আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একবার যেতে দে না, আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়...



অবশেষে শুক্কুরবার সোনারগাঁ যাওয়া ঠিক হলো। ছুটির দিনে একটু বেলা করে ঘুম থেকে উঠি। ছেলের যণ্ত্রনায় সকাল সকাল উঠতে হলো। সব কাজ-টাজ সেরে রওয়ানা করলাম। মানিব্যাগ দেখে চমকে উঠলাম।

সব্বোনাশ !! সবমিলিয়ে শ'পাঁচেক মাত্র টাকা আছে। দৌড়ালাম, ফার্মগেটে। এটিএম বুথে। শালার কপাল ! মেশিন আউট অব সার্ভিস। এদিকে ছেলে আর বউ সমানে মিসকল দিয়ে যাচ্ছে।

তাড়াতাড়ি রিকশা নিয়ে ধানমন্ডি ছয় নম্বরে এসে অবশেষে টাকা পাওয়া গেল। বাসা থেকে বেরিয়ে সদর রাস্তায় আনা মাত্রই তুমুল বৃষ্টি। ৩০ মিনিট দোকানের নিচে দাঁড়িয়ে রইলাম। কালো একটা টেক্সিক্যাবে উঠার পর মনে পড়লো- সোনার গাঁয়ের বাস কোথ্থেকে ছাড়ে, তাতো জানিনা !! তো ক্যাবে যাচ্ছি, বাইরে তুমুল বৃষ্টি। মতিঝিল, সাইন্সল্যাব ঘুরে শেষতক স্টেডিয়ামে এসে পেলাম-সোনারগাঁয়ের বাস।

বৃষ্টি মাথায় ক্যাব থেকে নামার সময় পাশ দিয়ে যাওয়া টাউন সার্ভিসের বাস রাস্তায় জমে থাকা অনেকগুলো পানি আমাদের উপর ছিটিয়ে চলে গেলো। সোনারগাঁয়ের বাস বোরাক পরিবহন ছুটছে। ৪০ মিনিটের মাথায় মোগড়াপাড়া গিয়ে নামলাম। রিকশায় যাদুঘর। এরপর ঘুরাঘুরি।

দুপুরে ওখানকারই এক হোটেলে চিংড়ি মাছ, গো-মাংশ আর সবজী দিয়ে খেয়ে নিলাম। আমি আতংকে আছি...। প্রচুর লিচু গাছ দেখতে পাচ্ছি, অথচ একটাতেও লিচু নেই। শেষ হয়ে গেছে। ছেলে বার বার জানতে চাচ্ছে- লিচু কৈ ? আমি এটা সেটা বলে বোঝাচ্ছি তাকে।

আশে পাশে প্রচুর জামরুল। কিনে খাওয়া শুরু করলাম। দারুন মজার এবং রসালো। গাছ পাকা আম, তাও খেলাম। শুধু কোথ্থাও লিচু দেখছিনা।

পাশেই জামদানী পল্লী। সাইন বোর্ডটা চোখ এড়ায়নি আমার বৌয়ের। চলো একটু দেখে আসি, যাবে ? চলো... আবশেষে আবার মোগড়াপাড়া থেকে যখোন বাসে উঠছি- তখোন আমাদের হাত ভর্তি অনেকগুলো প্যাকেট...শুধু পকেটটা ফাঁকা... জামরুল পাকা আক দুটো থ্রি পিস একটি জামদানী শাড়ী একটি বল আমার জন্য একটা শার্ট দুটো পাখা ইত্যাদি ইত্যাদি...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.