আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আনন্দের খোঁজে শরতের শেষ প্রান্তে শারদ

সময়... অনাদি... হতে... অনন্তের... পথে...

প্রতিবছর শরতের শেষ প্রান্তেô বাংলার প্রতিটি হিন্দু পরিবারে ফিরে আসে অনাবিল আনন্দ। উপভোগ করে একে অন্যের প্রীতি ও ভালবাসা। ছোট-বড় সবাই ভালবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে মঙ্গল কামনা করে কৃপালয়ে। গতিময় জীবন সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যায়। এগিয়ে যায় আগামী দিনের আনন্দের খোঁজে।

তারপর পূজায় পুণ্য করে মানুষের জীবন চলার পথ। আবার পূজার ডালি সাজিয়ে দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষামাণ থাকার পর ফিরে আসে নতুন আমেজ। সেই হারিয়ে যাওয়া দিন; আবার খুঁজে পায় শরতের শেষে শারদ। পূজার যত আয়োজন সার্বজনীন দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। তাই বরাবরের মতো এবারও দেশে ২০ হাজারেরও বেশি পূজামন্ডপের আয়োজন রয়েছে।

পাল তোলা নৌকায় দেবী এবারও আমাদের হৃদয় নামক নৌকায় দেবী আগমনের হাওয়া লেগেছে। আগমনে পূজার ডালি সাজিয়ে রেখেছে দুর্গা দেবীকে বরণ করে নেয়ার জন্য। তিল, তুলসী, দূর্বা, রক্তজবা, রক্তশাপলা দিয়ে ডালি সাজিয়ে দেবী মায়ের চরণে অর্পণ করার দীর্ঘ প্রত্যাশা সবার। পূজায় পুণ্য করি শারদীয় দুর্গোৎসবের মধ্যে দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়ে থাকে প্রতিবছর। তাই ১০১টি পদ্মফুল দিয়ে দশমীর প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত করে মঙ্গল কামনা করে হিন্দু সম্প্রদায়।

দেবী মায়ের ভোগ নৈবদ্য সাজানোর জন্য ঢালিতে রয়েছে আতপ চাল, কাঁচা দুধ, সন্দেশ, বিখ্যাত নাড়ু, মোয়া, নিরামিশ পোলাও, ফুল, ফল-ফলাদিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী। মহালয়া থেকে শুরু করে বিজয়া দশমী পর্যন্তô আনন্দে মেতে ওঠে বাঙালি হিন্দুরা। তাছাড়া বিজয়া দশমীর দিন সকাল থেকে শুরু হয় আনন্দ, ফুর্তি আর শোভাযাত্রা। আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পুণ্যের সন্ধান লাভ করে হিন্দু সম্প্রদায়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।