আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরাজিত পক্ষে আমি সবসময়ই কোনো না কোনো ভাবে উপস্থিত-



প্রশ্নটা অনেক আগে থেকেই মাথায় ঘুরছে। শেষ পর্যন্ত আদতে জিতছে কারা। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এর উত্তর খুঁজে পাই না আমি। এক একটা যুদ্ধ, মানুষের অপচয় আর সম্ভাবনার মৃত্যু, শান্তির সময়েও নিরন্তর সংঘর্ষ অবিশ্রান্ত। আপাত দৃষ্টিতে পরিস্থিতি যখন একদম শান্ত তখনও ভেতরে টগবগ করে ফুটছে বিস্ফোরণউন্মুখ লাভা।

প্রতিটা দেশেই গল্পগুলো কম বেশী একই রকম। আজ পড়লাম অর্থনৈতিক মিথোজীবিতা তত্ত্ব- বাৎসরিক মাথাপিছু আয় বাড়লে দেশের উন্নয়ন সূচক বাড়বে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা সাংঘাতিকভাবে বেড়ে যাবে। সামষ্টিক বিবেচনায় হয়তো এমনটা মেনে নেওয়া যায়, যদি সম্পদের সুষম বন্টন হয় তবে সবাই দেশের সর্বমোট উৎপাদন থেকে ভাগাভাগি করে না হয় সমান মাপের ধনী হয়ে যাওয়ার একটা সম্ভবনা রাখে। বাস্তব পরিস্থিতি কি বলে? আমাদের আয়বৈষম্যের তালিকায় দেশের সিংহভাগ সম্পদ নিয়ে বসে থাকে মাত্র ২ শতাংশ মানুষ এবং দেশের ১৫ শতাংশ মানুষ দেশের মোট সম্পদের ৯৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রন করে। অর্থ্যাৎ আমাদের বাকি ৮৫ শতাংশ মানুষ আসলে মাত্র মোট দেশজ আয়ের ২ শতাংশ নিয়ে কামড়াকামড়ি করছি, পরস্পরের মৃত্যু কামনা করছি।

ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক লেনদেন করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে, এই সত্য মেনে নিতে আপত্তি নেই আমার। তবে মূলত এই কতিপয় মানুষের কাছে জিম্মি আমরা সবাই। দেশের আইন, দেশের রাষ্ট্রনীতি, পররাষ্ট্রনীতি এবং আভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তগুলো এই কতিপয় মানুষের স্বার্থের দিকে নজর দিয়ে নির্ধারিত ও বাস্তবায়ন করা হয়। সরকার পরিবর্তিত হবে, নির্বাচিত সরকার আসবে, আমাদের ব্যবসায়ীদের পিঠ বাঁচানোর জন্য ট্রুথ কমিশনও অনেককে দায়মুক্তি দিয়ে দিবে, অনেকেই অবৈধ ব্যবসায়ী এবং অপরাধী হয়েও নিরপরাধ বিবেচিত হবে। ক্ষমতা চক্রের পরিবর্তন হবে না, সেখানে নতুন কোনো মুখ দেখা যাবে না।

ইরাক যুদ্ধকে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের যুদ্ধ বিবেচনা করা হচ্ছে। সাদ্দাম হোসেনের কাছে কোনো গুরুতর ব্যপক বিধ্বংসী অস্ত্র ছিলো না, তবে এই সামান্য অনুমাণের উপর ভিত্তি করে শুরু হওয়া একটা যুদ্ধ বিশ্বের মানবিকতা ধ্বংস করে ফেলেছে। ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের কোনো উপকার হয় নি। হওয়ার কথাও নয়, উন্মাদ প্রেসিডেন্ট সে দেশের করদাতাদের টাকা, দেশের বিদেশী বিনিয়োগের টাকা, দেশের সঞ্চিতি সব প্রদান করছে ইরাক যুদ্ধে। দেশের মানুষের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ কমিয়ে, দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে সে টাকায় ইরাকে বোমা ফেলছে, খুন করছে।

