অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি
(একজন কবির প্রয়াণে
শহরের পথঘাট গমগম করে না মিছিলে
সে সংবাদ কেউ কেউ শোনে কম বেশি;
কারো শ্রুতির আড়ালে থেকে যায়।
গাছপালা স্তব্ধ হয়, ফুরায় ফুলের আয়ু
আর নদীনালা কালো মেঘ রাখে বুকে...
একজন কবির প্রয়াণে : শামসুর রাহমান)
মিছিলে দেখিনি তো মুষ্ঠি তোমার
প্রুফও কেটে দাওনি লাজুক চিরকুটের
তবু অনুভবে ছিলে সহজাত- যুদ্ধ ও প্রেমে।
দুঃখিনী বর্নমালা আজ আবারো কালো
তোমারই সন্তাপে,ব্যানার শিরোনাম, শোক মিছিল
এবং বচনামৃত ঝরছে খুব;
আনুষ্ঠানিকতায় খামতি নেই কোনো।
আমি হব না শরিক ওই শোকের কফিনে
তুমিই তো কাঁদতে ভুলিয়েছ!
ঘাতকের ছুরিতে ফালাফালা হয়েও
কালো ফ্রেমের চশমায় জলকণা পাইনি খুজে
কালচে জমাট রক্তের বিছানায় শুয়ে অবাক বিস্ময়
এবং মুচকি হাসি ছিল অটুট।
অটোগ্রাফ বইয়ে গুরুর দক্ষিণা-
'শানিত যৌবন আজ টেনে সূর্য নামায়'
আমার নিয়তি তো তুমিই ঠিক করে দিয়েছিলে সেদিন
সেই মুহূর্ত থেকেই নির্বাণ, অনির্বাণের পথে।
তোমার আনুষ্ঠানিকতা চলছে কেমন!
জমিনের নিচে মুনকির নুকিরের সওয়াল জবাব;
মুজলিম আদিব কী ফের নির্যাতিত আযাবে!
জেরা শেষে ফিরবে কোথায় জানিইতো।
কবিসভায় যোগ দিতে উদগ্রীব তুমি;
স্বপনে আসছি তাই আজ রাতেই
দেখব নতুন কী লিখলে আজ কবি
গড়তে আমার নতুন প্রভাত। ।
(মৃত্যুর সময় আল্লাহ রূহ কবয করেন এবং যারা জীবিত তাদের রূহও কবয করেন ওরা যখন নিদ্রিত থাকে। অতঃপর যার জন্য মৃত্যু অবধারিত তিনি তার রূহ আটকে রাখেন এবং অন্যদের রূহ এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফিরিয়ে দেন।
এতে নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীল সমপ্রদায়ের জন্য- সূরা আয-যুমার ঃ আয়াত -৪২)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।