আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিযামীর মিথ্যাচার ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ হচ্ছে! হ্যা হ্যা........



সমকালের প্রতিবেদনটি পড়ুন রিপোর্টার: হকিকত জাহান হকি গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর বছরে স্থায়ী আয় মাত্র ৩২ হাজার ২০০ টাকা। বার্ষিক আয়ের এই পরিমাণ টাকার মধ্যে তার নিজের লেখা কতিপয় বইয়ের সম্মানী হিসেবে পেয়ে থাকেন বছরে ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া পাবনার সাঁথিয়ায় তার নিজের বাড়িভাড়া বাবদ প্রতি মাসে ৬০০ টাকা হিসাবে বছরে আসে ৭ হাজার ২০০ টাকা। তাকে গাড়ি কিনে দিয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। সরকারকে দেওয়া মতিউর রহমান নিজামীর আয় সংক্রান্ত হিসাবপত্রে এ তথ্য উল্লেখ রয়েছে।

এনবিআরের কর অঞ্চল-১-এর সার্কেল-৫ থেকে চিঠি দিয়ে তার সম্পদের হিসাব চাওয়া হলে সম্প্রতি তিনি এ হিসাব জমা দেন। তার দেওয়া এ হিসাবে সরকার সন্তুষ্ট নয়। এ জন্য তার অর্থ ও সম্পদের সঠিক তথ্য উদ্ঘাটনে শিগগিরই বিশেষ কার্যত্রক্রম শুরু করবে সরকার। এ লক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও দুর্নীতি দমন কমিশন প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। জানা গেছে, জামায়াতের এই নেতা রাজধানীর মগবাজারে ব্যয়বহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন।

দামি গাড়িতে চড়তেন। উন্নত জীবনযাপন করতেন। অথচ তার বার্ষিক আয় ৩২ হাজার ২০০ টাকা। এই হিসাব অনুযায়ী তার প্রতি মাসের আয় ২ হাজার ৬৮৩ টাকা। বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় প্রতি মাসের এই আয়ের টাকা দিয়ে কোনোভাবেই উন্নত জীবনযাপন করা সম্ভব নয়।

এ ক্ষেত্রে সরকার তার দেওয়া আয়ের হিসাব সন্দেহের চোখে দেখছে। সূত্র জানায়, এনবিআরে পেশ করা তার আয়ের হিসাবে বলা হয়, তার লেখা বইগুলো থেকে সংশ্লিষ্ট প্রকাশকরা সম্মানী বাবদ নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে কোনো বইয়ের সম্মানী বাবদ সর্বনিম্ন ২০০ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন। এই খাতে প্রতি বছরে আসে ২৫ হাজার টাকা। এতে আরো বলা হয়, পাবনার সাঁথিয়ায় তার নিজের একটি বাড়ি আছে।

সে বাড়িভাড়া বাবদ প্রতি মাসে পান ৬০০ টাকা। এ হিসাবে বছরে পাওয়া যায় ৭ হাজার ২০০ টাকা। বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী সন্তানরা তাকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেন বলেও ওই হিসাবপত্রে উল্লেখ করা হয়। সরকারকে দেওয়া আয়ের হিসাবে আরো বলা হয়, তিনি সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রতি মাসে ভাতা বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে পেতেন ২০ হাজার টাকা। সংসদ বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে তিনি এ টাকা পান না।

জানা গেছে, এর আগে জামায়াতের এই শীর্ষ নেতার আয়ের হিসাব জানার জন্য সম্প্রতি তল্লাশি চালিয়ে দুটি বেসরকারি ব্যাংকে তার নামে দুটি অ্যাকাউন্টে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার হিসাব পাওয়া যায়। তার নামে আর কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া যায়নি। বেনামে অথবা তার স্ত্রী সন্তানের ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা আছে কি-না, কোনো কোম্পানিতে তার শেয়ার আছে কি-না অথবা বিদেশে কোনো ব্যাংকে তার নামে হিসাব খোলা হয়েছে কি-না তা যাচাই করে দেখা হবে। তার আয়কর সংক্রান্ত ফাইলটি এরই মধ্যে নজরে পড়েছে সরকারের। এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সার্কেল অথবা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) থেকে শিগগিরই জামায়াতের এই নেতার আয়ের হিসাব খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে আলাদাভাবে তার সম্পদের হিসাব চাওয়া হবে। এর আগে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে জামায়াতের কতিপয় নেতার সম্পদের হিসাব চাওয়া হলেও দলের এ শীর্ষ নেতার সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়নি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।