আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্ষার সূরে প্রাণঃ হৈমন্তি শুক্লা আর শ্রীকান্তের সংগীত সন্ধ্যা

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।

শুক্রবারের আমেজ হলো সারাদিন ঘুম । সেই লম্বা ঘুমের শেষে যখন চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এলাম ঘড়িতে তখন ঠিক সাতটা । তখনি অনুষ্ঠান শুরু হবার কথা ।

ভিতরে ঢুকে আসন নিলাম, দোতালার গ্যালারীতে । নিচের টিকেট ১৬০০ টাকা আর গ্যালারীতে ৮৫০ টাকা । গ্যালারীতে বসেও তো গান শোনা যাবে এবং দেখাও যাবে বরং নিচের থেকে ভালোভাবে এই সান্ত্ত্বণা নিয়েই বসলাম । পাক্কা ৪৫ মিনিট পরে অনুষ্ঠান শুরু হলো । টিকিট হাতে নিয়ে দেখলাম অনুষ্ঠানের নাম বর্ষার সূরে প্রাণ, এমন ভরা গ্রীষ্মে বর্ষার সূরে প্রাণ খানিকটা বিস্মিত হলাম ।

অনুষ্ঠান চত্বরে এসে বুঝতে পারলাম আয়োজকতদের স্পন্সর প্রাণ । বোধহয় টাইটেল স্পন্সর হওয়ায় এমন গরমের মাঝে অনুষ্ঠানের নামকরণটা করতে হয়েছে, প্রাণ নামের ব্যবহারটা আর কোথাও নিশ্চয়ই যতসই ভাবে ব্যবহার করতে পারছিল না । হৈমন্তী শুল্কা মঞ্চে এসে দেরী হবার কারণ হিসেবে বললেন রাস্তার যানজটের কারণে হোটেল থেকে পৌছাতে দেরী হয়েছে । শুরু হলো গান । অনেক গুলো গান গাইলেনঃ আমার বলার কিছু ছিল না থেকে ডাকে পাখি খোল আখি ।

তিনি বার এদেশের শ্রোতাদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন । নাংর পরে এলেন শ্রীকান্ত । এমন গ্রীষ্মে বর্ষার গান?? বললেন ভাগ্যিস খানিকক্ষণ আগে বৃষ্টি শুরু হয়েছে নইলে বর্ষার গান গাইবার আবেগই আসত না এমন গরসে । শুরু করলেন হে বন্ধু হে প্রিয় দিয়ে । আর শুরু হলো নানা গান গাইবার আবদার ।

তিনি গাইলেন শুক্লার আমার বলার কিছু ছিলনা , হেমন্তের বেশ কিছু গান । আবার শুক্লা মঞ্চে এলন নিজ আগ্রহে এসে দুজনে মিলে গাইলেন । শ্রীকান্ত গাইলেন আমার সারাটা দিন , খোলা জানালা সহ অনেক গান । বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত বারোটা । বেশ ভালো লাগল অনুষ্ঠানটি ।

তবে আয়োজকদের বেশ কিছু দুর্বলতা ছিল । বিশেষ করে শ্রীকান্তের কথা বোঝা যাচ্ছিল না সাউন্ড ইকোর কারণে । আর হৈমন্তী শুক্লা প্রাণ দিয়ে গাইলেও আজ বোধহয় গলা একটু বসে গেছে । তারপর সব মিলিয়ে একটা ক্লাসিক গানের সন্ধ্যা ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।