আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিচকা শয়তান!!! (পর্ব-৩)

এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র দুই রকমের মানুষ আছে। ভালো মানুষ যারা ভালো কাজ করে। আর খারাপ মানুষ যারা খারাপ কাজ করে। এটাই মানুষদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য। আর কোন পার্থক্য নেই... আমি ভাল মানুষ...☺☺☺

এই পর্ব থেকে মূল কাহিনী শুরু।

এর আগের কাহিনীগুলো ছিল ছোটবেলার এবং দুষ্টুমীর.... ************ রাশেদ ভর্তি হল নটরডেম কলেজে। আর শামীম এবং সাকিব ভর্তি ঞল সিটি কলেজে। আর জেবা ভিকারুননিসা কলেজে ভর্তি হল। একদিন সকালে রাশেদের মোবাইলে একটা আননোন নাম্বার থেকে ফোন এল। প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে ফোন ধরল রাশেদ।

ঘুমটাই নষ্ট হয়ে গেল। ফোন কানে লাগিয়ে রাশেদ অবাক হয়ে গেল। মেয়েকন্ট বলল, "হ্যালো রাশেদ, আমি জেবা। " রাশেদ বলল, "হ্যা জেবা বল। কেমন আছো?" জেবা বলল, "ভাল।

তুমি?" রাশেদ, "ভাল আছি?" জেবা, "তা কোন কলেজে ভর্তি হলে?" রাশেদ, "নটরডেম কলেজ। " জেবা, "শামীম আর সাকিব?" রাশেদ, "ওরা সিটি কলেজে ভর্তি হয়েছে। তুমি কোথায় ভর্তি হয়েছ?" জেবা, "আমি ভিকারুননিসা কলেজে। " কিছুক্ষণ নিরবতা। তারপর জেবা বলল, "ঠিক আছে।

আজকে রাখি। খোদা হাফেজ। " রাশেদ বলল, "খোদা হাফেজ। " ফোন রেখে রাশেদ খানিকটা অবাক হল। জেবা এতদিন পর ওকে ফোন করল কেন তা ভেবে।

মাথায় কিছুই আসলো না। দুই বছরে জেবাকে যা দেখলো তাতে ওকে পাগল পাগল বলেই রাশেদ মনে করে। আর প্রচন্ড জেদী। একদিন অংক ক্লাসে স্যারকে বলল পদার্থবিজ্ঞানের অংক করে দিতে। স্যার একটু পরে বলেছে বলে একদম সেদিন ও কোন অংকই করেনি।

জেবা আর রাশেদ ছিল সাইন্সে। রাশেদ হাড়েহাড়ে টের পেয়েছে জেবার সঙ্গ। ও যে কত জেদী তা রাশেদ ভাল করেই জানে। --- হঠাৎ বিরক্ত হয়ে গেল। মনে মনে বলল, "ধ্যাৎ, আমি এত কথা ভাবছি কেন? বন্ধু মানুষ ফোন করতেই পারে..." তারপর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল, "ফোন করায় ভালই হয়েছে।

দেরী করে ফেলেছি। তারপর তাড়াতাড়ি উঠে গোসল করে কলেজে রওনা হল। " চলবে......

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।