আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডায়েট সম্পর্কিত প্রচলিত ভুল ধারনা এবং কিছু বেসিক টিপ(যার কারনে অনেকেই ওয়েট গেইন করে)

এস এস রঙের দুনিয়ায় , স্বাদ দিব তোমায় বিবর্ণতার..... ডায়েট সম্পর্কে আমাদের মাঝে প্রচুর ভুল ধারনা মজ্জাগত , এই ভুল ধারনার কারনে , যারা নিজস্ব ডায়েট প্লান ফলো করেন তারা অনেকেই নান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন , আর্থিক অবস্থা কিংবা সময় সুযোগ করে উঠতে না পারার কারনে আমারা অনেকেই ডায়েটিশিয়ানের কাছে যাওয়া হয়ে উঠেনা , তাদের জন্য কিছু টিপস নিয়ে হাজির হলাম ডায়েটঃ মুলত একটি সুষম খাদ্য ব্যাবস্থাকে নির্দেশ করে যা আপনার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গুলোকে একটি নির্দিষ্ট শেপ এ রেখে আপনার সুস্থ জীবন নিশ্চিত করেন , ক্ষেত্রবিশেষে খাদ্যের ক্যালরি ভেলুর উপর ডীপেন্ড করে আপনার B M I সঠিক রেঞ্জ এ রাখতে সাহায্য করে , BMI calculator এখন আসুন , আমাদের মাঝে প্রচলিত ডায়েট মানেই হচ্ছে কম খাওয়া , ক্ষেত্র বিশেষে মেজর মিল অফ করে দেয়া এতা সবচেয়ে বড় ভুল হিসেবে বিবেচিত। কোন মতেই কোন মেজর মিল বাদ দেয়া অনুচিত কেননা তাতে আপনার মেটাবলিজমের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় । আমাদের বাংলাদেশে মুলত মেজর মিল থাকে তিনটা । #সকাল #দুপুর #রাত এই তিন প্রধান মিলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতপুরন হল সকালের মিলটা , কারন সকালে আপনার বডী স্টারভেসন মূডে থাকে যেহেতু আপনি পূর্ববর্তী ৮-১০ ঘন্টা কোন খাদ্য বা পানিয় গ্রহন করেন নি । আধুনিক ব্যাবস্থায় যারা নিজের ওজোন কমাতে চান ।

তাদের অবশ্যই সকালে একটা প্রধান মিল আবশ্যক । পারতপক্ষে সকালে দিনের সবচেয়ে বড় মিলটা সেরে ফেলা যুক্তিসঙ্গত । আপনি সকালে যতটূকু পারেন হাই প্রোটিন যেমন ডিম , দুধ , লাল মাংস , মিষ্টি খেতে পারেন , আপ টু আপনার আপিটেট , ধরে নিলাম আপনি সকাল ৮ টায় খেলেন । পরবর্তী মিল করবেন হয়ত দুপুর ২ টায় । আমারা সাধারনত যে ভুল্টা করে থাকি এর মাঝে কোন খাবার গ্রহন না করে ।

এর মাঝে হাল্কা দুটো টোস্ট বিস্কিট এক গ্লাস পানি আপনাকে সতেজ করে তুলতে পারে ,সেই সাথে চাঙ্গা করে তুলবে আপানর দেহের অতিরিক্ত চর্বি ভাঙ্গার প্রসেস তবে খেয়াল রাখতে হবে টোস্ট যেন ঘি কিংবা চিনির প্রলেপ দেয়া না থাকে । দুপুরে আপানর মিল হবে অবশ্যই সকালের চেয়ে হালকা । আপনার পাতে যে পরিমাণ ভাত থাকবে তার দ্বিগুণ পরিমাণ সব্জি থাকবে , সাথে এক টুকরো মাছ অথবা মাংস ,(মাছ হলে বেশি ভাল )। ভাতের পরিমাণ বেটার হয় যত কম , তবে শুরু করতে পারেন দের-বাটি (সুপের বাটি ) দিয়ে , ধীরে ধীরে কমাতে হবে ভাতের পরিমাণ এবং বাড়াতে হবে সব্জির । বিকালে অবশ্যই নাস্তায় ভাজা পোড়া এভয়েড করার চেষ্টা করতে হবে , একটি আপেল কিংবা মুড়ি মাখা ওইথ শাক অথবা সব্জি (যাদের ক্ষুধার আমার মত বেশি তাদের জন্য ) রাতে অবশ্যই আপানাকে ঘুমানোর কমপক্ষে দু-ঘন্টা আগে খাবার খেয়ে নেবার অভ্যেস করতে হবে ।

