আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইন্টারনেটে পর্ণোগ্রাফি ও শিশুদের যৌন নির্যাতন

তবে একলা চলরে.......

ইন্টারনেট প্রযুক্তি হলো বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম ও অত্যাধুনিক একটি যোগাযোগ মাধ্যম । নারীদেহ, নারীর রূপ-সৌন্দর্য, পোশাক-আশাক তথা নারীর সামগ্রীক যৌনতাকে উপজীব্য করে অকথ্য, বিকৃত ও কুরুচিপূর্ণ যৌন ব্যবসায় ইন্টারনেটের হাজারো ওয়েবসাইটে এখন প্রকাশ্যে দৃশ্যমান যার আধুনিক নাম হচ্ছে ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি । পুঁজি বিকাশের ধারায় বর্তমানে পাশ্চাত্যপন্থি বিকৃত মন-মানসিকতাসম্পন্ন একশ্রেণীর মানুষ অভিনব পদ্ধতিতে নারীকেও জঘন্যতম ব্যবসায়িক ভোগ্যপন্যে অর্থাৎ যৌনযন্ত্রেই পরিণত করেছে । বর্তমানে নর-নারীর পাশাপাশি শিশুদের যৌন নিপীড়নমূলক অসংখ্য ওয়েবসাইটেরও সৃষ্টি হয়েছে, যা কোনক্রমেই গ্রহনযোগ্য হতে পারেনা । এর সংখ্যা ২০০৬ সালে ছিল ৩ হাজারেরও বেশী ।

ওয়েব সাইটে যৌন নিপীড়নের উপাদানের ছড়াছড়ি রয়েছে এবং ১২ বছরের নিচের শিশুদের ছবিই এসব ওয়েবসাইটে বেশী স্থান পেয়েছে । এ হার শতকরা ৯১ ভাগ । এ ধরনের ওযেবসাইটের নির্মাতারা চিহ্নিত হয়ে পড়া থেকে বাঁচতে প্রযুক্তিরও আশ্রয় নিচ্ছে । পর্নোগ্রাফিক সাইটগুলো শিশু ও নারীসহ জনমানুষকে বিকারগ্রস্ত করে তুলছে । ফলে সমাজে ব্যাভিচার, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন ব্যাপকভাবে বেড়ে যাচ্ছে ।

অনিয়ন্ত্রিত যৌনতার কারণে মরণব্যধি এইডসও আজ পিছু নিয়েছে । পর্ণোগ্রাফি হলো আমাদের শিশু-কিশোর ও বয়ঃসন্ধিকালীন তরুন-তরুনীদের নিকট এক ধরনের যৌন শিক্ষক । সাধারনত ১২-১৮ বছর বয়সী শিশুরাই পর্নোগ্রাফি দেখে থাকে । নগ্ন নারীদেহ বা ব্লু ফিল্ম দেখলে মানুষমাত্রই কামাত্তোজিত হয়ে পড়ে এবং বিশেষত উঠতি শিশু-কিশোরদের মধ্যে পড়ছে এর মারাতœক ধ্বংসাতœক প্রতিক্রিয়া । এ ধরনের অভিঙ্গতার কারণে এ বয়সী ছেলেমেয়েরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হতেও বাধ্য হচ্ছে ।

পর্নোগ্রাফিক অভিঙ্গতার চর্চা করতে গিয়ে আসক্তরা সমাজে সৃষ্টি করছে অস্থিতিশীলতা । ফলে পরক্রিয়া প্রেম, সংসারে ভাঙ্গন ও অশান্তি সৃষ্টি বিশেষত শিশু ধর্ষণ, নারি ধর্ষণ, নারি নির্যাতন এমনকি অনাকাংখিত তালাকের সংখ্যাও দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে । পর্নোগ্রাফি সাইটগুলো পুরুষদের কামোত্তেজনাকে বিকৃত ও জ্বালাময়ী করেই তুলছে না, আমাদের পশুশক্তিকেও তীব্রভাবে জাগিয়ে তুলছে । ফলে সমাজে নারি জাতির সম্মান ও মর্যাদা মারত্মকভাবে কমে যাচ্ছে এবং ভোগের সামগ্রী হিসেবেই তারা পুরুষ কর্তৃক হচ্ছে সামগ্রীকভাবে চিহ্নিত-চিত্রিত-ব্যবহৃত । এজন্যই পাত্রদের কাছে পাত্রী হিসেবে নারীর মূল্যায়ন এখন পণ্যসামগ্রীর সমতুল্য ।

এটা নিঃসন্দেহে নারিজাতির জন্য অত্যন্ত কলঙ্কজনক। -পিআইডি ফিচার থেকে

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।