আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এসএসসির রেজিস্ট্রেশন। সংক্ষিপ্ত মজার অভিজ্ঞতা।।।

এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র দুই রকমের মানুষ আছে। ভালো মানুষ যারা ভালো কাজ করে। আর খারাপ মানুষ যারা খারাপ কাজ করে। এটাই মানুষদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য। আর কোন পার্থক্য নেই... আমি ভাল মানুষ...☺☺☺

বিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার বলেছে শনিবার (আজকে) এক ঘন্টা আগে যেতে।

তো গেলাম এক ঘন্টা আগে। শুনেছি কি একটা বিষয়ে শ্রেণীশিক্ষকের সাথে দেখা করতে হবে। গিয়ে দেখি সে এক কান্ড। এসএসসির রেজিস্ট্রেশনের ফর্ম ফিলাপ করতে হবে!!! স্কুলে গিয়ে বসে রইলাম। সময় কাটছিল না।

আর শ্রেণীশিক্ষক-যে কই গিয়েছেন তার আর আসার নাম নেই। ভাবলাম কিছু একটা করি। তখন মেয়েদের ক্লাস চলছিল। সেদিকে তাকিয়ে রইলাম। (নেই কাজ তো খই ভাজ ) হঠাৎ দেখলাম আমার প্রিয় শিক্ষককে।

রহমান স্যার। সে মেয়েদের ক্লাস নিচ্ছিল। আমার প্রিয় এই শিক্ষকটি আমাদের দিবা শাখা থেকে মনিং শিফটে চলে গেছেন। সময় মোটে কাটেনা। বন্ধুদের সাথে গল্প শুরু করলাম।

এবং গোলমালের কথা শুনে আমাদের শ্রেণীশিক্ষক ছুটে এলেন। এসে আমাদেরকে একটু ধৈর্য্য ধরতে বলে আবার গেলেন। তিনি প্রায় পনের মিনিট পর ফিরে এলেন। হাতে ধরিয়ে দিলেন একটা ফর্ম। সেটা দেখে আমার কাম শেষ।

সাদা একটা কাগজে কতগুলা লালরঙের গোল্লা। সেইগুলাকে পুরোন করা লাগবে। আমাদের শিক্ষক আমাদেরকে বললেন সে যা বলবেন তাই করতে। শুনে হাফ ছেড়ে বাচলাম। শুরু করলাম ফর্ম ফিলাপ।

শিক্ষকের কথামতো এগোচ্ছি। হঠাৎ করে আটকে গেলাম জন্মতারিখে এসে। টিচারকে জিজ্ঞেস করার পর সে বলল, "১৮.০৮.১৯৯৫। " আমি শুইনা আসমান থিকা পড়লাম। আমার জন্মদিন ফেব্রুয়ারীর নয় তারিখে।

এইটা আইলো কুনথে!!!!!!!!! যাইহোক, পরে শিক্ষককে বলে পরিবর্তন করালাম। (বয়সটা একটু আউলা। সার্টিফিকেটে নাকি একটু কম দিতে হয়। এইটার রহস্য আমি জানিনা। ) এরপর শিক্ষককে একজন জিজ্ঞেস করলো বাবা মায়ের নামের সামনে মিস্টার বা মিসেস লেখা যাবে নাকি।

স্যার বললেন লিখা যাবে না। সেটা শুনে আরেকটা ছেলে বলল, "স্যার, মিস লেখা যাবে?" । সারা ক্লাসে হাসির রোল পড়লো। স্যার হাসতে হাসতে বললেন, "ওই তুই বলতো মিসেস আর মিসের মধ্যে পার্থক্য কি?" ছেলেটা চুপ করে দাড়িয়ে থাকলো। এতক্ষণে কি বোকামী করছে তা বুঝতে পারলো।

স্যার ওকে মিসেস আর মিসের পার্থক্য বুঝিয়ে দিলেন। আমরা ওরে বললাম, "ওই তোর মা মিস হইলে তুই হইলি কেমনে!?!?!?" আমি রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করতে গিয়া ধর্মের জায়গায় হিন্দুতে ভরাট কইরা ফেললাম। তারপর স্যাররে বলার পর সে বললো, "হিন্দু ধর্মে টিক দিছসতো কি হইছে। হিন্দু ধর্ম পালন করবি। " আমি মনে মনে বললাম, "{স্যার সেইটাতো আর সম্ভব না।

হিন্দু মসলমান হইতে পারে কিন্তু মুসলমানরা হিন্দু হয় কেমনে?} স্যারকে বললাম, "স্যার, মুসলমান-ও যে টিক দিয়া দিছি। " স্যার বললেন, "আমি এখন কিছু করবার পারুম না। যা করার করছোস। " তারপর ফর্ম পূরণ কইরা ফেরত দিয়া দিলাম। স্যার আমাদের কাছে জানতে চাইলেন আমরা এখন ক্লাস করতে চাই নাকি।

আমরা সবাই বললাম টায়ার্ড। স্যার আমাদেরকে ছুটি দিয়ে দিলেন। স্যারকে ছুটির পর জিজ্ঞেস করলাম, "স্যার, ভূলগুলোর কি হবে?" স্যার হেসে বললেন, "ওইগুলায় কিছু হবে না। তোরা বাসায় যা। " স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি দিয়া দিছে।

আগামী মাসের ৬তারিখ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ। পরে বিস্তারিত লিখে পোস্ট করবো। সামনে ছুটিটা আছে না????????

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.