আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিলং ভ্রমনে...

হঠাৎ শুন্যতা ...................

গত ১৩ ই মার্চ আমি অফিস থেকে শিলং ভ্রমনে গিয়ে ছিলাম। তিন দিন ও দুই রাত এর একটা ছোট ভ্রমন। সিলেটের তামাবিল দিয়ে শিলং যেতে হয়। ভারতে বর্ডারের নাম “ডাউকী”। তামাবিল বর্ডার দিয়ে মুলত কয়লা আমদানী করা হয়।

তুলনা মুলক কম বানিজ্যিক কর্মকান্ড চলে বলে এই স্থল বন্দর এখনও অনেক বন্ধুভাবাপন্ন। আমি ইমিগ্রেশন অফিসারের সাথে কথা বলে জানলাম প্রতি দিন গড়ে ৫০ জন মানুষ এই বন্দর দিয়ে যাতায়াত করে। ইমিগ্রেশনের ঝামেলা শেষ করে শিলং রওনা হলাম। আমাদের বাস রিজার্ভ ছিল। বর্ডারে মারুতী টেক্সি, টাটা জিপ অহরহ।

তবে বাস অথবা জিপে যাওয়াটাই বেশি নিরাপদ মনে হল। বর্ডার থেকে শিলং ২.৫/৩ ঘন্টার পথ। পুরো রাস্তাটাই আকর্ষণীয়। খুব খাড়া পথ বলে খুব দ্রুত অনেক উচ্চতায় পৌঁছে যায়। বাস চলা শুরু করতেই মিনিট দশেকের মধ্যে উচ্চতার কারনে কান বন্ধ হয়ে গেল।

পরে নিঃশ্বাস চেপে ধরে কান স্বাভাবিক করলাম। অধীবাসীরা মূলত খাসিয়া জনগোষ্ঠী। এ ছাড়াও সমতল ভূমির জনসাধারন রয়েছে। শিলং শহর টি ছোট এবং পাহাড়ী। বছরের এই সময় যখন ঢাকায় আমরা গরমে ঘেমেছি, তখন শিলং বাসী শাল, জ্যাকেট ব্যাবহার করেছে।

কুয়াশায় ঢাকা শহর আর পাহাড়ী সৌন্দর্য ছাড়া তেমন কিছু নেই শিলং এ। তবে পাহাড়ের সৌন্দর্যও অন্য রকম। সময় নিয়ে উপভোগ করতে হয়। আমরা খুব কম সময় নিয়ে গিয়েছিলাম তাই ভাল ভাবে দেখা হয়নি। তবে বেশ কিছু দৃষ্টি নন্দণ পাহাড়ী ঝরণা আছে।

শিলং এ থাকার ব্যবস্থা ভাল। বাংলা হোটেল রয়েছে। ওসব হোটেলে বাংলা খাবার পওয়া যায়। পিনার ব্যবস্থাও চমৎকার। একেবারে “পথে পথে দিলাম ঢালিয়া....” যাহোক, একটু ভিন্ন বেড়ানোর আমেজ পেতে হলে শিলং যেতে পারেন।

দিন তিনেকের ছুটি যথেষ্ট। হাজার ছয়েক টাকায় বেড়াতে যেতে পারেন শিলং।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।