আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুন, উক্তিটি ধারণ করি বুকে

ইদানীং বইছে দিন বদলের হাওয়া। মানুষ গাইছে দিন বদলের গান। কেউ দিন বদলের সনদ দিচ্ছে পাইকারী হারে,কেউবা বলছে বদলে যেতে বদলে দিতে বিজ্ঞাপন সহকারে। বদলে গেছে ভোটের ব্যালট বাক্স,পাল্টে গেছে নির্বাচনী প্রক্রিয়া। ছাত্র-রাজনীতি রূপান্তরিত হয়েছে ছাত্র-সন্ত্রাসে।

অশ্লীলতা নাম পরিবর্তন করে হয়েছে আধুনিকতা। বদলে গেছে জন্ম-নিয়ন্ত্রন ও গর্ভপাতের পদ্ধতি। দুধের প্রোটিন পাল্টে মেলামিন হয়েছে। মাছের ভিটামিন বদলে গেছে ফরমালিনে। কিন্তু...ফলাফল শুন্য! যারা এই দিন বদলের মানচিত্র আকছে তারাই আবার সেই তুলিতে বিশ্বনবীর ব্যঙ্গ-চিত্র আঁকে।

তারাই ধর্মনিরপেক্ষতার নামে বিকিকিনি করতে চায় মুসলমানের অমূল্য ঈমান। তারাই সংবিধান থেকে কোরআন কে মুছে দিতে পাগলপ্রায়। পরিবর্তনের জোয়ার শুধু দেশেই থেমে থাকেনি,ধাক্কা দিয়েছে “হোয়াইট হাউজের” মসনদেও। সাদা চামড়ার জায়গা দখল করেছে কালো চামড়া। পরিত্যক্ত “গুয়ান্তনামা” হয়ে গেছে মুসলমানের কারাগার।

প্রতিবাদের ভাষা রূপান্তরিত হয়েছে জুতা নিক্ষেপে। ফিলিস্তিন-আফগান-কাশ্মীরের শিশুদের রক্ত গায়ের বদলে মাটিতে স্থান নিয়েছে। কিন্তু...অর্জনটা বায়বীয়! যারা গ্রীণ-হাউসটা মেরামত করতে বুলি আউড়ায় তারাই আবার ফসফরাস বোমা ছুড়ছে বাতাসে। তারাই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে হাইড্রোজেন বোমার। তারাই সমকামীতাকে বৈধ ঘোষনা করে,নারী-অধিকারের নামে নিজের মা-বোনদের বিজ্ঞাপনের পন্য বানায়।

অথচ...রেজাল্ট রসহীন তুষের মতো! যে বস্তুটি পাল্টাতে হবে সবার আগে,যা বদলালে সমস্ত পৃথিবী বদলে যাবে,যে জিনিস আমার তোমার সবার মাঝে এখনও অপরিবর্তিত,সেটাই সর্বাগ্রে পাল্টাতে হবে... মহাকালের মহানবী মুহাম্মদ (স) চৌদ্দশ বছর আগেই সতর্ক করে গেছেন ভবিষ্যত প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে যে ব্যাপারে--- “মানুষের দেহে একটা অঙ্গ আছে,যেটা নষ্ট হলে সারা দেহ নষ্ট হয়,যেটা সুস্থ থাকলে গোটা দেহই সুস্থ থাকে... আর সেটা হলো অন্তর”। আসুন উক্তিটি ধারণ করি,সমাজটাকে শুদ্ধ করি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।