মেনুতে থাকতে পারে ফ্রূট সালাদ কিংবা তেল ছাড়া রুটি সাথে সব্জি । আর যদি ভাতে বেশি আডীক্টেট হন তবে হাফ বাটি ভাত সাথে সব্জি । আর ঘুমানোর পুরবে অনেকেই আজকাল একটি বিস্কিট কিংবা এক চামচ মধু খাবার পরামর্শ দেন , যাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আপানর শরিরের মেটাবলিজম সঠিকভাবে হয় । বিশেষ কিছু টীপসঃ ১। অবশ্যই সফট ড্রিঙ্কস এভয়েড করতে হবে ।

আধ লিটারের একটি বোতলে যে পরিমাণ অতিরিক্ত চিনি থাকে তার জন্য আধা ঘণ্টা টানা আপনাকে দৌড়তে হবে। ২। চর্বি , ঘি এভয়েড করতে হবে ৩। যাদের ক্ষুধা বেশি তারা খাবার পুরবে দু-এক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে পারেন তাতে ক্ষুধা কমবে আপনার খাদ্য গ্রহন পরিমিত হবে । ৪।

প্রথম মাসে সফল ডায়েট এবং ব্যায়ামের পড় আপনার শরিরের ওজন বৃদ্ধি পেলে তাকে সু-সংবাদ হিসেবে ধরে নিবেন। কারন ফ্যাট এর জায়গা পানি দারা রিপ্লেস হয় । আর যেহেতু পানি ভারী তাই ওজোন বৃদ্ধি পায় । অনেকেই এই সময় হতাশ হয়ে ডায়েট ছেড়ে দেন , এতে তারা অধিক ক্ষতির শিকার হোন । ৫।

আর একটা কথা আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে , ডায়েট একটা চলমান সিস্টেম হতে হবে , এক মাস করবেন আত তার পরে আর করতে পারবেন না ,তাহলে আপনার জন্য গভির দুসংবাদ আপনি আরো ওয়েট গেইন করতে যাচ্ছেন , আপনি এম্ন একটা প্লান তৈরি করুন যেটা আপনি দীর্ঘ দিন কন্টীনিঊ করতে পারবেন > এর কারন টা হল আমাদের সেল গূলোর সিস্টেম অতি কমপ্লেক্স । ধরুন আপানই এক মাস পাখির আহার গ্রহন করলেন , আপানর শরিরের কোষ গুলো পরিমিত খাদ্য পেলনা । তখন সেলগুলো তাদের মেমরিতে তথ্য দিয়ে রাখবে যে পরিমিত খাদ্যের অভাব । আর যেহেতু আপনি স্বল্প খাবার গ্রহন করছেন পর্যাপ্ত নিউট্রিয়ান্সের অভাবে আপনি দুর্বল এবং অসুস্থ হয়ে পরবেন , আপনি তখন ডায়েট প্লান ছেড়ে দিয়ে নরমাল কিংবা বেশি খাবার গ্রহন করবেন , তখন আপানার সেল অতিরিক্ত খাদ্য সঞ্চয় করা শুরু করবে ফ্যাট আকারে কেননা তার কাছে ইনফরমেসন আছে খাদ্যের স্বল্পতা চলছে , সো বি কেয়ারফুল। সাধু সাবধান ৬।

ফাস্ট ফুড , এভয়েড করা আবশ্যক , যদি এভয়েড করতে না পারেন , তাহলে ফাস্ট করুন , আই মিন আপানাকে না খেয়ে থাকতে হবে পরবর্তী বেলা । (জ্ঞান মুলক পোষ্ট থেকে দূরে থাকতে চাচ্ছিলাম , কিন্তু মনে হল এতে অনেকের কাজে আসতে পারে , তাছারা অবিসিটী আমাদের জেনারেসনের এক বড় প্রব্লেম ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.