আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিচারঃ ব্যয়বহুল বিবাহ-বিচ্ছেদ

মানুষের জীবন খুবই বিবর্ণ থাকে মাঝে মাঝে। আসলে একে বিবর্ণ বলাটা বোধ হয় ঠিক না। এটাও একটা রং। হয়তো নিকষ কালো কিংবা ধূসর !

স্বামী-স্ত্রীর বৈবাহিক সম্পর্কের স্থায়ী ভাঙ্গণ বিবাহ-বিচ্ছেদ নামে পরিচিত। দম্পতিদের প্রচুর অর্থকড়ি থাকলে এক্ষেত্রে ডিভোর্স সংক্রান্ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ-পূর্ব চুক্তি অনুযায়ী অর্থ খরচ হয়।

চুক্তি না থাকলে বিবাহ-বিচ্ছেদ সম্পন্ন করার জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ খরচ হতে পারে! সেরকম ব্যয়বহুল আটটি বিবাহ-বিচ্ছেদ সম্পর্কে জানা যাক ১) হ্যারল্ড হামঃ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ৩৫তম ধনকুবের হ্যারল্ড হ্যাম খ্যাতনামা একটি তেল কোম্পানির কর্ণধার, তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১১শ’ কোটি ইউএস ডলার। তিনি বর্তমানে ডিভোর্সের দারপ্রান্তে অবস্থান করতেছেন। হ্যারল্ডের সঙ্গে অন্য নারীর পরকীয়া আছে এমন অভিযোগ এনে গত বছর আদালতে দাম্পত্য বিচ্ছেদের আবেদন করেন স্ত্রী সু আন। আদালত হ্যারল্ডের তেল কোম্পানি ‘কন্টিনেন্টাল রিসোর্স’ এর ৬৮ ভাগ সু আনকে প্রদান করার নির্দেশ দেন। সেই হিসাবে এই বিবাহ-বিচ্ছেদই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদ।

২) এলেক উইল্ডেনস্টেইনঃ আর্ট ডিলার হিসাবে খ্যাত ধনকুবের এলেক উইল্ডেনস্টেইন যখন তার স্ত্রী জোকেলিন উইল্ডেনস্টেইনকে ডিভোর্স দেন, তখন জোকেলিন বিবাহচুক্তি অনুযায়ী ২.৫ বিলিয়ন ডলার পান এবং পরবর্তী ১৩ বছরে বার্ষিক ১০০ মিলিয়ন ডলার পান। এটিই বিবাহ-বিচ্ছেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা ব্যয়বহুল বিবাহ-বিচ্ছেদ। ৩) রুপাট মারডকঃ বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনার তৃতীয় অবস্থান মারডকের বিবাহ-বিচ্ছেদ। নিজেদের তিন সন্তান ও দীর্ঘ ৩২ বছর সংসার করার পর ১৯৯৯ সালে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন মিডিয়া মোগল রুপাট মারডক ও তার সাবেক স্ত্রী আনা মারডক। এতে করে আনাকে ১.৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ দিতে হয় মারডকের।

৪) বার্নি একলেসটনঃ ফর্মুলা ওয়ান রেসিংয়ের বস বার্নি একলেসটন তার স্ত্রী স্লেভিকার মধ্যে বিচ্ছেদ হয় ২০০৯ সালে। ইতিহাসের চতুর্থ ব্যয়বহুল বিচ্ছেদে বার্নির ব্যয় হয় ১.৫ বিলিয়ন ডলার। তবে এই দুজনের বিচ্ছেদ ব্যয়ের সম্পূর্ণ বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। ৫) আদনান খাশোগিঃ সৌদি আরবের কোটিপতি উদ্যোক্তা ও অস্ত্র ব্যবসায়ী আদনান খাশোগি ও তার স্ত্রী সুরাইয়্যা খাশোগির বিবাহ বিচ্ছেদে ব্যয় হয়েছিল ৮৭৪ মিলিয়ন ডলার। ১৯৭৪ সালে আদনান – সুরাইয়্যা দম্পতি বিবাহ – বিচ্ছেদের আবেদন করেন।

৬) স্টিভ উইনঃ ক্যাসিনো এম্পায়ার উইন রেসোর্টের সিইও স্টিভ ইউন তার কোম্পানিতে অর্ধেক স্টক হারান যখন ২০১০ সালে তার স্ত্রী এলিন উইনের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। এই বিবাহ বিচ্ছেদে তার খরচ হয় ৭৫০ মিলিয়ন ডলার। ৭) ক্রেইগ ম্যাককাওঃ ম্যাককাও সেলুলারের প্রতিষ্ঠাতা ক্রেইগ ম্যাককাও ও তার স্ত্রী ওয়েন্ডির ১৯৯৮ সালে হওয়ার বিবাহ বিচ্ছেদে ওয়েন্ডি ম্যাককাও এর কাছ থেকে বিচ্ছেদের চুক্তি অনুযায়ী পান ৪৬০ মিলিয়ন ডলার। এটি বিবাহ বিচ্ছেদে ব্যয়ের তালিকায় সপ্তম স্থান দখল করেছে। ৮) সিলভিও বার্লোসকনিঃ ইতালীয় প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লোসকনি গত বছর তার স্ত্রী ভেরোনিকাকে বিবাহ বিচ্ছেদের চুক্তি অনুসারে ৩৬ মিলিয়ন ইউরো দিতে রাজি হন।

ভেরোনিকা ২০০৯ সালে সিলভিও বার্লোসকনির বিরুদ্ধে ১৭ বছর বয়সী মেয়ের সাথে পরকীয়ার অভিযোগ এনে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন। ৯। প্রখ্যাত ব্রিটিশ কৌতুক অভিনেতা রাসেল ব্র্যান্ড ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে পপ গায়িকা কেটি পেরির সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। ২০১০ সালের ২৩ অক্টোবর মার্কিন পপ তারকা কেটি পেরির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হনরাসেল ব্র্যান্ড। এর প্রায় বছর খানেক বাদে স্ত্রীকে এসএম এসের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানান রাসেল ব্রান্ড।

কেটি পেরি বলেন , রাসেল একজন সুদর্শন পুরুষ। তাকে ভালবেসে আমি বিয়ের পিড়িতে বসি। কিন্তু ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে আমার সাথে সম্পর্কচ্ছেদের কথা জানায় রাসেল। প্রসঙ্গত , ২০১১ সালের ডিসেম্বরে এক বিবৃতির মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করে ব্রিটিশ কৌতুক অভিনেতা জানিয়েছিল, কেটিকে সবসময় পছন্দ করতাম এবং আমাদের বন্ধুত্ব সব সময় থাকবে।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।