আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আকাশ বাড়িয়ে দাও


আমাদের অনাবাসী বাংলাদেশীর সংখ্যা কত? মানে যারা বিদেশে থাকেন আর দেশে আসতে হলে আকাশপথে আসতে হয়? শুধু যারা কিছুদিনের জন্য গতর খাটাতে গেছেন তারা না, দ্বিতীয়, তৃতীয় প্রজন্মে যারা এই দেশের রক্ত নিয়ে জন্মেছে তাদের ধরলে? দশ-পনর লাখ নাকি আরো বেশী। আমার মনে হয় হিসেবটা পচিশ ত্রিশ লাখের দিকেই যাবে। দেশ ছেড়ে যাওয়া আরবের হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খাটা শ্রমিক থেকে শুরু করে আমেরিকায় গাড়ি বাড়ি হাঁকানো সবারই এক বিষয় কমন থাকে, তা হল দেশে ফেরত আসা। সবাইই কোন এক সময়ে দেশে ফেরত চলে আসতে হয় (মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষেত্রে) অথবা বিদেশে শেকড় গজালে আস্তে ধীরে মাঝে মধ্যে বেড়ানোর জন্য ফেরত আসতে হয়। কদিন ধরেই যেই বিষয়টা মাথায় খোঁচাচ্ছিল মনে হল এক ফাঁকে লিখে ফেলি।

বাংলাদেশের নির্বাচিত, অনির্বাচিত যত রকমের সরকারই এসেছে, প্রত্যেকেরই খাইদাই করার নিজস্ব কিছু স্টাইল থাকে, যেমন কোন সরকার খাল কাটার মাধ্যমে খাবে আবার কোন সরকার অন্য কিছুতে। কিন্তু একটি বিষয় সবসময়েই কনসিস্ট্যান্ট থাকে, তা হল হাওয়াই পাখি। মনে হয়না এখন পর্যন্ত কোন সরকার এসে বিমানাদি কেনার ঘোষনা দেয়নি। প্রতিবারেই সেগুলোকে যুগান্তকরী সিদ্ধান্ত বলা হয়, সেই সরকার ডিগবাজী খেলে দেখা যায়, বিমান ডবল দাম দিয়ে, পুরানো মডেল বা আধমরা পেলেন গছিয়ে দেয়া হয়েছে আর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর আর বলার দরকার নাই। আকাশপথে দেশের এতই উন্নতি হয়।

কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের সাথে দেখলাম আসলেই নিজের সার্টিফিকেটে আগুন ধরিয়ে চা খাবার মত মেন্টালিটি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আসলেই বছরে ত্রিশ চল্লিশ লাখের মত আন্তর্জাতিক যাত্রী ম্যানেজ করার মত এভিয়েশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার নেই বাংলাদেশের। আর যা অবস্থা আগামী দশ বছরেও হবে বলে মনে হয়না। কারণ এই ধরনের প্রকল্পগুলো সাধারণত যথেষ্ট সময় ও খরচসাপেক্ষ এবং টেকনিকাল হয়ে থাকে। আমাদের এক দুই কোটি পাতে পড়লেই কামড়া কামড়ি শুরু হয়ে যায়, হাজার কোটির অঙ্ক আসলে তো খবরই আছে।

কদিন আগে একজন ঢাকা থেকা ফিরল, সকালে ফেরার কথা বিকেলে ফিরল। ঘটনা হল, একমাত্র রানওয়েতে বিমান অচল হয়ে পড়ায় পুরো বিমানবন্দর কাইত। পুরো দেশের রাজধানীর জন্য একপিস রানওয়ে, আরেকটু বেশী মনে হয় হওয়া উচিৎ। ভবিষ্যত হিসেব করলে বাংলাদেশের জন্য এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিকে এখুনি এক দশকের ভেতরে পাঁচগুণ বাড়ানোর প্ল্যান নিয়ে না আগালে খবর আছে। বাংলাদেশে কেউ পাইলট হতে চাইলে তেমন কোন ঊপায় নাই, অন্যান্য হাইলি টেকনিকাল পদগুলোর জন্যও কোন ট্রেনিং অপশন নেই।

কাউকে কিছু তো করতেই হবে। জিএমজি দেশের গন্ডী ছাড়িয়ে আস্তে ধীরে বিদেশের দিকে আগাচ্ছে দেখে বেশ ভাল লাগল। গলফ বা থাই এয়ার যদি বিমান না হতে পারে, আর জিএমজি হয় তাতে আপত্তি কি? বাংলাদেশের মানুষজন বেশী ভাড়া দিয়ে হলেও বিমানে যাবার জন্য তৈরি। কিন্তু ওড়ার মত আর জান নিয়ে ওঠা নামার গ্যারান্টি দেবার মত অবস্থা থাকলে তো। যাউগগা বাংলাদেশ বিমানের ওপরে উইকিপিডিয়াতে আশ্চর্যরকম বিস্তারিত প্রতিবেদন আছে।

কারো ফ্রী সময় থাকলে পড়ে দেখতে পারেন। বিমানের ওপরে কেউ একজন যথেষ্ট পরিমানে ত্যাক্ত হবার পরেই এটা বানিয়েছিল মনে হয়। সকলকে আমন্ত্রিত [ছবিটি বিমানের বিশেষ ব্যাগের]
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।