আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চূড়া কথণ- অবশিষ্ট

তারাঁদের ইসকুলে আমি এক লবন চাষীর ছেলে,ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদ! সে আমার মা...

দুই বৃক্ষ ; মানুষকে শেখায় পাহাড়ে থাকার কৌশল মানুষ বোঝেনা, বরং তাকেই লুট করে সমূলে- পাহাড় গুমরে ওঠে, গুমরে ওঠে সেও মানুষ না জানলেও বৃক্ষ এবং পাহাড় জানে- কিভাবে নিজেকেই উচ্ছেদ করে চলছে মানুষ যেমন পিতৃত্বের আনন্দ কখনোই বোঝেনা বাঘ! পাহাড়ের বুকে যে অনন্ত ভালবাসা - কী নাম দেয়া যেতে পারে তার ? চন্দাহতের মতো ফিরে আসা প্রশ্ন নিমিষেই মিলিয়ে যায় তার নীল নাভীর কুয়াশা বন্দরে। মানুষ আসলেই কী পারে, তাকে ভালবাসতে কখনো- মাংসের গন্ধ ভুলে! অথচ কতোই না প্রেম লুকানো আছে সেখানে বিথারে বিথারে। মানুষ বোঝেনা - চূড়ায় ওঠার পর ছোট টিলাকেও কেনো বড় দেখা যায় আর মাটির সব কিছুই কতো ছোট------ মলিন! যদিও ছোট ও বড়র মাঝে পার্থক্য নেই কোন, যেমন পাখিদের নেই কোন সম্পর্ক বিন্যাস... সহোদরাও কিভাবে যেনো হযে যায় আপন সন্তানের মা! তিন আগন ঝড়ের মতো পাহাড়ী বৃষ্টি; যতোই গ্রাস করতে চাক, সকল দুঃখবোধ পৃথিবীর ... আমি ঠিকই আজ লিখে ফেলব আর ১টি বিষন্ন কবিতা ; কেননা বয়সন্ধিকালীন প্রে ম অনেকাংশেই জন্ডিজের সংক্রমন ঘটায় তরুণ বয়সের, আর সিলিকনের ব্যাকরণ ভেঙ্গে হৃৎপিন্ডের স্বাভাবিক গতিকে করে ব্যাহত। যেমন, নদীর বাঁক ঘুরে গেলে ডিম পাড়তে ভুলে যায় মা মাছ আর কিছু আমিষ বিলাসী হয়ে ওঠেন সাত্ত্বিক! আমি অবশ্যই কোন তত্ত্ব মানিনা, ওসব আপনাদের কাজ ; অর্থাৎ যারা ভূ-গোল বা ব্যাকরণ নিয়ে গবেষনা করেন, মানুষের মন খুজঁতে গিয়ে যাদের হাতে খুন হয় সবিতার সিদুঁর, বৃক্ষ বা মায়াবী হরিণ! আপনাদের ওইসব ফাটাফাটি পান্ডিত্যকে পাশে রেখে আমি খুঁজবো তৃষ্ণা মেটাতে জলাধারে এসে ধরা পড়া হাতি শাবকটি কতো দামে বিক্রি হলো তার উত্তর! চার ভালবাসার কবিতা লেখার চেয়ে- বিষন্নতার কবিতা লেখা অনেক সহজ ! অন্তত এমন মন্তব্য যাদের, আমি আমার সেসব কবি বন্ধু অথবা সমালোচকদের বলি, এসো তবে- আমরা আজ আরো একবার নিজেদের রক্তেই তৃষ্ণা মিটিয়ে ফেলি। দেখি, আগুন বৃষ্টির শিলা-ঝড় কোন গাছ কতোটা মানিয়ে নিতে পরে; তারপর না হয় উড়ন্ত তারাঁর মতো বাতাসের বুকে চরকা মেরে মেরে খুজেঁ নেয়া যাবে- ক্ষমাহীন সুন্দরী নারীর মুগ্ধতা চাবুক কতোটা চেটে গেছে অলস শরীর! আমার এসব আলাপনী আহ্বান হেসেই উড়িয়ে দেয় ফুটন্ত গোলাপ আর কেএফ সি নিয়ে মাথা খারাপ করা উপমা প্রেমীরা।

হেমন্ত বাতাসের মতো টাঁন ধরা রোদ যেয়ে পড়ে তাদের শ্বাঁস ওঠা মুখের ওপর। আর আমি ক্লান্ত পথিকে মতো বলে উঠি... হায়রে, পাহাড়ে যে উঠেছে একবার, কেবল সেই জানে; ও এক মোহময় জগত! যা কেবল উঠতেই প্রেরনা দেয় , গোপনে... পাঁচ সোনাগলা অন্ধকার ক্রমেই এগিয়ে আসে আর গ্রাস করতে চায় ; চারপাশ, যেনো কোন এক অজানা গুহা খুলে দিয়েছে নিজের প্রবেশদ্বার... যা দিয়ে বেরিয়ে গেছে সকালের রূপালী রোদ আমি একটু ও ভয় পাইনা ওইসব অস্তগামী মিছিলে বরং, হাতদুটো সামনে বাড়িয়ে আহ্বান জানাই , এসো তবে গুনে নেই আমাদের হাতের আঙ্গুল, নখ এবং কর রেখার দাগ। সেখানে নিশ্চয়ই পূর্ব পুরুষের কর্মফল লেখা আছে ... অর্থাৎ আমাদেরও পাহাড়ে ওঠা ছাড়া আর কোন পথই অবশিষ্ট নেই! (চূড়াকথণ এক ওআগেই পোস্ট করা হয়েছিল। সিরিজের বাকি চারটি কবিতা আজ পোস্ট করা হলো। এ লেখা গুলো লিটল ম্যাগাজিন পুনশ্চ , বর্তমান সংখ্যায় ছাপা হয়েছে।

সামহয়ারের পাঠকদের জন্য দেয়া হলো...)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.