আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বসিএস কোটার বাস্তবতা;



বিশ্ববিদ্যালয়ে বিসিএস কোটাবিরোধী আন্দোলন আর তা ঠেকানোর জন্য শিবিরের নোহাই দিয়ে ছাত্রলীগ এর বিরোধীতা করছে, অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু শিবিরের দোহাই দিয়ে ছাত্রলীগ এর বাস্তবতা অস্বীকারই করছে। ৯৭-৯৮ তে বেতন বৃদ্ধি আন্দোলন করতে গিয়েও তাদের একই ভূমিকার স্বীকার আমরা। তখন ভীরাগতদের দিয়ে অস্ত্রের ভয় দখানোর ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু কতৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত সাধারন ছাত্রদের দাবী মেনে ণিতেই বাধ্য হয়।

চাকরীর বিগ্‌গাপনে যখন দেখি মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স ৩২ তখন হাস্যকর মনে হয় দেশের প্রসাশনকে। মুক্তিযুদ্ধের ৩৭ বছর পরও তারা ৩২ বছরের মুক্তিযোদ্ধা খুজে বেড়ায়। আর এই রাজ নৈতিক ব্যবসার লাভবান মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরাই বেশী। এই একটি বিশাল কোটার কারনে ছাত্রনেতাদের আর রাজনীতির লেবাসধারি শিক্ষকদের ব্যবসাও রমরমা। মাহফুজদের মতো কোটিপতি তৈরীতে এই কোটাই অনেক সাহায্য করেছে।

আর আমরা কষ্ট পাই আমাদের গর্বের যায়গাটুকু নিয়ে স্বার্থান্নেষীদের উল্লাশ করতে দেখে। কষ্ট হয় যখন দেখি জামাত শিবিরের হাতে মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট। সব কিছু বাদ দিয়ে হলেও কোটার আড়ালে যে রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত তার থেকে উত্তরনের জন্য হলেও এর একটা সমাধান হয়া দরকার। আমরা যারা মেধার জোরে অজপাড়া থেকে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েও বিসিএস এর সিড়ি টপকাতে পারিনি তার কারনতো জোটসরকারের বিসিএস বাণিজ্যের কারনে, তার শুরু কোটা দুর্নীতির মধয় দিয়েই। তাই আসুন বাস্তবতা মেনে নিয়ে কোটা ব্যবস্থার একটা পুনর্বিন্যাস করতে সকলেই ভুমিকা রাখি, বিতর্কিত না করি আমার চেতনা মুক্তিযুদ্ধকে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.