মহাশূন্যে কৃত্রিম উপগ্রহ ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। এ জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একটি বিশেষজ্ঞ টিম এর অর্থনৈতিক সম্ভাবতা যাচাই শুরু করেছে। বিশ্লেষণ করছে এর অর্থনৈতিক নানা দিক। মহাশূন্যে কৃত্রিম উপগ্রহ ছাড়তে হলে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) থেকে কক্ষপথ (অরবিট) বরাদ্দ নিতে হয়। বিটিআরসি এরই মধ্যে কক্ষপথ বরাদ্দ চেয়ে আইটিইউএর কাছে আবেদন করেছে।
টেলিকম বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মহাশূন্যে কৃত্রিম উপগ্রহ ছাড়তে পারলে বাংলাদেশ প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র তৈরি হবে। সেই সঙ্গে দেশের অভ্যনত্দরীণ নিরাপত্তা আরো সুরক্ষিত হবে।
টেলিকম বিশেষজ্ঞরা জানান, ভয়েস ও ডেটা কমিউনিকেশন খাত ছাড়াও দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের সম্প্রচারের জন্য বিদেশি স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠানকে প্রতি বছর মোটা অংকের বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) থাকলে এই টাকা দেশেই থাকতো।
রোববার বেটার বিজনেস ফোরামের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেছেন, সরকার বেসরকারি খাতের মাধ্যমেই স্যাটেলাইট ছাড়ার প্রকল্পটি বাসত্দবায়ন করতে চায়।
তিনি ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন, আগামী দু'বছরের মধ্যে বাংলাদেশ মহাশূন্যে কৃত্রিম উপগ্রহ ছাড়তে পারবে। ম্যাঙ্গো টেলিসার্ভিসের এমডি টেলিকম বিশেষজ্ঞ মীর মাসুদ কবির জানান, মহাশূন্যে বাংলাদেশের জন্য যে জায়গা রয়েছে তা অন্যরা ব্যবহার করছে। আমাদের জায়গায় স্যাটেলাইট ছেড়ে অন্যেরা লাভবান হচ্ছে। আমাদের জায়গায় নিজস্ব স্যাটালাইট থাকলে এই লাভের অংশীদার আমরাও হতাম। তিনি বলেন, আরো অনেক আগেই মহাশূন্যে উপগ্রহ ছাড়ার উদ্যোগ নেয়া দরকার ছিল।
সূত্র: আমাদের সময়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।