এই যুদ্ধে লাভবান হয় নি সাধারণ মানুষ, তবে এই যুদ্ধে কি সবাই পরাজিত এবং সবাই ক্ষতির শিকার? উত্তরটা সবার জানা, কয়েকজন মানুষ এবং কয়েকটা সমর কারখানার মালিকপক্ষই এতে লাভবান হয়েছে। এই লাভবান হয়ে যাওয়া কয়েকজনই ইরাক যুদ্ধের সুফল ভোগ করছে। দেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ কোনো প্যাঁচালো এক পদ্ধতিতে সরাসরি তাদের পকেটে ঢুকছে কারণ তারা ধারাবাহিক ভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে এই একটা কারণেই দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হুমকির মুখে। ইরাক যুদ্ধ অবসান হবে? আমার নিজের ধারণা ইরাকের যুদ্ধ শেষ হওয়ার নয়। বরং ক্রমাগত সেখানে অস্থিরতা বাড়বে, সেখানে অসহিষ্ণুতা বাড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন সম্ভ্রান্ত মানুষের বৈঠক খানায় ইরাক যুদ্ধের গুণগান শোনা যাবে নিশ্চিত ভাবেই। এই কয়েকজন মানুষ বিভিন্ন ভাবে সম্পর্কিত, ব্যবসায়িক, বৈবাহিক এবং সামাজিক সম্পর্কে তাদের বন্ধুতা এবং বন্ধুতার কারণে পরস্পরের স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখবার প্রক্রিয়াতে অসংখ্য মানুষ মৃত্যু বরণ করে, মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়। ইরাকে যুদ্ধ চলছে, সেখানে মৃত্যুর সরকারী হিসেবে লাখের ঘরে থাকলেও এই যুদ্ধের কারণে অন্তত কয়েক কোটি মানুষের জীবনের হিসাব গোলমাল হয়ে গেছে। এদের অনেকেই মৃত, অনেকেই মৃতবৎ। ইরাকের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই প্রতি মুহূর্তের মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে জীবন যাপন করে, তবে এই যুদ্ধের কারণেও সেখানে লাভবান মানুষের পরিমাণ নেহায়েত কম নয়।

ইরাকের রাষ্ট্রায়ত্ব তেল খনিগুলো বিদেশী কোম্পানিদের কাছে ইজারা দেওয়া হচ্ছে, এখানে নিরাপত্তার প্রয়োজন, এই চুক্তিগুলো সম্পাদনের জন্য তারা বিভিন্ন উপঢৌকন পেয়েছেন, এই তেল পাইপে করে সরবারহ য় ইরাকের বন্দরগুলোতে, সেই তেলের পাইপ লাইনের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য নিয়োজিত রক্ষী বাহিনীকে পারিশ্রমিক দেওয়া, এই কতিপয় মানুষের নিজস্ব অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে সুসংহত করবার জন্য অসংখ্য মানুষের মৃত্যু সব সময় মনে করিয়ে দেয়- পৃথিবী কঠিন জায়গা, বাস্তবতা কঠোর। বিশ্বের কাঠামোই এমন, এখানে ক্ষমতার ভারসাম্য সব সময়ই সীমিত মানুষের হাতে। নানা রকম উন্মাদনা ও রাষ্ট্রীয় আদর্শের বুলি, দেশপ্রেমিক সার্বভৌমত্বের মাদক এবং সেনাবাহিনীর নানাবিধ উদ্যোগ, সবই মূলত এই কতিপয় মানুষের নিজস্ব ক্ষমতা সুসংহত রাখবার প্রয়াস। তারাই এইসব প্রচার করে, এইসব গুজব আর সন্ত্রস্ততার বিপনন করে, এদের ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে এমন আকার দেয়, আমাদের দৃষ্টিবিভ্রম ঘটে, আমরা বিভ্রান্ত হই। আমরাও তাদের প্রচারে গলা মিলাতে বাধ্য হই, বলতে বাধ্য হই আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমিকির মুখে, আমাদের দুরাবস্থা আসলে বহির্বিশ্বের হীন চক্রান্ত।

