আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফতোয়া ১৭ - ভালো কথা বলো অথবা চুপচাপ থাকো

"অবশ্যই আমার নামাজ আমার এবাদাত আমার জীবন আমার মৃত্যু সবকিছুই সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহর জন্যে। "

প্রশ্ন : মহানবী (স.) বলেছেন, ভালো কথা বলো অথবা চুপচাপ থাকো। এই হাদীসের আলোকে বেশী কথা বলা কি হারাম? উত্তর : মহানবী (স.) বহুসংখ্যক হাদীসে বেশী কথা বলার ক্ষতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। একটি হাদীসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা এবং আখেরাতের ওপর বিশ্বাস পোষণ করে তার উচিত ভালো কথা বলা অথবা চুপচাপ থাকা। ^ অন্য একটি হাদীসে রয়েছে, সেই ব্যক্তির ওপর আল্লাহর রহমত হোক যে ব্যক্তি ভালো কথা বলেছে, সে ব্যক্তি পুরস্কার ও নেয়ামত পাওয়ার উপযুক্ত হয়েছে।

অথবা যে ব্যক্তি চুপচাপ থেকেছে সে নিরাপদে থেকেছে। ^^ নিঃসন্দেহে বেশী কথা বলা অথবা বেহুদা কথা বলা মানুষের জন্যে ধ্বংসের কারণ, পাপের কারণ। ইমাম গাযালী বলেছেন, যেসব পাপ মুখের ভাষার ভ্রান্ত ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকাশ পায় এ রকম পাপের সংখ্যা বিশটি। শেখ আবদুল গণি নাবলুসী বলেছেন, এরকম পাপের সংখ্যা বাহাত্তর। এসব পাপের মধ্যে বহুসংখ্যক পাপ হচ্ছে কবিরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত।

যেমন মিথ্যা বলা, গীবত করা, চোগলখুরি করা, মিথ্যা সাক্ষী দেয়া, মিথ্যা কসম করা, মানুষকে অপমান করার উদ্দেশ্যে কথা বলা, অন্যদের ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা ইত্যাদি। কাজেই যথাসম্ভব চুপচাপ থাকা মানুষকে পাপ থেকে নিরাপদ রাখে। নীরব থাকা বা চুপচাপ থাকার অর্থ মুখ সেলাই করা বা মুখে তালা লাগিয়ে রাখা নয়; বরং একথার অর্থ হচ্ছে ভালো কথার জন্যে মুখ খোলা অন্যথা মুখ বন্ধ রাখা। যারা বেশী কথা বলে তাদের প্রায়ই ভুল হয়। ভুলের কারণে মানুষের কাছে তারা উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়।

কাজেই মোমেন বান্দার কথা বলার সময় চিন্তা করা উচিত যে, ফেরেশতারা তাদের সকল কথা লিপিবদ্ধ করছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, '(ক্ষুদ্র) একটি শব্দও সে উচ্চারণ করে না, যা সংরক্ষণ করার জন্যে একজন সদা সতর্ক প্রহরী তার পাশে নিয়োজিত থাকে না !' (সূরা ক্বাফ, আয়াত ১৮) ^ বোখারী ও মুসলিমের বর্ণনা। মূল বর্ণনাকারী হচ্ছেন হযরত আবু হোরায়ারা (রা.) ^^ ইবনে মোবারক এ বর্ণনা করেছেন। এই হাদীস মুরসাল শ্রেণীভুক্ত। *** জবাব দিয়েছেন শায়খ ইউসুফ আল কারদাওয়ী *** *** অনুবাদ করেছেনঃ হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ ***


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।