আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্ল্যামারের চেয়ে গ্রামার টেকসই

এ লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আমার যুদ্ধাপরাধ

চিন্তা অবশ্যই বিতর্কিত। আর যখন মিডিয়া ভাবনার প্রশ্ন আসেÑ তখন আছে এ তর্ক বিলম্বিত হওয়ার ঘন সুযোগ। অন্তত সাংবাদিকতার প্রশ্নে প্রিন্ট আর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার দৌড় ও দৌরাÍ্য যদি আপনি বিবেচনায় আনেন, তখন তো না কূল না শ্যাম দশা। আসলে বিরোধ নেই মিডিয়ার এ দুটি ধারায়Ñ দুটোই স্বতন্ত্র ডিসকোর্স। প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক, অনলাইন অথবা ভবিষ্যতে আরও আধুনিক যে কোনও ফর্মেই আসুক মিডিয়াÑ সাংবাদিকতা টিকে থাকবেই।

সভ্যতার ইতিহাস তা-ই বলছে। তবে প্রিন্টে আছে ডকুমেন্টেশন আর ইলেক্টনিক মিডিয়ায় দর্শক-শ্রোতাকে স্মৃতিভ্রষ্ট করার তাড়না। টিভি লোগোসহ সম্প্রচারিত হারিয়েছে বিজ্ঞাপনের সিডি গ্রহণ করবে কিনা শিক্ষাবোর্ড, সেটা বলার সময় এখনও আসেনি। অথবা টিভি স্ক্রিনে ভেসে ওঠে বিস্তারিত দেখুন পত্রিকায়...। এ কারণে বাণিজ্যেও মার খাওয়ার অতোটা ভয় নেই প্রিন্ট মিডিয়ার।

ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার তাণ্ডবে দৈনিকের সার্কুলেশন পতনের নজির নেই ইতিহাসে। দৃশ্য আপনার দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলায় মুখ্য নয়, দৃষ্টিই মুখ্য। দৃশ্যের আড়ালে প্রতারণা আছে, আছে ফুটেজ গুমের কাহিনী। স্রেফ ফুটেজের অভাবে যে বিষয়গুলো হারিয়ে ফেলে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্টে সেটা হয়ে উঠতে পারে বক্স আইটেম। অবশ্য দৈনিকের নিউজ এডিটর ডেস্কের তলার ঝুঁড়িতেও প্রতিদিন খুন হচ্ছে অসংখ্য খবর।

তবে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার আছে ইলেক্ট্রনের প্রবাহ, ইলেক্ট্রিক আবেশ। মুহূর্তেই মাতাল করে দিতে পাবে বিশ্ববাসীকেÑ পারে তাদের হিমঘরে পাঠাতেও। ক্যামেরা ঘোরালেই ঘুরে যাবে আপনার চোখ অন্য কোনও অপ্রয়োজনীয় দৃশ্যে। আরও আছে গ্ল্যামার, কড়কড়ে ইমেজÑ প্রিন্টের ফোর কালার যার কাছে ম্রিয়মান। তবে যাই বলুন, আমি প্রিন্ট মিডিয়ায় দীর্ঘ ঐতিহ্যে গড়ে ওঠা গ্রামার খুঁজে পাই।

গ্ল্যামারের চেয়ে গ্রামার টেকসই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।