দেশের সরকার এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তন, আমাদের ভোটের রাজনীতি, আমাদের গণতন্ত্রায়ন, বিগত ১৮ মাসের ধারাবাহিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আমাদের মানবেতর জীবনযাপণ- সবকিছুই অর্থহীন মনে হয় ইদানিং। আমরা দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চাই, আমাদের উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচিত গণপ্রতিনিধি এবং ভবিষ্যতে যারা নির্বাচিত হতে যাচ্ছে তাদের ব্যক্তিগত পরিচিতি বিবেচনা করে মনে হচ্ছে আমাদের গণতন্ত্রায়নের পথটা বদলায় নি, আমাদের সুযোগ সীমিত, এই ১৮ মাসের মানবেতর জীবনযাপণের পরে আমাদের প্রাপ্তির খাতায় কতটুকু যুক্ত হলে লাভের হিসাবে? প্রশ্নটার উত্তর খুঁজে পাই না। অধিকাংশ মানুষ, মানুষের শুভবোধ পরাজিত হচ্ছে, ধারবাহিক ভাবে আমরা পরাজিত মানুষের প্রতিনিধি এবং গণতন্ত্র বিবেচনা করলে আমাদের কণ্ঠভোটেই আমরা নিশ্চিত করতে পারবো আমরা পরাজিত, আমাদের ক্ষুব্ধ হওয়ার যথেষ্ট কারণ থাকলেও আমরা ক্ষুব্ধ নই, আমাদের ভেতরে সেই চেতনাই অনুপস্থিত। এত আয়োজনের পরেও, জনগণের পক্ষপাতিত্ব করছে এমন অন্তসারশূণ্য দাবি নিয়ে চলে আসা বিনির্মানী উদ্যোগের শেষে প্রশ্নটা জলন্ত- আসলে জিতলো কারা? সংবাদগুলো পড়ে আঁতকে উঠি, প্রতিদিনের সংবাদপত্রের বিষাদময় বাস্তবতা দেখে শিউরে উঠি, যাদের অপরাধী চিহ্নিত করেছিলাম এতদিন, যাদের অপরাধী এবং উন্নয়নের গণশত্রু বলছিলাম, তাদের অপরাধের বিবেচনা করছে না আদালত। তারা গণহারে জামিন পাচ্ছে আদালত থেকে।

অন্তবর্তী কালিন জামিন এবং মানবিক বিবেচনায় জামিন পেয়ে যাওয়া এইসব গণশত্রুদের জামিন প্রক্রিয়া সহজসাধ্য করতে রাষ্ট্রের নির্বাহীগণ উদ্যোগি হচ্ছেন। অতএব বিশ্বাস করতে হয়, এরা আদতে গণশত্রু নয়, এদের আসলে আটক করা হয়েছিল ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা এবং ব্যক্তিবিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে। ক্ষমতার উপরি তলে রাজনৈতিক আদর্শ মূল্যহীন একটা অনুভুতি, সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক বিদ্বেষ সংবাদপত্রের প্রচারণা এবং তাদের কাটতি বাড়ানোর একটা প্রকল্প। সকল সিদ্ধান্তই গৃহীত হচ্ছে তাদের সুফল বিবেচনা করে। সুতরাং আমাদের তাইরে নাই রে না গান গাওয়া ভিন্ন আপাতত অন্য কোনো উৎসবমূখরতা নেই।

মূলত যত দুর দৃষ্টি যায়, সকল রাষ্ট্রে, সকল সময়েই পরাজিত পক্ষ সাধারণ মানুষ। এবং এই পরাজয়ে অভ্যস্ত মানুষেরা যাদের হাতে জিম্মি তাদের আয় উন্নতি বন্ধ হতে পারে এমন মানবেতর সিদ্ধান্ত কখনই গৃহীত হবে না গনপরিষদে। আমাদের অর্থনৈতিক মিথোজীবিতা আদতে এমন একটা প্রকল্প যেখানে আমাদের ক্ষমতা চক্রের মানুষের অন্য একটি দেশের ক্ষমতা চক্রের মানুষের সাথে চা চক্রে মিলিত হয়ে যুথবদ্ধ ভাবে সিদ্ধান্ত নিবেন যেনো তাদের উন্নতি নিশ্চিত হয়। তাদের সাথে আমাদের ব্যবধান বাড়বে , আমাদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ সেই ২ শতাংশই থাকবে, এবং মধ্যস্ততাকারী কিছু মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, তবে ব্যপক ভাবে জীবনযাপন ধারার কোনো পরিবর্তন আসবে না। আমরা ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্ত করবো, আমরা ট্রানজিট নিয়ে গলাবাজি করবো, এটাকে বিভিন্ন রকম ভাবে ব্যবহার করবো, আমরা অর্থনৈতিক জোট তৈরি করবো।

