আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নরপশু এবং আমরা

আগে জানতাম, রাস্তার কুকুর কার্তিক মাসে পাগল হয়, কিন্তু মানুষরুপী কুকুরগুলো কখন পাগল হয় জানা ছিল না, ইদানিংকার ধর্ষণের সংবাদ্গুলো দেখে জানতে পারছি, তারা বছরের যে কোন সময়ই এবং ১০ বছর, ১২ বছর, এমন কি ৩ বছরের বাচ্চা মেয়ে দেখলে ও ঐ দুপায়ী পশুগুলোর শরীরের জায়গাবিশেষ পাগল হতে পারে। আবার আরেক পদের কুকুর আছে, যারা ধর্ষণের কোন সংবাদ চোখে পড়লেই প্রথমে নারীর পোশাকের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের পশুত্ব ঢাকার চেষ্টায় নেমে পড়ে। তাদেরকে শুধু একটা কথাই বলার আছে, ৮ বছরের বাচ্চা মেয়ে কামউদ্দীপক পোশাক পড়ে তোমাকে প্রলুব্ধ করছে না, বা ১৯৭১ সালে ২০/২৫ লাখ নারী পোশাকের কারনে ধর্ষিত হয়নি, বরং তোমাদের মত পশুগুলোর শরীরের অনিয়ন্ত্রণযোগ্য ঐ নরম মাংসপিণ্ডের দোষেই তারা সম্ভ্রম হারিয়েছে এবং আজো হারাচ্ছে। আর দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের প্রচলিত দুর্বল আইনের সুযোগ নিয়ে ঐ কুকুরগুলো ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে, এবং অন্য আরো কেউ তাদের কুকুরামির স্বীকার হচ্ছে। কি হয় ঐ কুকুরগুলোকে সরাসরি শাস্তির আইন করলে, বা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘোষনা দিয়ে তাদের ঐ অঙ্গটুকু কেটে নিলে? বরং ভবিষ্যতে আরো কিছু বাচ্চা মেয়ে, নারী তাদের সম্ভ্রম নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। আর আমাদের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কথা তো বলার কিছু নেই, যতদিন পর্যন্ত না তাদের কেউ ঐ কুকুরগূলোর স্বীকার হচ্ছে, ততদিন তারা শিক্ষা পাবে না। আর এখনকার দিনে তো রাজনৈতিক নেতা আর তাদের প্রভাবের সীমা-পরিসীমা নেই, মসজিদের জুতা চুরি করে ধরা পড়লে ও তার জন্য সুপারিশ করতে এলাকার চেয়ারম্যান, এমপি, এমন কি মন্ত্রী ও দ্বিধা করে না। আর এইসব পশুপালকদের জন্যই ঐ নরপশুগুলো ও বারবার রেহাই পেয়ে যায়, আর জীবনের অমূল্য কিছু হারিয়ে ও ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকে ঐ সম্ভ্রম হারানো নারীরা। ধিক, ঐ পুরুষ নামের পশুগুলোকে যাদের নিজেদের উপর নিজেদেরই নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা নেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.