প্রতিটি দিন-ই হোক, একটি সুন্দর দিন
ঘুরে এলাম "সান পেডরু হারবার ও মেরিটাইম মিউজিয়াম "
সকাল
সকাল থেকে মনস্থির করলাম "সান পেডরু সী-বিচে" যাব। বীচ আমাকে সব সময় টানে, বীচ দেখার আনন্দ আমার মনে হয় কোন দিন শেষ হবে না। মনে করলাম দুপুরের খাওয়াটা একটু আগে খেয়ে বের হব, যাতে সময় পাওয়া যাবে। এখন গ্রীষ্মকাল দিন বড়, বাইরে গেলে অনেক্ষণ বেড়ানো যায়। খাওয়া প্রায় শেষের দিকে হঠাৎ ঘরটা নড়ে উঠলো।
মাঝে মাঝে জোরে কেউ হাটঁলে নড়ে উঠে। এ দেশে প্রায় ঘর-বাড়ি কাঠের তৈরি। প্রথমে আমি তাই ভাবলাম। এর পর দেখি জোরে নড়ে উঠলো, দুলতে লাগলাম। ও বললো ভুমিকম্প হচ্ছে, বাইরে চলো........।
আইঁটা হাতে বাইরে দৌড় দিলাম। নীচে যাওয়ার পরও একটা ঝাঁকুনি দিয়েছিলো। আবার ঘরে এসে খাওয়া শেষ করলাম। টিভিতে নিউজে দেখতে বসলাম। কোথাও কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি।
৫.৬ রিখটার স্কেলে ছিলো। ( এ রকম অবস্থা হলে কিংবা ক্ষয়-ক্ষতি হলে অনেক সময় রাস্তা ঘাট বন্ধ করে দেয়। রাস্তা ঘাটে যাতে আটকা না পরি তাই জেনে নেয়াও দরকার)।
............
বাসা থেকে ৪৮ মিনিটের রাস্তা। আমরা ১.২০ এর দিকে পৌঁছালাম সান পেডরু বীচ ও পোর্টে.........।
পানি এতটা নীল কল্পনাও করিনি। অনেকে গোসল করছে, কেউ আবার মাছ ধরছে............। ও গিয়ে মাছ ধরা দেখলো অনেক্ষণ। ঠান্ডা হাওয়ার মনটা ভরে গেলো। সে ফাঁকে আমি কিছু ছবি তুলে নিলাম।
সান পেডরু বীচের ছবি
হারবর ব্রজের নীচে চায়না শীপ আসিতেছে।
চায়না শীপ
সান পেডরু বীচ
মেরিটাইম মিউজিয়ামের বাইরে........
শীপের ইন্জিনের পাখা
শীপের ঘন্টা
মেরিটাইম মিউজিয়াম হলো নৌবাহিনীদের একটা মিউজিয়াম। এখানে ১০০ বছর আগের জলপথে ব্যবহ্নত জিনিস দেখতে পেলাম। সব দেশের বিখ্যাত জাহাজ এর মডেল বেশ চমৎকৃতভাবে সুরক্ষিত আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় জাহাজের মডেল হলো "মেরি কুইন" যা ১৯৩৬ সালে তৈরি করা হয়েছিলো।
বর্তমানে যুক্তরষ্টের লস এন্জেলেস শহরের লংগ বীচে সু-রক্ষিত অবস্থায় আছে।
মিউজিয়ামের ভিতরে:
মেরি কুইন। ১৯৩৬
১৯২৪ সালে তৈরি নৌকা
ডুবুরীর পোষাক
ময়ূরপন্খী নৌকা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।