আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাপড় চোপড়ে মেয়েদের শালীন হওয়াটা আরো জরুরী।

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

বেশ কয়েক বছর আগে দেখা একটি হলিউডের মুভির দৃশ্য দিয়ে শুরু করছি। একটি সহজ সরল গোছের মেয়ে মজা করার জন্য একটি পাবে প্রবেশ করে। স্বল্পবসনা মেয়েটি কাপড় চোপড়ে কিছুটা অংসযত ছিল। পাবে উপস্থিত কয়েকটি ছেলে প্রথনে মেয়েটিকে ভুলিয়ে ভালিয়ে মদ খাইয়ে মাতাল করে। তারপর একপাশে পেতে রাখা বিলিয়ারড বোর্ডের উপর ছেলেগুলো মেয়েটি সম্ভ্রম নষ্ট করে।

ভীত সন্ত্রস্ত নগ্ন মেয়েটি একসময় কোনপ্রকারে গায়ে কাপড় চড়িয়ে চিতকার করতে করতে পাব থেকে পালিয়ে বের হয়। শুরু হয় দুপক্ষের আইনি লড়াই। ছবিটির শেষের দিকে ছেলে কয়টিকে দোষী সাব্যস্ত করে দন্ড দেয়া হয়। মেয়েটি কাপড় চোপড়ে এবং আচরনে সংযত হলে এই অপকান্ডটি হয়ত ঘটত না। কিছুদিন আগে আমেরিকার একটি শহরে অশালীন কাপড় চোপড় পড়ার দায়ে ছেলেদের (মেয়েদের কেন নয়?) জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে।

পশ্চিমা বিশ্বে নানরা বোরখা জাতীয় কাপড় পড়ে। অবশ্যই নানরা পশ্চিমা মেয়েদের কাছে সম্মানের পাত্রী। প্রবল শীতেও দেখা যায় পশ্চিমা দেশগুলোতে মেয়েরা স্কার্ট পড়ে হাটছে। কিন্তু কেন? অলিম্পিকে যারা জিমিনাস্টিক দেখেন তারা নিশ্চয় দেখেছেন মেয়েরা স্বল্পবসনা হয় ছেলেরা ট্রাউজার পরে, কিন্তু কেন? একটি আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন ছেলেকে যদি বলা হয় রংগচংগ মেখে মেয়েদের দৃস্টি আকর্ষনের জন্য পাড়ায় একটা চক্কর মেরে আসতে তাহলে কি সে রাজী হবে। তাহলে একটি মেয়েকেও কেন তার সৌন্দর্যকে বাজারজাত করতে হবে বাড়তি মুনাফা লাভের জন্য? তার যোগ্যতাটা তার মুল্যানের মাপকাঠি হবেনা কেন, যা ঘটে একটি ছেলের ক্ষেত্রে।

আমি হয়ত গোছিয়ে লেখতে পারেনি কিন্তু যা বলতে চেয়েছি তা হল মেয়েরা তাদের দেহ রুপ সৌন্দর্যকে পুজি করে কিছু করতে গেলে তা মেয়েদেরকে ডিসক্রিমিনেসন করা হয় এই অর্থে তোমার যোগ্যতা নেই তাই শরীর দিয়ে পুষিয়ে নাও। তাই কাপড় চোপড়ে মেয়েদের শালীন হওয়াটা আরো জরুরী। তাই মেয়েদেরকেই সচেতন হতে হবে তাদেরকে যেন বাজারের শোকেসে রাখা চকচকে লোভনীয় পন্য না করা না হয়। কিছু কিছু নারীবাদী সতিকার অর্থে মোনাফালোভী মেয়েদের পন্য বানানোর কাজটি সুকৌশলে করছে নারী মুক্তির নামে। সতিকার অর্থে নারীদের মুক্তি ঘটুক এটা প্রত্যেক সভ্য মানুষের কাম্য।

কেননা একজন মানুষের সবচাইতে কাছের যে মেয়ে মানুষটি, সে তার মা। কেউ তার মাকে অবহেলিত, নির্যাচিত, তার অধিকার বন্চিত হিসাবে কখনোই দেখতে চাইবে না।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।