আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জোড়া কাহিনী

অতীতকে নিয়ে নস্টালজিক হতে ভালোবাসি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতেও।

ছোটবেলায় আমার মা শুনেছে জোড়া কলা খেলে নাকি জমজ সন্তান হয়। একসময় মার খুব শখ ছিলো জমজের, তাই শোনা কথায় কান দিতে নেই জেনেও কান দিতো। সে ইচ্ছেটা একটু বদলে আমার মধ্যে চলে এসেছে। জমজের শখ না হলেও, আমার জমজ ভাইবোনদের দেখতে খুব মজা লাগে।

বাংলাদেশে চেনা জানা কেও ছিলো বলে মনে পড়ছে না, তবে এখানে আসার পর বেশ কয়েক জোড়ার সাথে ভালো ভাবে পরিচয় হয়েছে। হাই স্কুলে ওঠার পর জাস্টীন ও রোসেট, আর রেবেকা ও এ্যশলিকে দেখলাম। প্রথম দু'জনের হাব ভাব যদিও সম্পূর্ণ আলাদা, দ্বিতীয় জনদের পাশাপাশি দেখেও আলাদা করা কঠিন। ওরা একই ভাবে কথা বলে, একই কাপড় পরে ও একই ব্যাগ নিয়ে ঘুরে। দু'জনেরই রাগ হয় একই কারনে ও রাগ ভাগে একই ভাবে।

তবে ওরা ভিন্ন ক্লাসে ছিলো বেশিরভাগ সময়েই - এর জন্যই এতোদিন ওদের সাথে থেকেও বেঁচে আছি সবাই! অস্ট্রেলিয়ায় আসার পর প্রথম পরিচয়ের বাঙ্গালিদের মধ্যে আছে ফি আপু ও কি আপু (পুরো নাম নয়)। ওদের মাঝে পার্থক্য করতে পারতাম না শুরুতে। কয়েকদিন পরে খেয়াল করলাম একজনের দাতের ব্রেস আছে ও আরেকজনের নেই। একজন কাজল দেয় ও আরেকজন দেয় না। তখনও এ দুটো ছাড়া ওদের আলাদা করা আমার সাধ্যের বাহিরে।

কয়েক বছর পর এক বোন ব্রেস ছাড়লো ও অন্যজন ধরলো। আবার নতুন করে শুরু হলো সমস্যা। অবশ্য এখন ওগুলো ছাড়াই চিনতে পারি। ছয় বছরে আরও অনেক পার্থক্য বের করে ফেলেছি। জমজদের মধ্যে সবচেয়ে মজার হচ্ছে ইমু ১ ও ইমু ২।

ওরা অসম্ভব মিল সহ চেহারার একুশ বছরের ভাই বোন। বাসায় সারাক্ষন কথা হয়, তবুও একজন আরেকজনের ফেসবুকে ম্যাসেজ রেখে যায়। ওদের ইমু এক ও দুই ছাড়াও অনেক নাম আছে - যেমন দা গার্ল, দা বয়। একটু অপ্রাসঙ্গিক কথা: আজকেও প্রচন্ড বৃষ্টি হলো। আগের বার মার সাথে ভেজার ইচ্ছে ছিলো, এবার ভিজেছি।

আপুনি এমন দিনে ভুল গান ধরলো - হলুদিয়া পাখি, সোনারই বরন, পাখিটি ছাড়িলো কে...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।