শুধুই দেখি...
গাজীপুরের চৌরাস্তায় একটা মূর্তি আছে।
ভাস্কর্য --জাগ্রত চৌরংগি।
ভাস্কর --আবদুর রাজ্জাক।
স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের সূচনা হয় এই গাজীপুর থেকেই।
স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম শহীদের রক্ত প্রথম পরে এই গাজীপুরে।
শহীদ হুরমত তাহার নাম।
তার স্মরণেই এই ভাস্কর্য।
তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
এই লেখাটা বিডিনিউজ২৪ কপি পেস্ট করতে বাধ্য হলাম
গাজীপুরে বাঙালি সৈনিকদের বিদ্রোহ :
ঢাকা, ১৯ মার্চ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ঢাকায় মুজিব-ইয়াহিয়া ৩য় দফা রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হলো ১৯ মার্চ বেলা ১১টায়।
সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের উপদেষ্টাদের মধ্যে বৈঠক হয়। এদিন জয়দেবপুরে অসহযোগ আন্দোলনরত জনগণের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ অমান্য করে ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা।
বৈঠকশেষে আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেন, "সবচাইতে ভালো কিছুর আশা করছি এবং সবচাইতে খারাপের জন্যও প্রস্তুত রয়েছি। " দৃশ্যত এর অর্থ ছিল আলোচনায় আরো অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিন সন্ধ্যায় ইয়াহিয়ার উপদেষ্টা এবং বঙ্গবন্ধুর উপদেষ্টা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও ড. কামালের মধ্যে দুই ঘন্টা আলোচনা চলে।
এ আলোচনার সময়ই রাজধানীর ২২ মাইল দূরে জয়দেবপুরে পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে বাঙালিদের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
ঢাকা ব্রিগেডের কমান্ডার (পশ্চিম পাকিস্তানি) ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব আরবাব সসৈন্যে জয়দেবপুর যাচ্ছিলেন। সমরাস্ত্র কারখানা প্রহরারত মূলত বাঙালি ইপিআর এর একটি দলকে নিরস্ত্র করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করা হয়। আন্দোলনরত বিক্ষুদ্ধ জনগণ জয়দেবপুর থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত আড়াই মাইলে শত শত ব্যারিকেড দেয়। পাকিস্তানি সৈন্যরা এখানে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলের ব্যাটালিয়নকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা করে।
কিন্তু তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
পাকিস্তানি কমান্ডার বিক্ষোভরত মানুষের ওপর গুলি করার নির্দেশ দিলে বাঙালি সৈন্যরা অস্বীকার করে। এই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন মেজর শফিউলাহ, পরবর্তীকালে যিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হন। ১৯ মার্চ জয়দেবপুর এলাকায় বাঙালি সৈন্য, শ্রমিক ও জনসাধারণ যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল তাকে বাঙালির সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামের সূচনা বলা চলে।
পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের গুলিতে গাজীপুরে সেদিন সরকারি হিসেবে ২ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়।
বেসরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা ছিল আনুমানিক ১৫০। পাকিস্তানী সৈন্যরা ওই এলাকায় বেশ কয়েকবার গুলিবর্ষণ করে, গ্রামে গ্রামে ঢুকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নির্যাতন করে। টঙ্গি এলাকায়ও তাদের নির্যাতন চলে।
একই দিন বেঙ্গল রেজিমেন্টের কিছু সৈন্য টাঙ্গাইল থেকে জয়দেবপুর যাচ্ছিল। বিক্ষুদ্ধ জনতা তাদের থামিয়ে কয়েকজন সৈন্যকে আটক করে এবং ৪টি রাইফেল ও কয়েকটি স্টেনগান ছিনিয়ে নেয়।
বঙ্গবন্ধু জয়দেবপুরের ঘটনার প্রতিবাদ করে বলেন, "তারা যদি মনে করে থাকেন যে, বুলেট ও শক্তির বলে জনগণের সংগ্রামকে দাবিয়ে রাখা যায় তাহলে আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছেন। .. জনগণ যখন রক্ত দিতে তৈরি হয় তখন তাদের দমন করতে পারে এমন শক্তি দুনিয়ায় নেই। "
***********
একজন গাজীপুরবাসি হওয়াতে আমি গর্বিত।
একজন বাংলাদেশি হওয়াতে আমি গর্বিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।