আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বাসের ঘরে আগুন



সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের পক্ষে একা বাস করা সম্ভব নয়। কারণ এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিছু মৌলিক দাবি এবং চাহিদা। এসব দাবি কিংবা চাহিদা পূরণে আমাদের অন্যের শরণাপন্ন হতে হয়। আর এই শরণাপন্ন হতে গিয়ে অনেক সময় বাঁধে নানা বিপত্তি, ঘটে নানা ধরনের প্রীতি-অপ্রীতিকর ঘটনা। আমার খুব কাছের একজন মানুষের বিশ্বাসের ঘরে আগুন লেগে ছারখার হয়ে গেছে ১৪ বছর ধরে সাজানো স্বপ্নের বাগান।

অযত্ন অবহেলায় ধ্বংসের পথে ৯ বছর ও ২ বছর বয়সি দু'টি ফুল। যাদের দিকে তাকালে পাষাণেরও হৃদয় গলে ঝর্নাধারা বয়ে যাবে। আমি ঠিক বুঝি না, ১৪ বছর সংসার করার পর একটি সন্দেহ কী করে দু'জনকে আলাদা করতে পারে? প্রশ্ন জাগে এতগুলো বছর পার করার পরও তাদের বিশ্বাসের ভিতটা এত নড়বড়ে কেন? আর সন্দেহটি সত্য হয় তবে যাকে নিয়ে সন্দেহ তিনি কীভাবে মনের মাঝে পাপ নিয়ে ১৪টি বছর পার করতে পারলেন? ফুলের মতো নিষ্পাপ দু'টি সন্তানকে পিতা-মাতার স্নেহ থেকে বঞ্চিত করার কী অধিকার আছে তাদের? এ রকম হাজারো ঘটনা হয়ত আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে যার হদিস আমরা পাই না কিংবা রাখি না। তবে আপনারা যারা ব্লগে আছেন তাদের প্রতি আমার অনুরোধ- বিশ্বাসটা আরও মজবুত করুন, কারও বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে বিশ্বসঘাতকতা করবেন না। মনে রাখবেন, জীবন একটাই।

সেই জীবনকে মিথ্যা দিয়ে সাজিয়ে আর যাই হোক আত্মতৃপ্তি বা সুখ পাওয়া যায় না। জীবনকে ভালোবাসুন, নিজের ভালোবাসাকে প্রাণ উজাড় করে সত্যিকারের ভালোবাসুন। ভালো থাকুন। নিয়মিত ব্লগ পড়ুন। ব্লগে লিখুন।

সর্বোপরী সন্দেহ নামক কীটকে ভালোবাসার বাগান থেকে যোজন যোজন দূরে নিক্ষেপ করুন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।