আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একের ভেতরে চার : সামহোয়ার সমাবেশ, সুমন চট্টোপাধ্যায়, বিষ্ণুমূর্তি ও কাজীপাড়া লেখক ফোরাম

সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com

১. একরামুল হক শামীম ও রিজভী খুব সুন্দর একটা ব্লগার্স মিটের আয়োজন করলো। সমাবেশে যাওয়ার আগে একটা পোস্ট দিয়ে যাত্রা করে একটু অস্বস্তিতে ছিলাম। ভাবছিলাম সময় মতো পৌছাতে পারবো কি পারবো না। চারটা এক কি দুই মিনিটে গিয়ে দেখলাম যারা পৌঁছেছেন ততোক্ষণে, প্রায় সবাই আমার মতো।

আকারে প্রকারে। এরাই সবার আগে এসেছেন। কারণ এরা এখনও সমাবেশে বিশ্বাস করেন। সবচেয়ে বড় কথা সময় মতো সমাবেশে উপস্থিত হতে হয় না একথাটা এখনও এরা শিখে ওঠেননি। শেষ পর্যন্ত সমাবেশে এদেরই প্রাধান্য ছিল।

মশার কিছুটা জ্বালাতন ছাড়া সন্ধ্যাটা ছিল দারুণ। যাদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে তাদের সবাইকে একবাক্যে ভাল লেগেছে। আমার মতে, ব্লগে যারা ভীষণ ঠোঁটকাটা ব্যক্তিগত আচরণে অধিকাংশই ভীষণ লাজুক। ব্যতিক্রম তো থাকবেই। তাই না? ব্লগার্স মিটের ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে।

হাতে সময় না থাকলেও হারিয়ে ফেলার ভয়ে ছবিগুলো নামিয়ে রেখেছি। স্মরণীয় একটা সন্ধ্যা। সমাবেশে গিয়ে একটা কথা বারবার আমার মনে হয়েছে : এখানে যারা এসেছেন তাদের অধিকাংশই লেখক। কেউ হবু, কেউ বড়। কিন্তু সবাই লেখক।

ফালতু লোক খুব কম। ফলে আশা করতে দোষ কী? আমি ভীষণ আশাবাদী। ২. ১৭ তারিখে অফিসে এসেই শুনলাম সুমন আসতেছে। কোন সুমন? কবীর সুমন অর্থাৎ সুমন চট্টোপাধ্যায়। সুমন কেমন জানি অতীত হয়ে গেছে।

সুমন চট্টোপাধ্যায়ের ফেলে আসা গানে। অথচ কতই না শুনতাম, শোনা দেখতাম। কথা ছিল, আমাদের অফিসে ঘণ্টা খানেক থেকেই চলে যাবেন। কোথায় কী? এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা গড়িয়ে তিন ঘণ্টায় এসে থামলেন তিনি। নিজের কথা, গানের কথা, সাহিত্যের কথা কত বললেন! গান শোনালেন নতুন পুরাতন।

শুনতে শুনতে ভাবছিলাম, তাহলে তো ঠিকই আছে। সুমন ঠিকই আছে। কিন্তু, কেন যে সুমনের ভক্তরা সুমনকে ছেড়ে গেল? এটা আমার কাছে এক গুরুতর রহস্য হয়েই থাকলো। তবে সুমন বুড়ো হয়ে গেছে। এর আগে ১৯৯৭ কি ১৯৯৮ সালে আরও একবার কাছাকাছি দেখেছিলাম।

নয় দশ বছরে তো নয় দশ বছরের বয়সই বাড়ে। তবে ডাট একই রকম আছে। গলাটাও। ৩. ১৮ তারিখে অফিসে আরেক সেমিনার। প্রত্নসম্পদ পাচার নিয়ে।

বিকাল বেলা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ফয়েজ আহমদ, আ ক ম জাকারিয়া, শামসুল ওয়ারেস, ইউরি ভাই, নিসার আহমেদ আসলেন। আমার দুই স্যার আসলেন। একেএম শাহনেওয়াজ আর মোস্তাফিজুর রহমান লাল। পরে আসলেন তানিয়া আমীর। সেদিন সবার মুখেই ছিল একটা হতাশার আভাস।

না পারা গেল না এবার। চোরদের সঙ্গে পারা গেল না। কিন্তু কথায় আছে চোরের দশদিন আর গৃহস্থের একদিন। ভগবান বিষ্ণু বহুবার পৃথিবীকে বাঁচিয়েছেন। কখনো কৃষ্ণ হয়ে, কখনো রাম হয়ে, কখনো পরশুরাম হয়ে, কখনো বরাহ হয়ে।

এবার টেরাকোটা মূর্তি হয়ে কিছু প্রত্নসম্পদ বাঁচালেন। জয় জগদিশ হরি। একটা ব্যাপার জানা দরকার এখন। অতি উৎসাহী মহলটা কারা? সোনার বাংলা ফেস্টিভ্যালের উদ্যোক্তাই বা কারা? চোরের সাক্ষী গাঁটকাটা বুদ্ধিজীবীরাই বা কারা? নামগুলা এখন উচ্চারণ না করলে আর কখন করবো? ৪. ইতিহাসে একটা ব্যাপার ছিল বাগদাদ প্যাক্ট নামে। বাগদাদ ওই প্যাক্ট থেকে বের হয়ে গিয়েছিল প্যাক্ট মোতাবেক সেন্টো নামক সংস্খাটি গড়ে তোলার পরপরই।

ফলে পরিহাস করে বলা হতো বাগদাদ প্যাক্ট উইদাউট বাগদাদ । ইউনিভার্সিটি থেকে বের হয়ে আসার পর আমরা লেখকদের সংগঠিত করে একটা অ্যাক্টিভিস্ট মঞ্চ তৈরি করলাম। তো আমাদের কমরেডদের মতিগতি দেখে বন্ধু লেখকরা সবাই আসতেছি বলে ভেগে গেল। শেষে দেখা গেল রাইটার্স মঞ্চ উইদাউট এনি রাইটার অবস্থা। এখন আবার পুরনো কথাগুলো মনে পড়লো।

আমাদের প্রতিবেশী লেখকরা মিলে একটা কাজীপাড়া লেখক ফোরাম গড়ে তুলেছেন। কিন্তু মুলোমুলি আর কড়াকড়ি করতে গিয়ে কিছু লেখক বাহিষ্কার। আর কিছু স্বেচ্ছাঅবসরে। এজন্যই বলছিলাম, পুকুরে জাহাজ ভাসানোর চাইতে সমুদ্রে ভেলা ভাসানো অনেক ভালো। বাকী থাকলো কী? আমি বুদ্ধদেব বসুর মহাভারতের কথা পইড়া রফিক স্যারের কাছে গিয়া বললাম, স্যার কী বিশ্লেষণ! আহা! তো স্যার কইলেন, মহাভারতের কথা ভাল ঠিক আছে।

কিন্তু জানো তো, এর শব্দগুলা চালুনিতে নিয়া একটা ঝাড়া দিলে কতগুলা সেমিকোলন আর কমা বের হবে? আমি চুপচাপ স্যারের মুখের দিকে তাকায়া আছি। স্যারে কয়, দেড় কেজি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.