আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের অবিচার!

I realized it doesn't really matter whether I exist or not.

সম্প্রতি দেশের সর্ববৃহৎ দুইটি মোবাইল ফোন অপারেটর এমন একটি ঘোষণা দিয়েছে যাতে তারা লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের প্রতি অবিচার করছে। আসুন শুনি কি তাদের সেই অবিচার। পুনরায় রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রথম কবে গ্রামীণফোন এবং বাংলালিংক (এবং অন্যান্যরা) ঘোষণা বা আহ্বান দেয় বলতে পারেন? যেইদিনই দিকনা কেন, প্রায় এক বছর হয়ে গেছে। ইদানীং শোনা যাচ্ছে পুনরায় রেজিস্ট্রেশনের দিনক্ষণ ৩১শে মে এর পর আর বাড়ানো হবে না। তাই যেভাবেই হোক, মোবাইল ফোন চালু রাখতে হলে উক্ত তারিখের আগে পুনরায় রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

গ্রাহকদেরকে পুনরায় রেজিস্ট্রেশন করতে উৎসাহী করার লক্ষ্যে প্রথমে বাংলালিংক পরে গ্রামীনফোন ঘোষণা দিল যে, যারা মে মাসে পুনরায় রেজিস্ট্রেশন করবেন, তারা জুন মাসে একশত টাকার বোনাস টকটাইম পাবেন। আমার আপত্তিটা এখানেই। যারা গ্রামীণ কিংবা বাংলালিংকের কথা শুনে প্রথম নোটিশেই রেজিস্ট্রেশন করে ফেলল, তারা কিছুই পেলনা। আর যারা বেয়াদবের মত বারবার শোনার পরও রেজিস্ট্রেশন করেনি, শেষ সময়ে এসেছে জ্বালাতন করতে, তাদেরকে একশত টাকার বোনাস টকটাইম। অবিচারটা কি একটু বেশীই হয়ে গেলনা? এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম গ্রামীণফোনের মিরপুর এক নম্বর কাস্টমার কেয়ারে, যখনই প্রসঙ্গটা তুলে আমার আপত্তির কথা জানালাম, তখনই কাস্টমার ম্যানেজার আশেপাশে তাকিয়ে গলার স্বর নামিয়ে বললেন, ভাই, এখানে আমাদের তো কিছুই করার নেই।

এই যে আমরা, (তিনি অন্যান্য কর্মীদেরকে দেখালেন) প্রথম মাসেই রি-রেজিস্ট্রেশন করেছি। আমরাই তো বোনাস পাচ্ছিনা। এখন কোম্পানীর বিরুদ্ধে কী বলব? আমরাই তো অসন্তুষ্ট! যাই একচোট ঝাড়ি মারতে গিয়েছিলাম। ওনার কথায় উল্টো ঠান্ডা হয়ে এলাম। আপনারাই বলুন, কোম্পানীগুলোর এইধরণের অবিচার করাটা কি ঠিক?


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.