আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেদিন ফেলানি ঝুলেনি. ঝুলেছিল বাংলাদেশ. সেদিন হাবিবুর উলঙ্গ হয়নি. হয়েছিল বাংলাদেশ


ভারত বাংলাদেশে প্রতিবেশী দেশ। বাংলাদেশের যে কোন সরকারের চেয়ে বর্তমার সরকারের ভারতে সাথে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ। কিন্তু এই বন্ধু ভারত থেকে কি পেলে বাংলাদেশ? টিপাই মূখ বাধ,ট্রানজিট,তিস্তার পানি নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা চলছে বাংলাদেশে রাজনীতিতে। সীমান্ত নিয়ে সমালোচনা শেষ নেই। একের পর বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী হত্যা নির্যাতন চলছেই।

এমনকি বিজিবি সদস্যেদের ভারতীয় চোরাকারবারীরা ধরে নিয়ে নির্মমভাবে অমানষিক নির্যানতন করে বিএসএফরে হাতে তুলে দেয়। আমি এখানে টিপাই মূখ বাধ,ট্রানজিট,তিস্তার পানি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি না। শুধু বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে কিছু বলব। ফেলানী হত্যার পর বিএসএফের শিকার হল বাংলাদেশের যুবক হাবিবুর রহমান। তাকে এমন নির্যাতন করা হয়েছে তার আবু গারিব কারাগারও হার মানিয়েছে।

হাবিবুরের নির্যাতনের মধ্য দিয়ে একবিংশ শতাব্দীর এই সভ দুনিয়াকে আবারও লজ্জা দিয়েছে বিএসএফ। নির্যাতন আর এই বর্বরতা,পাশবিকতার কলংকজনক নজির দেখাল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। যা বর্তমান বিশ্বের ইতিহাসের সাথে তুলানা দেয়া কঠিন। কোন উচ্চারণই তাদের ধিক্কার জানানোর জন্য যথেষ্ট নয়। আবু গারীব কারাগার বন্দিদের ওপর মার্কিন সেনাদের নিষ্টুরতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে হয়েছিল তোলপার,ঘৃনা ও প্রতিবাদের ঢেউ জেগেছিল বিশ্ববাসীর মাঝে।

সেই আবু গারীব কারাগারের দূশ্যবলিকেও হার মানিয়েছে বিএসএফের নগ্ন ও নিষ্টুরতা। সম্পতি এক বাংলাদেশী যুবককে উলঙ্গ করে বিএসএফ কর্তৃক নির্যাতন বর্তমানে সবচেয়ে ঘৃণ্য। আবুগারীব নির্যাতন করে দেয়ালের ভিতরে। আর বিএসএফ খোলা আকাশে নিচে বাংলাদেশী যুবক হাবিবুরকে উলঙ্গ করে নির্যাতন করে ঘৃন্যতম দৃষ্টান্ত দেখাল বিএসএফ। হাবিবুর জানায়,দীর্ঘ ৫ ঘন্টা অমানুষিক নির্যাতন করে আমাকে।

যার প্রমান আজ সারা বিশ্ব ইন্টার,ইউটিউটব, মোবাইল মোবাইলে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তখন কি অপরাধ ছিল সেই বাংলাদেশী যুবক হাবিবুরের। অপরাধ এটাই ছিল যে কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে হাবিবুর ভারতে প্রবেশ করে। গরু নিয়ে বাংলাদেশ আসার সময় মুর্শিদাবাদ এলাকায় ভারতীয় জওয়ানরা তাকে আটক মোবাইল ও টাকা দাবী করে। হাবিবুর মোবাইল ও টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেও চলে একের পর একের নির্যাতন।

সেদিন একদল নেকড়ে উম্মাদ সশব্দ উল্লাসে তালে তাল মিলিয়ে একের পর একের নির্যাতন করেই চলছিল। আর সেই বিকট বীভৎস উল্লাসের নিচে চাপা পড়েছে বাংলাদেশী তরুন যুবক বিবস্ত্র হাবিবুরের করুন কান্না ও বাচার আকুতি। হাবিবুর সেদিন হায়াতে জোরে বেচে যায়। হাবিবুর যখন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে নিষ্ঠু বিএসএফরা মৃত ভেবে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ফেলে চলে যায়। পরে কয়েকজন বাংলাদেশী তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন।

এদিকে ২০১১ সালে ৭ জানুয়ারী কুয়াচ্ছন্না শীতের দিনে ওরা বধূবেশী কিশোরী ফেলানীকে নির্মম অত্যাচার করে হত্যা করেছিল। তার পর তার লাশ ঝুলিয়ে রাখে সীমান্তের কাটাতারের বেড়ায়। সেদিন দেখেছিল সারা বিশ্ববাসী। ফেলানীর পরই শিকার চাপাইনবাবগঞ্জের হাবিবুর। গত ৯ডিসেম্বর হাবিবুরকে উলঙ্গ করে যে কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে ছিল হার মানিয়ে সেই জাহেলী যুগকেও।

হিটলার নাস্তিক বাহীর কাছেও তা তুচ্ছ। বন্ধু ভারতবেশী শত্র“ ভারত থেকে বাংলাদেশ এটাই পেয়েছে ফেলানী,হাবিবুরের মত দরিদ্র মা-বাবার দরিদ্র ছেলে-মেয়ে নির্যাতন ও হত্যা উপহার। টার্গেট কোন ব্যক্তি হাবিব নয়। সীমান্তে সীমান্ত জনপদের অরক্ষিত অনিরাপদ কোটি বাংলাদেশী। তারা সবাই মৃত্যু ঝুকির মূখে।

সুশূঙ্গল সুনিয়ন্ত্রিত ট্রেইন্ড বিএসএফ সদস্য জোর গলায় সাফাই দিয়েছে বাংলাদেশীদের সবক দিতেই এ নিষ্ঠুর জগন্য শাস্তি। যখন ফেলানী হত্যা ও হাবিবুর নির্যাতন কলংক নিয়ে সারা দুনিয়ায় তোলপাড় ঠিক তখনই ভারতীয় হাই কমিশনার একটি অনুষ্টানে বলেন,ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী ও সম্পর্ক ১শ বছরের মধ্যে সেরা। হাই কমিশনার বলেন সীমান্ত এলাকায় খুন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তারা সবাই ক্রিমিনাল। অর্থ্যা এখন নিস্পাপ কিশোরী ফেলানীই হোক কিংবা হতদ্ররিদ্র হাবিবুর এরা সবাই ক্রিমিনাল ভারতীয়দের মতে। এদেরকে গুলি করে হত্যা করা প্রয়োজন।

আমার মনে বন্ধু ভারত থেকে বাংলাদেশ ট্রানজিত,টিপাইমুক এর মধ্যে না হওয়া,তিস্তার পানি বন্টা না পেলেও পেয়েছে সীমন্তা এলাকায় বাংলাদেশী যুবক গুলি করে হত্যা,বধুবেশী ফেলানী ও হাবিবুর নির্যাতন উপহার।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.