিরোনামেই এ ব্যাপারে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

আর যাকাত হিসেবে পরিগণিত উল্লেখিত তিন প্রকার সম্পদসমূহের মধ্যে একটি প্রকার ‘গবাদিপশুর’ যাকাতের ব্যাপারটি যেহেতু বিশেষ বিশেষ মানুষের সাথে সম্পৃক্ত। এ জন্য অত্র সংপ্তি পুস্তিকায় তার বিস্তারিত বিবরণী পেশ করার প্রয়োজন অনুভূত হয়নি। বরং অত্র পুস্তিকায় শুধু ব্যবসার মাল, স্বর্ণ-রৌপ্য ও টাকার আহকাম এবং সর্বশেষে উশরী জমিনসমূহের বিধি বিধান বর্ণনা করা হবে। উল্লেখ্য যে সব সম্পদের উপর ইসলামী শরীয়ত যাকাত নির্ধারণ করেছে, তার মধ্যেও শর্তহীনভাবে প্রত্যেকের উপর সর্বাস্থায় যাকাত ফরয নয়, বরং তার জন্যেও শর্ত রয়েছে, যদি কোথাও এসব শর্তের মধ্যে কোন শর্ত অনুপস্থিত থাকে তবে সেখানে যাকাতও ফরয হবে না। তথ্যসূত্র যাকাত গাইড


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.