আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে তুরস্কে হিজাবের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে

সুমাইয়া সরোয়ার

অবশেষে অবসান হচ্ছে এক নিরব কান্নার। শতকরা ৯৯ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ তুরস্ক। যেখান থেকে ৬০০ বছর ওসমানী খেলাফত পরিচালিত ছিল। ওসমানী খেলাফতের সেই পূণ্য ভূমিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের স্কার্ফ পরা নিষিদ্ধ। শুনতে একটু আশ্চর্য মনে হলেও বাস্তব এটাই।

১৩ মার্চ ১৯৯৮ বিশ্ববিদ্যালয় রেক্টরদের বৈঠক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ক্ষেত্রে স্কার্ফ নিষিদ্ধ করা হয়। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা হাজার হাজার স্কার্ফ পড়া ছাত্রীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। সর্বোমোট ৯৩ হাজার ছাত্রীকে সে বছর তাদের শিক্ষা-জীবন থেকে বঞ্চিত করা হয়। আর এভাবেই শুরু হয় তুরস্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উপর নিরব নির্যাতন আর বৈষম্য। দেশের সেনাবাহিনী এবং সরকারের আমলাদের কারনে এতদিন জনগণের অতি প্রত্যাশিত এই স্কার্ফ নিষিদ্ধ আইন বাতিল হয়নি।

বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের নিবার্চনী প্রতিশ্রুতি ছিল যে তারা ক্ষমতায় গেলে স্কার্ফ নিষিদ্ধ আইন বাতিল করবে। তারই ধারাবাহিকতায় তুরস্কের সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে বাতলি হচ্ছে এই স্কার্ফ নিষিদ্ধ আইন। যদিও ধারণা করা হচ্ছে যে, আইনটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংসদে পাশ করা হবে। কিন্তু তার পরেও দেশের ভিতরে বিতর্ক চলছে। অনেকে মনেকরছেন এটা করলে দেশের ধর্মনিরাপক্ষতার উপর বিরাট হুমকী হয়ে দেখা দিবে।

কামাল আতাতুর্কের প্রতিষ্ঠিত রিপাবলিক পিপলস পার্টির (CHP) প্রধান ডেনিজ বাইকাল মনেকরছেন এটা ইসলামিক পার্টির একটা সিম্বল শুধু। কিন্তু প্রধান মন্ত্রী রেজেপ তাইপ এরদোগান জোর দিয়ে বলছেন যে পার্টিগত সিম্বলই হোক আর ইসলামী নিদর্শনই হোক স্কার্ফের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদেরকে মুক্ত পরিবেশে মেধা বিকাশে সহয়তা করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।