অর্থনৈতিক মিথোজীবিতা প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে আমাদের সামষ্ঠিক আয় বেড়ে যাবে, রাষ্ট্রের সম্পদ বাড়বে, তবে এর কত শতাংশ আদতে আমাদের পকেটে আসবে। যেই মানুষটা এখনও এক বেলা খেতে পারে না, অর্থনৈতিক মিথোজীবিতায় তারা কি এক বেলা খাওয়ার নিশ্চয়তা পাবে? শান্তির সময়েও মানুষের অপমৃত্যু, মানুষের অপচয়, মানবিকতার হত্যা রদ করা যায় না। বিশ্বের সব খানেই নির্যাতিত এবং বঞ্চিত মানুষের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ে, উন্নত দেশের বাৎসরিক আয় বাড়ে, অনুন্নত দেশের বাৎসরিক মাথা পিছু আয় বাড়ে, তবে কোথাও দারিদ্র কমে না। ক্ষমতা দখলের নানাবিধ উদ্যোগ চোখে পড়ছে, জোটবদ্ধতা এবং রাজনৈতিক মোর্চা তৈরি, বাম ঐক্য, ডান ঐক্য, মধ্যপন্হী, কোরেশী, বদরুদ্দোজা, নিজামি, দেলোয়ার আশরাফ, হাসিনা খালেদা, এরশাদ- এবং এদের প্রতি অন্ধ ভাবে ন্যাস্ত সাধারণ মানুষ, শেষ বিচারে অন্ধ সমর্থকদের ঝোলায় কি আসে? শান্তি এবং উন্নতির সভা সেমিনারে গল ফাটিয়ে ফেলা বিবেকবান মানুষের কল্যান হয় ঠিকই কিন্তু যাদের কল্যান কামনায় তাদের গলা ভেঙে যায় তাদের কল্যান কি আদৌ হয়। মোজাফফর আহমেদকে নিয়মিত দেখি, কখনও সুজনের বৈঠকে, কখনও বাপার সেমিনারে, কখনও টিআইবিতে, কখনও বিশিষ্ট নাগরিক সমাবেশে।

এই বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মেলনভাতা এবং এদের যুথবদ্ধ করবার ব্যয়বরাদ্দ হয় সেই ক্ষমতা চক্র থেকেই, শান্তির জন্য যেটুকু অর্থ ব্যয় করে যুদ্ধাস্ত্র তৈরির কোম্পানি, কিংবা সেনাবাহিনী- এটা যেকোনো নাগরিক তহবিলের তুলনায় বেশী। সেনাবাহিনী, প্রশাসন কিংবা অন্য সব রাষ্ট্রীয় নির্বাহী যন্ত্র সব সময়ই যাদের কল্যানে নিয়োজিত, তাদের কল্যান হয়। এবং তারা পরস্পরের পিঠ বাঁচায়, সম্মান বাঁচায়- যেকোনো সময়ে, যেকোনো পরিস্থিতিতেই এদের পরাজিত পক্ষে অবস্থান করতে হয় না। ২য় বিশ্বযুদ্ধে কিছু ইহুদী স্বজাতির তথ্য এবং সম্পদ বিপনন করে নিজেদের অর্থ সম্পদ বৃদ্ধি করেছিলো। তারাও কোনো না কোনো ভাবে নাৎসী বাহিনীর সহযোগী ছিলো।

১৯৭১ এ ও বাংলাদেশের কিছু মানুষ পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী এবং সমর্থক ছিলো, তাদের অবস্থা রমরমা, এবং সবচেয়ে আশ্চর্য হলো এই বিশাল যুদ্ধে কিংবা যেকোনো যুদ্ধেই এমন একটা পক্ষ সবসময়ই পাওয়া যায়, সামষ্ঠিক মানুষের দুরাবস্থা যাদের বিন্দুমাত্র স্পর্শ্ব করে না। এবং এরই প্রতিক্রিয়াই দেখি ১৯৭১ এ একজন হিন্দু ধর্মান্তরিত হয়ে রাজাকারে পরিনত হচ্ছে, সেই অত্যাচারে সবাইকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। মানবিকতার মৃত্যু, আদর্শের মৃত্যু এবং অধিকাংশের পরাজয়ের ইতিহাস সমৃদ্ধ হবে দিন দিন। সুতরাং আমি নিশ্চিত- এখানে পরাজিত পক্ষেই থাকবো আমি। সুতরাং কারা বিজয়ী হলো এটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা আদার ব্যপারীর জাহাজের খোঁজ নেওয়ার মতো।

আমার অবস্থান বিজিত পক্ষে, সে অবস্থান টলবে না। আমরা অনিচ্ছাকৃত দাস, আমাদের দাসত্ব ঘুচবে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।