আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাশূন্যে ভাসমান হোটেল!

পৃথিবীর কক্ষপথে হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে রাশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান। আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে নির্মিত হবে মহাশূন্যে ভাসমান হোটেলটি। হোটেলটিতে পর্যটকদের আনা-নেওয়ার জন্য মহাশূন্য যান তৈরী করবে আর একটি প্রতিষ্ঠান। রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান ‘অর্বিটাল টেকনোলজিস’ মস্কোর উপকণ্ঠে জুকভ বিমান ঘাঁটিতে এমএকেএস আন্তর্জাতিক বিমান প্রদর্শনীতে মহাশূন্যে হোটেল নির্মাণের এ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। খবর বিডিনিউজের।

পরিকল্পনাটি প্রকাশ করে ‘অর্বিটাল টেকনোলজিস’ এর প্রযুক্তিবিদরা জানান, পৃথিবীর কক্ষপথে পৃথিবীর চারদিকে ভ্রমণরত হোটেলটিতে সাতটি কামরা থাকবে এবং এতে সাতজন অতিথি থাকতে পারবেন। ২০১৬ সালের মধ্যে হোটেলটির নির্মাণ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন তারা। অর্বিটাল টেকনোলজিস প্রকাশিত পরিকল্পনায় আরো আছে, হোটেল থেকে পর্যটকদের চাঁদের অন্ধকার অংশে নিয়ে গিয়ে ঘুরে দেখানো এবং ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যাওয়া। পর্যটকদের মহাশূন্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার আংশিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ‘আরকেকে এনার্জিয়া’ ছয়জন যাত্রী বহনে সক্ষম একটি শাটলযান (পর্যটকদের মহাশূন্যে নিয়ে আবার ফিরে আসবে এবং বিমানের মতো অবতরণ করবে যে মহাশূন্য যান) তৈরী করবে। যানটি কোন ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই ভিআইপি যাত্রীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে।

এ যানের নকশাবিদ ভ্লাদিমির পিরোজকোভ বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে দামী টিকেট যারা কিনবেন তাদের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে, তাদের উদ্বিগ্ন করা যাবে না। ” আরকেকে এনার্জিয়া’র পরিকল্পনা মতে, তারা ২০১৫ সাল থেকেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মহাশূন্যে পর্যটক আনানেওয়া শুরু করতে পারবে। অর্বিটাল টেকনোলজিস’র প্রধান সের্গেই কোশতেনকো জানান, মহাশূন্যের হোটেলটি কক্ষপথে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে অনেক আরামদায়ক হবে। তবে হোটেলটি বিলাসবহুল হবে এমন কোন প্রতিশ্রুতি দেন নি তিনি। হোটেলটিতে অবস্থানরত পর্যটকদের মহাশূন্যের পরিবেশের জন্য উপযুক্ত খাবারই খেতে হবে, স্পঞ্জ ব্যবহার করে গোসল করতে হবে।

কারণ হোটেলটিতে ওজনহীন অবস্থায় তাদের থাকতে হবে। ভূপৃষ্ঠের দুইশ সতের মাইল উচ্চতায় স্থাপিত চলন্ত ওই হোটেলটিতে পাঁচদিন থাকা-খাওয়া বাবদ পর্যটকদের সাত কোটি টাকারও (১০ লাখ ডলার ) বেশি খরচ করতে হবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.