আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্ষার সাজে অনন্যা

বর্ষা মানেই সবুজ। কলাপাতা, নীল, আকাশি আর ধুসর রংয়ের প্রকৃতি। তাই এই সময়ে এসব পোশাকগুলো বেশি ভালো লাগে। কাপড়ের মধ্যে পরতে পারেন জর্জেট, শিফন, ক্রেপের শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ। ভিজলেও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় বলে বর্ষায় এ ধরনের কাপড় পরার জন্য উপযোগী।


বেশি ভারি মেকআপ এই আবহাওয়ায় না নেওয়াই ভালো। সাজের আগে খেয়াল রাখুন, প্রসাধনী যেন ওয়াটারপ্রুফ বা পানি নিরোধক হয়। মেকআপের আগে মুখে কিছুক্ষণ বরফ ঘষে টোনিং করে অয়েল ফ্রি সানক্রিম ব্যবহার করুন।
যাদের ত্বকের রং শ্যামলা, তারা ফাউন্ডেশনের বেইজ হিসেবে একটু হলদে ধরনের কমপ্যাক বা ফাউন্ডেশন বেছে নিতে পারেন। এতে ত্বকের স্বাভাবিক রংয়ের উপর একটু ফর্সা ভাব নিয়ে আসবে।

তবে দেখতে কৃত্রিম লাগবে না। আর যারা ফর্সা, তারা খুব সাদা রংয়ের কমপ্যাক বা ফাউন্ডেশন বেছে না নিয়ে এর সঙ্গে একটু হালকা হলুদ রংয়ের শেইড মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে স্বাভাবিক ভাবটা থাকবে।
এবার পোশাকের সঙ্গে মেকআপে মিল রেখে হালকা বাদামি, কফি রং বা নীলচে আভার আইশ্যাডো লাগিয়ে নিলে অনেক বেশি স্বাভাবিক দেখাবে। তবে রাতের বেলার অনুষ্ঠান হলে একটু গাঢ় করেই চোখটা সাজাতে পারেন।

 
সেক্ষেত্রে মেরুন, কফি, সবুজ, নীলচে শেইডগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই সময় অবশ্যই ওয়াটারপ্রুফ মাসকারা এবং পেন্সিল আইলাইনার ব্যবহার করুন। দিনের সাজে চোখের নিচের পাতায় আইলাইনার অথবা মাসকারা না লাগানোই ভালো। দিনের বেলা ব্লাশন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। রাতের বেলা যদি লাগাতে চান, তবে দুই গালে খুব হাল্কা করে গোলাপি, পিচ বা তামাটে রংয়ের ব্লাশন লাগিয়ে নিতে পারেন।

ত্বকের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হাত দিয়ে ঘষে বা ব্লেন্ড করে দিতে পারেন। এই সময় ম্যাট বা পাউডার ধরনের লিপস্টিক লাগাবেন।
ময়েশ্চারসমৃদ্ধ গোলাপি, কোরাল, ব্রোঞ্জ বা বিভিন্ন ফলের রং বেছে নিতে পারেন। লিপব্রাশ ব্যবহার না করে আঙুল দিয়ে ভালোভাবে ঘষে লাগান। এতে করে ঠোঁটে এক ধরনের ন্যাচারাল শেইড আসবে।

তবে লিপস্টিক লাগানোর আগে খেয়াল রাখুন তা যেন আপনার ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মানিয়ে যায়।
বর্ষার এই সময় চুল বেশ নিস্তেজ থাকে। তাই যতটা সম্ভব চুল বেঁধে রাখাই ভালো। তাছাড়া বৃষ্টিতে ভেজার সম্ভাবনা থাকলে চুল খোলা না রাখাই ভালো। কারণ শহরের বৃষ্টির পানি চুলের বেশ ক্ষতি করে।

তবে ঘরোয়া কোনো উৎসব থাকলে ছোট বা মাঝারি চুল হলে সাইডে সিঁথি করে বাকি চুলটা ছেড়ে দিন।  
চাইলে কানের গোড়ায় গুজতে পারেন বর্ষার কোনো ফুল।
যদি একটু ভিন্নধরনের স্টাইল করতে চান সেক্ষেত্রে কপালের উপর কিছু চুল ছেড়ে রেখে বাকি চুল ফুলিয়ে নিন। এবারে কপালের উপরের চুল একদিক করে নিয়ে দুপাশ থেকে অল্প-অল্প চুল নিয়ে ফ্রেঞ্চ বেণীর মতো করে কানের গোড়া পর্যন্ত আনুন। এবার বাকি চুলটা পেছনে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন।

চাইলে পেছনের চুলটা খোঁপা বা বেণীও করতে পারেন।
এছাড়া মাথার সামনের কিছু চুল ছোট পাঞ্চ ক্লিপের সাহায্যে হালকা পাফ করে বাঁধতে পারেন। তারপর বাকি চুল একটু উঠিয়ে হাতখোঁপা করে তাতে দিতে পারেন সুদৃশ্য কোণকাটা। একটু আলাদা সাজ চাইলে করতে পারেন ফ্রেঞ্চ বেণী অথবা পনিটেইল।
বর্ষায় চেষ্টা করুন একটু দেশীয়ভাবে সাজতে।

এতে সাজে পাবে ভিন্নমাত্রা আবার প্রকৃতির সঙ্গেও মিল খাবে বেশ। আর নিজেকে যে একটু আলাদা আর ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে পারে সেই তো অনন্যা।
 
ছবির মডেল : ফারজানা ছবি

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।