আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আরিফুর রহমানের মুক্তি চাই, দাউদ হায়দারের লেখাটি সবাই পড়তে পারুক

৭১ এ ছোট ছিলাম, যুদ্ধে যেতে পারি নাই, এই আক্ষেপ ফুরাবার না

এবারের সাপ্তাহিক ২০০০ এর ঈদ সংখ্যাটি বেশ ভাল হয়েছে বলেই আমার ধারণা। এই সংখ্যায় বেশ কয়েকটি ভাল লেখা আছে। সাধারণত ঈদ সংখ্যাগুলো কিছু ভাল আর কিছু অপাঠ্য উপন্যাসে ভর্তি থাকে। এবারের ২০০০-এ উপন্যাসের চেয়ে অন্যান্য লেখার প্রতিই বেশি জোড় দেওয়া হয়েছে। আহমেদ শরিফের অপ্রকাশিত ডায়েরি ছাপা হয়েছে।

জাফর ইকবালের একটি ভাল ও দীর্ঘ সাাৎকার রয়েছে। মদ ও পরিবারতন্ত্র নামে রেহনুমা আহমেদের একটি ভাল প্রবন্ধ রয়েছে। তথাকথিত মোল্লাদের নিয়ে একটা ভাল গল্প আছে। আছে আরো অনেক কিছু। দাউদ হায়দারের লেখাটি অত্যন্ত সুখপাঠ্য।

আমি এর সাহিত্যগুণ বিচার করতে পারবো না, সে মতা আমার নেই। তবে এটি যে অত্যন্ত সুখপাঠ্য তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ১৯৭৪ সালে কবিতা লেখার দায়ে তৎকালীন মুজিব সরকার তাকে জেলে থেকে মুক্তি এক রাতের সময় দিয়ে দেশ থেকে বের করে দিয়েছিল। পকেটে মাত্র ভারতীয় ৬০ পয়সা নিয়ে দাউদ হায়দার চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন কোলকাতায়। সেখান থেকেই সুতানটি সমাচার নামের লেখাটি শুরু।

নিষিদ্ধ করে কি লাভ হয় জানি না। তবে এটুকু বুঝি তাতে লেখার কাটতি বাড়ে। আর এই ইন্টারনেটের যুগে লেখাটি শেষ পর্যন্ত লুকিয়ে রাখাও যাবে না। আমি এই লেখা উš§ুক্ত করার দাবি জানাই। দাউদ হায়দারের লেখা পড়ে আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে কোনো আঘাত লাগেনি।

যেমন লাগেনি আরিফুর রহমানের কার্টুন দেখে। আমি আরিফুর রহমানের মুক্তি দাবি করি। সবাই যদি মাফ পেতে পারে তাহলে আরিফুর রহমান কেন পারবে না? আর যতদিন সে জেলে থাকবে ততদিন বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি য়ে যেতে থাকবে। ভাবমূর্তি কে নষ্ট করে এ নিয়ে রাজনৈতিক সরকাগুলোর সময়ে বিতর্ক হয়। ভাবমূর্তি আসলে সরকারই এ সব পদপে নিয়ে বেশি নষ্ট করে।

আগে বাইরে বলা হতো বাংলাদেশ একটি মধ্যপন্থী মুসলিম দেশ। এখন কি কেউ শোনেন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.