আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভয়াবহ উল্কাপাত, কিয়ামত এবং মানব জাতিকে আল্লাহর সুরক্ষা ।

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । আপনি যখন এ লেখাটা পড়ছেন তখন বায়ুমন্ডলের উপরের স্তর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য উল্কাপিন্ড দ্বারা ক্রমাগতভাবে আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছে । কিন্তু আমরা এই পৃথিবীতে অবস্হান করে তার কিছুই টের পাই না । কারণ আল্লাহ তায়ালা খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সুরক্ষা করে রেখেছেন ।

তিনি আকাশকে ছাদ স্বরূপ তৈরী করেছেন (সূরা-বাকারা২২) যার ফলে তা আমাদের মহাকাশের ক্ষতিকর বস্তু থেকে রক্ষা করে চলেছে । Without our atmosphere, there would be no life on earth. বায়ু মন্ডল ছাড়া পৃথিবীতে কোন জীবনই টিকে থাকতে পারত না । সে হিসেবে আল্লাহ এই বায়ু মন্ডলকেই পৃথিবীর ছাদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন যা প্রতিনিয়ত পৃথিবীর অধিবাসীদেরকে মহকাশের ক্ষতিকর বস্তু থেকে রক্ষা করে চলেছে । কিন্তু মহাবিশ্বের বিশাল খালি স্হানে অবস্হিত মিলিয়ন মিলিয়ন উল্কাপিন্ড পৃথিবীর অস্ত্তিত্বের জন্য আসলেই এক বিরাট হুমকিস্বরূপ এবং যার প্রতিরোধ ক্ষমতা মানুষের হাতে নেই । যে কোন সময় পৃথিবীতে বিশালাকায় উল্কাপিন্ড আঘাত হানতে পারে এবং এমনকি আপনি এখন যেখানে আছেন সেখানেও তা হতে পারে ।

এবং সেটার মানে এমনও হতে পারে যে পৃথিবীতে মানব বসতির বিলুপ্তি সাধন । কারণ উল্কাপিন্ডের ভয়াবহ আঘাত হানার পর পরই তার প্রভাবে হবে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত এবং আগুনের উৎপত্তি যা সব কিছুকে ধ্বংস করে দিবে । সত্যি করে বলেন তো আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, আপনি যেখানে আছেন সেখানে যে কোন সময় আকাশ থেকে উল্কাপিন্ড আঘাত হানতে পারে ? A meteoroid can be an object from the size of a grain of sand to the bulk of a boulder that is traveling in space. There are several official definitions of what is a meteoroid . They all differ based on the largest objects to be included in the group. If a meteoroid enters the atmosphere of Earth or any other body the visible trail that it leaves is called a meteor. Once it impacts the surface it is called a meteorite. These are commonly called shooting stars. Millions of meteors occur in the Earth’s atmosphere every day. Most meteoroids that cause meteors are about the size of a pebble. বিগত কয়েক বৎসরে অনেক বড় বড় উল্কাপিন্ডই পৃথিবীর নিকট দিয়ে পার হয়ে গিয়েছে এবং তাদের পৃথিবীকে আঘাত করার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান ছিলো । ১৫ই মার্চ, ২০০২ সালে একটা উল্কাপিন্ড যার আকৃতি ৫০-১০০ মিটার যা পৃথিবীর ৪৫০,০০০ কিলোমিটারের নিকটবর্তী হয়ে গিয়েছিলো । যদি এটা পৃথিবীতে পতিত হতো তাহলে একটা পারমাণবিক বোমার মত বিস্ফোরিত হতো ।

জনবহুল কোন স্হানে এর পতন এর পরিণাম কি হতে পারে তা কল্পণা করা কষ্টকর । ২২ জুন, ২০০২ সালেও একটি উল্কাপিন্ড যা একটা ফুটবলের আকারের সমান তা এমনকি আরো নিকটে এসে পড়েছিলো - ১২০,০০ কিলোমিটারের মধ্যে এবং ওটার স্পিড ছিলো ঘন্টায় ৩৭,০০০ কিঃমিঃ । এটা যদি পতিত হতো এর পরিণতিও হতো ভয়াবহ । মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় তা প্রতিরোধ করা । কিন্তু আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার অসীম রহমত ও কৃপায় মানব জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে চলেছেন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ।

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলছেন যে, সব কিছু ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে কেননা আল্লাহ তায়ালা এটাই চাইছেন । 'নিশ্চয়ই আল্লাহ আসমান ও জমিনকে স্হির রাখেন, যাতে এগুলো টলে না যায় । যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্হির রাখবে ? তিনি সহনশীল, ক্ষমাশীল । ' (সূরা ফাতির/৪১) এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ যে কোন সময় সব কিছু ধ্বংস করতে সক্ষম । তিনি ধ্বংসের একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করার কারণে সে সময় আসা পর্যন্ত সব কিছু ঠিক করে রাখবেন ।

হাজার হাজার উল্কাপিন্ড পৃথিবীকে ঘিরে আছে, তারা পৃথিবীকে আঘাত করার জন্য তৈরী । 'তারা যদি আকাশের কোন খন্ডকে পতিত হতে দেখে, তারা বলে এটা তো পূন্জীভূত মেঘ । তাদেরকে ছেড়ে দিন সেদিন পর্যন্ত, যেদিন তাদের উপর বজ্রাঘাত পতিত হবে । ' (সূরা আত্ব তুর/৪৪-৪৫) সবাইকে ভিডিওটা দেখার অনুরোধ করছি । কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যাবে - পরিণতি কত ভয়াবহ হতে পারে ।

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সব কিছূরই আয়ু তথা জীবনকাল ঠিক করে দিয়েছেন । পৃথিবীও একদিন ধ্বংস হবে - সেটা তিনি কুরআনের পাতায় পাতায় বলেছেন । সেই নির্দিষ্ট সময় আসার আগ পর্যন্ত তিনি পৃথিবীকে রক্ষা করবেন । আল-কুরআনে সূরা হজ্বে আল্লাহ কিয়ামতে বর্ণনায় বলছেন- 'হে লোক সকল ! তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর । নিশ্চয় কেয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার ।

যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন প্রত্যেক স্তন্যধাত্রী তার দুধের শিশুকে বিস্মৃত হবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করবে এবং মানুষকে তুমি দেখবে মাতাল; অথচ তারা মাতাল নয় বস্তুতঃ আল্লাহর আযাব সুকঠিন । ... কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে, কবরে যারা আছে , আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন' (১,২,৭) এখন আমার আপনার দায়িত্ব নিজেকে আল্লাহর সামনে দাড়ানোর জন্য তৈরী রাখা । কেউ জানেনা কে কখন ধ্বংসের মূখে পতিত হবে । মৃত্যুই প্রত্যেকের জন্য আযাব এবং কিয়ামত স্বরূপ । এখন তা যেভাবেই আসুক না কেন ।

ইয়া রাব্বূল আলামীন ! আমাদেরকে তোমার আযাব থেকে হেফাজত কর । নিশ্চয়ই আমরা তোমার উপর নির্ভরশীল এবং তুমি দয়ালূ ও ক্ষমাশীল। Click This Link  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.