আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিবিরের নাশকতা: সিলেটের মাঠে নামছে হাজারও প্রশিক্ষিত ক্যাডার

আমরা কেউ অপদার্থ নই, সুতরাং আমরা সবাই... আব্দুল্লাহ আল নোমান স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বাংলামেইল২৪ডটকম সিলেট: মানবতাবিরোধী অপরাধে আটক জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার বানচালের জন্য দেশব্যাপী রাজপথে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুরসহ সবধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে সিলেটে প্রায় এক হাজার প্রশিক্ষিত ক্যাডার মাঠে নামাচ্ছে শিবির। ইতিমধ্যে তাদের প্রস্তুত থাকার জন্য সাংগঠনিকভাবে নির্দেশও দেয়া হয়েছে। 'মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী' এ মন্ত্রে দীক্ষা দিয়ে এ ক্যাডারদের মাঠে নামানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। তারা চোরাগুপ্তা হামলা চালানোর পাশাপাশি রাজপথে প্রকাশ্যে নাশকতা ঘটানোর জন্য প্রশিক্ষিত বলে সংশ্লিষ্ঠ সূত্র জানায়। সূত্র আরও জানায়, ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায় ঘোষণা হতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তারা বিচার বানচালের উদ্দেশে ক্যাডারদের প্রস্তুত রাখছে।

সিলেটে দলের শক্ত অবস্থান জানান দিতে বিভিন্ন সড়ক মোড়ে ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনায়ই মূলত তারা মাঠে নামবে বলে জানা গেছে। সিলেট মহানগর শিবির সভাপতি আনোরুল ওয়াদুদ টিপুর নেতৃত্বে গড়ে উঠা এই প্রশিক্ষিত ক্যাডারদের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন মহানগর শাখার সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক। এ ব্যাপারে শিবির সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি আনোরুল ওয়াদুদ টিপুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধসহ নানা অভিযোগ তুলে সরকার যেসব নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চলবে। সিলেটে হাজার হাজার নেতা রয়েছেন যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে সরকারের রাজনৈতিক বিচার কার্যক্রম বন্ধে রাজপথে নেতৃত্ব দেবেন। এমনকি তারা নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করতে পিছপা হবেন না।

’ সরকার এখনো যদি পরিস্থিতি উপলব্ধি না করতে পারে, তাহলে তাদের জন্য করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে বলেও হুমকি দেন শিবির সভাপতি। ট্রাইব্যুনাল বাতিল না হওয়া পর্যন্ত শিবিরের আন্দোলন চলবে জানিয়ে সিলেট মহানগর সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক বাংলামেইলকে বলেন, ‘শিবির কর্মীরা এখন আর ঘরে বসে থাকবে না। ঘণ্টায় ঘণ্টায় তারা মাঠে নামবে। আন্দোলনে বাধা দিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। শীর্ষ নেতাদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।

’ এদিকে সংগঠনের একাধিক সূত্রে জানা যায়, সিলেটে মহানগর এলাকা ও সদর উপজেলা মিলিয়ে শিবিরের ৩০টির মতো সাংগঠনিক থানা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় আরও কয়েকটি সাংগঠনিক থানামানের এলাকা রয়েছে। সে সব শাখাগুলো থেকে বাছাই করে এই ক্যাডার বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া জেলা শিবিরের নেতাকর্মীদেরও এ ব্যাপারে প্রস্তুত থাকার জন্য সাংগঠনিকভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে শিবিরের জেলা শাখার এক নেতা বাংলামেইলকে জানান। এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার অমূল্য ভূষণ বড়ুয়া বাংলামেইলকে বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের সব ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড রুখতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা সর্বদা তৎপর বয়েছে।

নগরীতে পুলিশের টহল ও নজরদারি জোরদার করা আছে। ’ পুলিশবাহিনীর পাশাপাশি আমর্ড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন এবং র‌্যাবও মাঠে তৎপর রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কেউ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করলে বা করার চেষ্ঠা চালালে আইনশৃংখলাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে। ’ এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধে আটক শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে বুধবার বিক্ষোভের অনুমতি না দেয়ায় সিলেট বিভাগে বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে জামায়াতে ইসলামী। হরতাল চলাকালেও ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা এমনটাই ধারণ করছেন অনেকেই। বাংলামেইল২৪ডটকম/ এএএন/ এস/ ০১৫২ ঘণ্টা, ৩০ জানুয়ারি ২০১৩  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.