আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবীর [সা] কর্মসূচী......... ৮ম পর্ব

কষ্ট হলেও সত্য বলা বা স্বীকার করার সাহসই সবচেয়ে বড় সততা।

৪। সুদ প্রথার বিলোপ সাধনঃ সুদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় আজকের বিশ্বে বিরাজ করছে অস্থিরতা, ধনী-নির্ধারনের মধ্যে আকাশ পাতাল বৈষম্য, হানাহানি, যুদ্ধ-বিগ্রহ ইত্যাদি। কারণ সুদভিত্তিক সমাজে দুনিয়ার সকল সম্পদ সমাজের গুটিকতক লোকের হাতে কুক্ষিগত থাকে এবং সমাজের অপর প্রান্তে নেমে আসে ইরিত্রিয়া ও ইথিওপিয়ার মত দুর্ভিক্ষ। ক্ষমতা ও অবৈধ সম্পদের নেশায় মানুষ থাকে মত্ত।

মহান আল্লাহ ঘোষণা করলেনঃ “আল্লাহ বেচা কেনাকে হালাল করেছেন আর সুদকে করেছেন হারাম। ” এক কথায় রাসূল [সা]-এর নবুয়ত প্রাপ্তির পর অর্থনৈতিকভাবে নতুন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়। যা অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে অবারিত শান্তি নেমে আসে। ৫। যাকাতভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থাঃ ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলোর মধ্যে সালাতের পরেই যাকাতের স্থান।

যাকাত হলো সমাজের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করার একমাত্র হাতিয়ার। ইসলামী রাষ্ট্রের বায়তুল মালের আয়ের অন্যতম উৎস যাকাত। অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানে সমাজে যাকাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। হযরত উমারের শাসনামলে যাকাতের ইতিবাচক ভূমিকার ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এমন হয়েছিল যে সমগ্র দেশে খুঁজে এমন একজন মিসকীন পাওয়া যায়নি, যাকে যাকাত প্রদান করা যেতে পারে। আজকের সমাজের অর্থনৈতিক বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে সুষম অর্থ ব্যবস্থা চালু করার একমাত্র মেকানিজাম হল যাকাত ব্যবস্থা চালু করা।

রাসূল [সা] বলেছেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ সাদাকাহ ফরয করেছেন, যা ধনীদের কাছ থেকে আদায় করে দরিদ্রদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। ” ৬। শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাঃ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা তথা একটি বিজ্ঞানভিত্তিক শ্রমনীতি চালু করা চাট্টিখানি কথা নয়। সমগ্র বিশ্বে বিরাজমান সমস্যাগুলোর মধ্যে এটি জটিলতম সমস্যা। আধুনিক যুগের বিজ্ঞানোজ্জ্বল শিক্ষিত সমাজেও শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

এখানে শ্রমিকদের কোনরূপ সামাজিক মর্যাদা দেয়া হয় না। তাদের শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন করা হয় না। অথচ শ্রমের নিঃশব্দ আঘাতে তাদের মেরুদণ্ড কুজো হয়ে যায়, পানি হয়ে যায় বুকের রক্ত, শুকিয়ে লবন হয় গায়ের ঘাম। একমাত্র ইসলামই শ্রমিকদের কোন শ্রেণী হিসেবে বিবেচনা করে না, তাকে ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে। এখানে মনিব ও শ্রমিকের সম্পর্ক হল ভাইয়ের সম্পর্ক।

এখানে শ্রেণী সংঘাত, শ্রেণী সংগ্রাম কিংবা শ্রেণী বিদ্বেষের কোন সুযোগ নেই। ইসলাম শ্রমিকদের অধিকারকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে তাদের গায়ের ঘাম শুকানোর পূর্বেই ন্যায্য পাওনা আদায় করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। রাসূল [সা]-ই একমাত্র এ কাজটি করেছেন। যার ফলে ভারসাম্য সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব হয়েছে। (চলবে) ৭ম পর্ব ৬ষ্ঠ পর্ব ৫ম পর্ব ৪র্থ পর্ব ৩য় পর্ব ২য় পর্ব শুরু পর্ব


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.