আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দৈনিক যুগান্তর ০১ অক্টোবর ২০০৯ এর একটি শিরোনাম: দলীয়করণ চাকরিচ্যুতি ও এসডিতে রেকর্ড

জোট সরকারের পাঁচ বছর পার হতে চলেছে। এ সময়ে সরকার তার গৃহীত কর্মসূচি ও পরিকল্পনা শতভাগ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রশাসনিক যে মিশন ও ভিশন নিয়ে ২০০১ সালের অক্টোবরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তার সফল পরিসমাপ্তিও ঘটতে যাচ্ছে। চিহ্নিত কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত , হয়রানির মাধ্যমে জোট সরকারের অভিষেক হয়েছিল। ৫টি বছর কেটেছে দলীয় করণ দফায় দফায় পদোন্নতি বঞ্চিত করার ঘটনা, শাস্তিমূলক ওএসডি এবং পুরুষ্কারস্বরূপ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মধ্য দিয়ে অন্যায়ভাবে পদোন্নতি বঞ্চিত শত শত কর্মকর্তার দীর্ঘ শ্বাসে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের অক্টোবরে ক্ষমতায় আসার আগেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জোট সরকারের সমর্থক একটি আমলা সিন্ডিকেট বহাল তবিয়তে ছিল সরকার গঠনের পর এদের সহায়তা ও রেকর্ড মদদে প্রশাসনে সরকারবিরোধী কর্মকর্তা চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ সময় সরকারের পক্ষে-বিপক্ষের নাম দিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দু’ভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল। রাজনৈতিক হয়রানি, নিপীড়ন ও দলীয়করণের প্রবণতা বেড়ে যায়। ভালো পোষ্টিয়ের থাকা অধিকাংশ কর্মকর্তাকে আওয়ামী লীগার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সরকার গঠনের দ’মাসের মধ্যে তালিকা অনুযায়ী ৩১১ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

চাকরিচ্যুদের মধ্যে সামরিক বাহিনীর ২২৩ জন এবং বেসামরিক প্রশাসন ক্যাডারের ৩ জন অতিরিক্ত সচিবসহ ৪২ কর্মকর্তা এবং পুলিশ ক্যাডারের ছিলেন ৪৬ জন। ফলে শুরুতেই প্রশাসন জুড়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম বছরই রাজনৈতিক কারণে ২ হাজার কর্মকর্তার দফতর রদবদল, ২শ’ কর্মকর্তাকে ওএসডি এবং ১২৫ জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। সচিব পদে বেশি সংখ্যায় পছন্দের আমলাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ায় প্রশাসনের নিচের দিকে পাঁচ স্তরে শত শত পদোন্নতি আটকে যায়। ৭৩ ব্যাচের পদোন্নতি ঠেকাতে প্রথম বছরে সচিব পদে ২১ জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়।

এক পর্যায়ে ২০০৪ সালে তা ২৪ জনে এসে উন্নীত হয়। দলবাজ ও আস্থাভাজন আমলাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে দিতে মাঝে এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে, চুক্তি’দের ওপর ভর করেই প্রশাসন চলছিল। ক্যাডার পদের বাইরেও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ নানা পদে চুক্তিতে সরাসরি দলীয় লোকজন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একজন বিতর্কিত সচিবকে গত বছর অনির্ষ্টিকালের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনে রেকর্ডও সৃষ্টি করা হয়। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী ওপরের দিকে পছন্দের নিয়মিত আমলাদের তুলে আনা সম্ভব হওয়ায় বর্তমানে ক্যাডার সার্ভিসে চুক্তি নিয়োগ কিছুটা কমে এসেছে।

ওএসডিতেও জোট সরকার বিশাল রেকর্ড গড়েছে। ২০০৩ সালের জুলাই মাসে ওএসডি ছিলেন ৩৫৫ জন। বর্তমানে কিছুটা নেমে এসে ২৯০ জনে ঠেকেছে । এর মধ্যে রাজনৈতিক কারণে কাউকে বছরের পর বছর পোষ্টিং না দিয়ে ওএসডি করে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এ তালিকায় উপসচিব পদে ২০০২ সাল থেকে ১ জন, ২০০৩ সাল থেকে ১২ জন , ২০০৪ সাল থেকে ১ জন, ২০০৫ সাল থেকে ৩৩ জন এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে প্রায় ৩০ জন কর্মকর্তা ওএসডি রয়েছেন।

২০০৩ সালের ফেব্র“য়ারি, ২০০৪ সালের এপ্রিল মাস এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া বহু কর্মকর্তা অদ্যাবধি পোষ্টিং পাননি । এসব কর্মকর্তারা জন্ম থেকে জ্বলছি অবস্থায় রয়েছেন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.