আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত ১৯ এবং ১৯৬ প্যালিনড্রোমিক নাম্বার

যে জানেনা এবং জানে যে সে জানেনা সে সরল, তাকে শেখাও। যে জানেনা এবং জানেনা যে সে জানে না, সে বোকা-তাকে পরিত্যাগ কর।

এই সংখ্যাটি পড়ার পাশাপাশি পূর্বের ২টি পোস্ট পড়লে বুঝতে সুবিধা হবে। ইফ ইউ আর বিলিভার, ইউ আর মাই ব্রাদার, ইফ ইউ আর ডিজবিলিভার, প্লিজ ইগনোর মি। আপনি যদি বিশ্বাসী হন, তবে আপনি আমার ভাই, আপনি যদি অবিশ্বাসী হন, তাহলে দয়া করে আমাকে এড়িয়ে চলুন।

প্রিয় এলাকাবাসী! প্রিয় এলাকাবাসী!! আজ রাত ১০ ঘটিকায় লক্ষ্মীপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, মিয়াজী বাড়ির বড় মিয়া জনাব শাহাদাৎ মিয়াজী ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। মরহুমের নামাজে জানাজা আগামীকাল সকাল ৭ ঘটিকায় পৌর মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত হইবে....... মিয়াজী বাড়ির বড় মিয়া ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন। ইন্নালিল্লাহে...............রাজিউন। মাইকের ঘোষণা শুনে মনে মনে আমি আয়াতটি পাঠ করি।

মুসলমান হয়ে জন্মেছি। জন্ম থেকেই একটি ইসলাম ভাবধর্মী পরিবারে বড় হয়েছি। তাই কারো মৃত্যু সংবাদ শুনলে অজান্তেই আয়াতটি পাঠ করে ফেলি। এই যেমন আকাশে বিদ্যুৎ চমকালেই 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ' মুখ দিয়ে জোরেই বের হয়ে আসে। বজ্রপাতে কত লোকের মৃত্যু ঘটে।

মিয়াজী বাড়ির বড় মিয়াকে আমি চিনি না। কিন্তু মাইকিং শুনে মনে হচ্ছে তিনি এ এলাকার বিখ্যাত এবং প্রভাবশালী কেউ হবেন। তিনি আজ মারা গিয়েছেন। গতকাল তিনি এই পৃথিবীর মাটিতে বিচরণ করেছিলেন। গতকাল পর্যন্ত বড় মিয়ার অস্তিত্ব ছিল।

অর্থাৎ তিনি ১ ছিলেন। আজ বড় মিয়া অনস্তিত্ব অর্থাৎ ০। এই ১ এবং ০ কম্পিউটারের দুইটি বাইনারি ডিজিট। সংক্ষেপে বলে বিট। কম্পিউটারের প্রাণ হচ্ছে এই ১ এবং ০।

কম্পিউটার যা কিছু বুঝে এই ১ এবং ০ দ্বারাই বুঝে। কম্পিউটারের কাছে ১ হচ্ছে খোলা, ০ হচ্ছে বন্ধ; ১ হচ্ছে সত্য, ০ হচ্ছে মিথ্যা। ১ হচ্ছে অস্তিত্ব, ০ হচ্ছে অনস্তিত্ব। মানুষ মরে গিয়ে কোথায় যায়। সেকি আবার নতুন কোন অস্তিত্ব ধারণ করে? মরে গিয়ে ০ থেকে আবার ১ হয়ে অন্য কোথাও অস্তিত্ব ধারণ করে কি? অস্তিত্ব এবং অনস্তিত্বের সংকেত এই বাইনারি ডিজিট ১ এবং ০ হচ্ছে কোরআনে বর্ণিত ১৯ সংখ্যাটির অংকগুলোর যোগফল।

অর্থাৎ ১ + ৯ = ১০। সূরা আল মুদ্দাসসির বা ইংরেজিতে দ্যা হিডেন নামক এই রহস্যময় গোপন সংখ্যাটি আল্লাহর কোন নিদর্শন? ৩১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,.......................ইহার ফলে যাহাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাহারা ও অবিশ্বাসীরা বলিবে 'আল্লাহ এই অভিনব উক্তি দ্বারা কি বুঝাইতে চাহিয়াছেন?' কোরআনের ১৯ নাম্বার সূরা মারইয়াম। ১৫ নং আয়াত হচ্ছে, ''তাহার প্রতি শান্তি যেদিন সে জন্ম লাভ করে, যেদিন তাহার মৃত্যু হইবে এবং যেদিন সে জীবিত অবস্থায় উত্থিত হইবে। ' হযরত যাকারিয়্যার পুত্র হযরত ইয়াহ্ইয়াকে নবী হিসেবে উত্তরাধিকারের ঘোষণা দিয়ে আল্লাহর এই বাণীটির মর্মার্থ উদ্ধার করলে ১ এবং ০ বাইনারি ডিজিটের বিষয়টি পরিস্কার হবে। যেদিন হযরত ইয়াহ্ইয়া জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সেদিন ১ হয়ে অস্তিত্ব ধারণ করেছিলেন।

