আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যাচেলর সমাচার [ হাসি ]

একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।

করিমরা বাসা খুঁজতে খুঁজতে হয়রান। কেউ বাসা ভাড়া দিচ্ছেনা। অপরাধ ব্যাচেলর। সবার মাথায় হাত।

কি করবে- মাসও প্রায় শেষ। শেষে উত্তরা গেল বাসা খোঁজার জন্য। একবাসায় টু-লেট দেখে বাসার কলিংবেলে টিপ দিল। বাড়ীওয়ালা হাজির। -কি চাই -আসসালামু ওয়ালাইকুম আঙ্কেল।

-ওয়ালাইকুম( স্পষ্টত বিরক্ত ) -তা কি চাই বাবা? - আঙ্কেল আপনার শরীর ভালতো। -ঐ ব্যাটা মতলব কি? অবস্থা বেগতিক দেখে বলল- না আঙ্কেল আপনার বাসার সামনে টু-লেট দেখলামতো বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য এসেছি। এবার মনে কাজ হলো। তা বাবা তোমার সাথে আর কে কে থাকবে? আমতা আমতা করে বলল না আঙ্কেল এই আমরা কজন বন্ধরা। এর মাঝে ঘর থেকে একটি চরম সুন্দরী মেয়ে বের হয়ে আসল।

বাবা, আম্মা আপনাকে ডাকছে। যা আসছি। তা তোমরা কি ব্যাচেলর নাকি? না মানে জ্বি আঙ্কেল। ও এই জন্য "আঙ্কেল আপনার শরীর ভালতো"। ব্যাটা গর্দভ কোথাকার? করিম মিয়া রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে আসল।

ব্যাচেলর বলে ভাড়া দিলানা। আচ্ছা তোমার মাইয়ারেই বিয়া কইরা এই বাসা ভাড়া নিমুনে। এরপর থেকেই করিমমিয়া ঐ বাসার আশেপাশে ঘুরঘুর করত। ঐ মেয়ে বের হলেই কথা বলার চেষ্টা করত। এইভাবে একদিন প্রেমও হয়ে গেল।

করিম মিয়া ভাবল এই সুযোগ। ঐ মাইয়ারে কাজি অফিসে নিয়া বিয়া কইরা ফেলল। বিয়ে করেই সেই বাসায় আবার আসল। কলিংবেল টিপ দিতেই আঙ্কেল দরজা খুলে দিল। আসসালামু ওয়ালাইকুম ।

আঙ্কেলের তো চোখ কপালে উঠল। করিম মিয়া বলতে লাগল না মানে আঙ্কেল আমরা দুজন দুজনকে অনেক ভালবাসি। এখন বিয়া কইরা ফালাইছি। আব্বা এখন আপনেই সব। আঙ্কেল হেসে ফেলল এতো খুব ভাল কথা।

এতোদিন আমাদের একজন জরিণা ছিল এখন একজন আব্দুল হইছে। তা ঐ জরিণা দাড়াইয়া আছস কিয়া? যা নিচতলার ঘরটা খুলে যা। তোরও ভাল হইলো এখন আর তোর বাজারও যাওয়া লাগবনা আব্দুলই সব করবে। তুই শুধু বাসার কাজগুলো করবি। তখন করিম মিয়ার মুখখানি দেখার মত হইছিল.......।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।