আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আশুন প্রাচীন কালের কছু ভয়ানক শাস্তির সাথে পরিচিত হই

আমি একজন ব্লগ ভক্ত মানুষ। মধ্যযুগে অত্যাচারীদের সংখ্যাই ছিল বেশি। সে সময় যে ভয়ংকর এবং অভিনব শাস্তিগুলো অপরাধীদের দেয়া হতো, তার নৃশংসতা সম্পর্কে আমরা হয়তো ধারণাও করতে পারব না। শুধু তা-ই নয়, অনেকের হয়তো বিশ্বাস হবে না যে, এগুলো একসময় সত্যিই প্রয়োগ করা হতো বন্দিদের ওপর। তবে এসব শাস্তির কোনোটিরই এখন আর প্রচলন নেই।

যুগের উৎকর্ষতায় পরিবর্তন হয়েছে, পরিমার্জন করা হয়েছে অনেক কিছু। এরই আবর্তনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেসব পিলে চমকানো শাস্তির বিধানও। নিচে তা আলোচনা করা হল ঃ বেঈমানের দোলনা : এ বর্বর পদ্ধতির শাস্তিটি মধ্যযুগে স্প্যানিশদের আবিষ্কার করা। বন্দিকে নগ্ন করে দোলনার ওপর বসানো হতো। ব্যস, এরপর আর কিছুই করতে হতো না।

শরীরের ভারেই ধীরে ধীরে একসময় দোলনা ছিঁড়ে মৃত্যু হতো। চূর্ণকরণ চাকা : এটাও মধ্যযুগীয় ইউরোপের বর্বর কিছু শাস্তির মধ্যে অন্যতম। একটা চাকার ওপর বন্দিকে শোয়ানো হতো, তারপর প্রচণ্ড ভারী হাতুড়ি দিয়ে শক্তিশালী আঘাত করে খণ্ড খণ্ড করা হতো দেহের সব জয়েন্টে। স্প্যানিশ গাধা : মধ্যযুগের বর্বরতার আরেকটি নিদর্শন এ শাস্তি। এ পদ্ধতিতে বন্দিকে একটা গাধার ওপর বসানো হতো।

তবে গাধাটা একটু অন্যরকম। তেমন নরম-মোলায়েম নয়। এর উপর দিকটি ধারালো। এতে বসিয়ে বন্দিদের পায়ে ভারী লোহার বল বেঁধে দেয়া হতো। আর তাতে মারাত্মক আঘাত পেত বন্দিরা।

শূলে চড়ানো : শূলে চড়ানো বলতে আমরা অনেকেই জানি। শুধু তা-ই নয়, এ শাস্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে মোটামুটি সবাই অবগত। বন্দির হাত-পা বেঁধে সুচালো এ দণ্ডের ওপর বসিয়ে দেয়া হতো। শরীরের ভারে তা আস্তে আস্তে গভীরে যেতে থাকত। এ পদ্ধতিতে বন্দির মৃত্যু হতে এক থেকে দু’দিন সময় লাগত।

লোহার মহিষ : সিসিলিতে এ পদ্ধতিটি সর্বপ্রথম আবিষ্কার হয়। ‘পিরিলস’ নামের এক ইস্পাত কর্মী শাস্তি দেয়ার এ প্রক্রিয়াটি ডিজাইন করেন। বিশাল বড় ইস্পাতের তৈরি একটি মহিষ, যার পেটের দিক দিয়ে থাকত দরজা। এই দরজা দিয়ে বন্দিকে ভেতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়া হতো। তারপর নিচে আগুন জ্বালিয়ে ইস্পাতের তৈরি মহিষটি উত্তপ্ত করা হতো।

ভেতরে যারা থাকত তারা জীবন্ত পুড়তে থাকত। হাতির সাহায্যে মৃত্যুদণ্ড : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এ পদ্ধতিটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ হতো। বিশাল বিশাল হাতি ব্যবহার করা হতো বন্দিদের হত্যা করার জন্য। বন্দিকে বেঁধে তার মাথা কোনো পাথরের ওপর রাখা হতো এবং হাতি তার বিশাল পা দিয়ে বন্দির মাথাটি পিষে ফেলত। এজন্য হাতিগুলোকে ট্রেনিংও দেয়া হতো।

রক্ত-ঈগল : প্রচণ্ড ভয়ানক ও নৃশংস একটি পদ্ধতি। নর্ডিক কিংবদন্তিতে এ প্রথা পাওয়া যায়। মূলত নরওয়ের জলদস্যুরা এ পদ্ধতিটি প্রয়োগ করত। এ পদ্ধতিতে বন্দির মেরুদণ্ড ভেঙে পাঁজরের হাড়গুলো পিঠ দিয়ে টেনে বের করা হতো। সেটা পাখির ডানার মতো হয়ে থাকত।

ফুসফুস পেছন দিয়ে বের করে ফেলা হতো এবং ক্ষতস্থানগুলোতে লবণ ছিটিয়ে দেয়া হতো। চূর্ণ বা পিষ্টকরণ : চূর্ণকরণ ব্যাপারটা ইউরোপ, আমেরিকায় বেশি প্রচলন ছিল। সাধারণত জোর করে কিছু আদায় করার ক্ষেত্রে তারা এ শাস্তিটির ব্যবহার করত। এ পদ্ধতিতে বন্দিকে মাটির সঙ্গে শুইয়ে তার ওপর কাঠের তক্তা রাখা হতো এবং কাঠের তক্তার ওপর ভারী ভারী পাথর রাখা হতো। ততক্ষণ পর্যন্ত এ শাস্তি চলতে থাকত, যতক্ষণ না বন্দি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো।

এছাড়া আরেকভাবে এটা করা হতো। একটা মেশিন ছিল এ শাস্তির জন্য। সে মেশিনে বন্দির মাথা রেখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সেটা চাপ দিয়ে মাথা পিষে ফেলা হতো। ভাগ-ভাগ করা : মূলত ইংল্যান্ডে এ শাস্তিটির প্রচলন ছিল। ধারণা করা হয়, এ শাস্তিটি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস ও ভয়াবহ শাস্তি।

তিনটি ধাপে এ শাস্তি দেয়া হতো। প্রথমে একটি কাঠের ফ্রেমের সঙ্গে আটকে বন্দিকে নিয়ে যাওয়া হতো ময়দানে। তারপর গলায় দড়ি বেঁধে তাকে ঝুলিয়ে রাখা হতো। এতেও যদি বন্দি দোষ স্বীকার না করে, তখন তার হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘোড়ার সঙ্গে জুড়ে দেয়া হতো। ঘোড়া যত সামনে এগোত, তত টান পড়ত।

এরপরও দোষ স্বীকার না করলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বন্দির পেট কেটে জীবিত অবস্থাতেই তার নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলা হতো এবং এরপর গলা কেটে ফেলা হতো। তারপর তার শরীরটাকে চার ভাগে ভাগ করে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেরণ করা হতো।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।