যেদিন তাঁর মৃত্যু হয়েছিল, সেদিন অনস্তিত্বের প্রতীক ০ হয়েছিলেন। যেদিন তিনি জীবিত অবস্থায় আবার উত্থাপিত হবেন সেদিন নিশ্চয়ই আবার ১ হয়ে অস্তিত্ব প্রকাশ করবেন। ৩৩ নং আয়াতে মার্ইয়াম তনয় ঈসা অবিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে আল্লাহর কথাগুলো নিজের মুখ দিয়ে বলেছেন, '"আমার প্রতি শান্তি যেদিন আমি জন্মলাভ করিয়াছি, যেদিন আমার মৃত্যু হইবে এবং যেদিন জীবিত অবস্থায় আমি উত্থিত হইব। " ১ হয়ে অস্তিত্ব ধারণ করা, ০ হয়ে বিলীন হয়ে যাওয়া আবার নতুনভাবে ১ হয়ে নতুন অস্তিত্ব ধারণ করা। সুতরাং কম্পিউটারের প্রাণ এই বাইনারি ডিজিটের নিদর্শন আল্রাহ কোরআনে সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দিয়েছেন।

এই রহস্যময় ১৯ সংখ্যাটি নিয়ে যতো বেশি গবেষণা হবে, জ্ঞান-বিজ্ঞানে তত বেশি অগ্রগতি হবে। আমাদের মুসলিমদের মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার প্রবণতা কমে গেছে। নেই বললেই চলে। পরিকল্পিতভাবে পশ্চিমা ইহুদি এবং খ্রিষ্টানচক্র আমাদেরকে অন্ধ বানিয়ে দিচ্ছে। ইসলাম ধর্মের পীঠস্থান আরব দেশগুলোকে প্রাচুর্য্যের ভোগ-বিলাসে মত্ত করিয়ে ইসলামের শক্তিটাকে কমিয়ে দিচ্ছে।

আর পশ্চিমারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত হয়ে পৃথিবীটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে নিচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি পুরো বিশ্বটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। ঘরে বসেই বিশ্বের যে কোন প্রান্তে যে কারও সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান সবই আজ তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সার্বজনীন হয়ে গেছে। অর্থাৎ যার মেধা আছে, তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সে কোথাও আটকে থাকছে না।

ঘরে বসেই সে বিশ্বজনীন হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রয়োজন তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া। পুরো বিশ্বটাকে একসময় এই তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিরাই পরিচালনা করবে। কম্পিউটারের প্রাণ এই বাইনারি ডিজিট ১ এবং ০ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। ২০৩৪ সালে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী দাড়াবে ১৯৬ মিলিয়ন বা ১৯ কোটি ৬০ লক্ষে।

(বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পপুলেশন প্রজেকশন অনুযায়ী। ) এই ১৯৬ সংখ্যাটি গণিতজ্ঞদের কাছে আরেকটি রহস্যময় সংখ্যা। সর্বশেষ ১৯ ডিজিট পর্যন্ত সব সংখ্যার প্যালিনড্রোমিক নাম্বার জানা গেছে কিন্তু মাত্র ৩ ডিজিটের এই ১৯৬ সংখ্যাটির প্যালিনড্রোমিক নাম্বার জানা যাচ্ছে না। ২৪ লক্ষেরও অধিকবার পুনরাবৃত্তি করা হয়ে গিয়েছে। কোটি কোটি সংখ্যার একটি অংকে পৌঁছেও এটি প্যালিনড্রোমিক হওয়ার কোন লক্ষণ দেখাচ্ছে না।

৭৮৬ বা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম- আয়াতটির প্রতিনিধিত্বকারী ১৯৫ সংখ্যার পরের সংখ্যাটিই ১৯৬। এটিও কি কোরআনে উল্রেখিত আল্লাহর সেই ১৯ রহস্যময় সংখ্যাটির সাথে সম্পর্কিত? ১৯ সংখ্যাটি সম্পর্কে আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা দিয়েছেন, "............অবিশ্বাসীদের পরীক্ষাস্বরূপই আমি উহাদের এই সংখ্যা উল্লেখ করিয়াছি যাহাতে কিতাবীদের দৃঢ় প্রত্যয় জন্মে, বিশ্বাসীদের বিশ্বাস বর্ধিত হয় এবং বিশ্বাসীগণ ও কিতাবীরা সন্দেহ পোষণ না করে। (চলবে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.